পর্নার উপর সোধ নিতে সৃজনকে গ্রেপ্তার করালো বৈভব! কিন্তু লাভের লাভ হলো কি?পর্না ডুগডুগি বাজিয়ে বসের চোখের সামনে দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল বরকে, দাঁত কিরমির করছে বৈভব
যত দিন যাচ্ছে জি বাংলা(Zee Bangla)র নিম ফুলের মধু(Nim Phuler Modhu) ধারাবাহিকটি দর্শকদের আরো বেশি করে পছন্দের তালিকায় নাম লেখাচ্ছে। মূলত পুরনো প্রাচীন ধ্যান ধারণার এক পরিবারের সঙ্গে আধুনিক এক পরিবারে সম্পর্ক গড়ে ওঠা নিয়েই গল্প নিম ফুলের মধু। ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী কুষ্টি মিলিয়ে বিয়ে হয় সৃজন এবং পর্নার।
কিন্তু আধুনিক পরিবারের মেয়ে হওয়ার কারণে সৃজনের মা সব সময় মনে করতে থাকে পর্না ছেলেকে তার মায়ের থেকে কেড়ে নেবে। সেই কারণে যাহোক ঝামেলার মাঝে মধ্যেই লাগিয়ে দিতে থাকে তাদের মাঝে। যারা এই ধারাবাহিকে নিয়মিত দর্শক তারা জানেন পর্না এখন চাকরি করছে। কারণ তার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে চাকরি করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এটাও বলা হয় চাকরি এবং পরিবারের মধ্যে যেকোনো একটাকে বেছে নিতে। নিজের আত্মসম্মানকে বাঁচিয়ে পর্না শেষমেশ চাকরিটাকেই বেছে শ্বশুরবাড়ি ছেড়েছে।
ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্ব অনুযায়ী পর্নার বস বৈভব আবার তার পেছনে লাগার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সেই ইচ্ছাকৃত পর্নাকে এমন এক জায়গায় রিপোর্টিং করতে পাঠায় যেটা বেশ সমস্যা পূর্ণ এলাকা। সেখানে সফলভাবে রিপোর্টিং করলেও সমস্যার মুখে পড়ে সে। আর তাকে বাঁচাতে হাজির হয় সৃজন। সেটাও পছন্দ হয় না বৈভবের। উল্টে থাকে কথা শোনাতে শুরু করে। এরপরেই বউয়ের অপমান দেখতে না পেরে পর্নার বসের গায়ে হাত তোলে সৃজন। মেরে নাক ফাটিয়ে দেয় তার।
আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বৈভব তাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করিয়েছে পুলিশ দিয়ে। এবং মনে মনে ভাবতে থাকে এবার তাকে দেখে নেবে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা পরিবার হাজির হয় পুলিশ স্টেশনে আছেই এসে হাজির হয় পর্না। ঠিক যেমনভাবে সৃজন তার বিপদে ছুটে এসেছিল সেও ছুটে এসেছে তার বরকে বাঁচাতে। বৈভবকে কার্যত তুলেধনা করে পুলিশ স্টেশনে। পর্নার সঙ্গে হাজির হয় তার আরেক বস বাপচীদা। সে এসে পুরো ব্যাপার সামলায়। এবং সৃজনকেও ছাড়াতে সাহায্য করে।
বৈভব কোন কিছু করতে না পেরে রাগে দাঁত কিরমির করতে করতে বেরিয়ে যায়। এখন দেখার বৈভব আর কি কি ক্ষতি করে পর্না এবং সৃজনের। এবং আগামী দিনে তারা কিভাবে বৈভবের যাবতীয় জারি জুরি বানচাল করে বেরিয়ে আসে সমস্ত বিপদ থেকে।
