সর্বাণীর সাথে কি দুর্ব্যবহারটাই না করল নিধি আর লবঙ্গ!রামপ্রসাদে সর্বানীর দুঃখ দেখে কষ্ট পাচ্ছেন দর্শক !
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক রামপ্রসাদ। ঘরে থেকেও মা কালিকে পাওয়ার গল্প বলে এই ধারাবাহিক। আসলে ঠিক গল্প নয়, এই ধারাবাহিক স্বয়ং শাক্ত সাধক রামপ্রসাদের জীবনী, রামপ্রসাদ যিনি মায়ের সব থেকে বড় ভক্ত , মায়ের সন্তান, ঘরে থেকে ঘোরতর সংসারী হয়ে কীভাবে তিনি মাকে পেয়েছিলেন? কীভাবে দর্শন করেছিলেন স্বয়ং মা কালী কে সেই গল্পই রামপ্রসাদ ধারাবাহিকে দেখানো হয়।
রামপ্রসাদের এই জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন দুজন একজন তার বাবা আর একজন তার স্ত্রী সর্বাণী। তার বাবা যেমন কোনদিনও রামপ্রসাদকে মায়ের ভক্তি পথ ছেড়ে কাজকর্ম করতে উৎসাহ দেননি ঠিক একই রকম ভাবে তার স্ত্রী সবার্ণী হয়ে উঠেছিলেন তার যোগ্য সহধর্মিনী, কখনো তিনি তার স্বামীকে ভক্তি পথ ছাড়তে বলেননি বরং তাকে যেন তিনি ভক্তিপথে এগিয়ে দিয়েছিলেন।
বেশ কিছুদিন ধরে এই ধারাবাহিক একটি বিষয় দেখা যাচ্ছে, সেটা হল মায়ের দর্শন পাওয়ার জন্য অধীর হয়ে উঠেছে রামপ্রসাদ! মহাদেবের স্বপ্নাদেশ পেয়ে কল্পতরু বৃক্ষের কাছে সাধনায় মগ্ন হলেও কল্পতরু বৃক্ষের থেকে মায়ের দর্শন পান নি, রামপ্রসাদ সেই দর্শন পেয়েছিল সর্বাণী।
এরপর মাকে দেখার জন্য অধীর রামপ্রসাদ আত্মহত্যার সংকল্প করলে সর্বানী ও তার সাথে আত্মহত্যা করবেন শুনে সেই সংকল্প ত্যাগ করেন রামপ্রসাদ। এরপর দেখা যায় মায়ের রূপ দর্শন করতে গিয়ে অন্ধ হয়ে যায় রামপ্রসাদ আর অন্ধ স্বামীর চিকিৎসার জন্য নিজের শ্বশুর বাড়ি ফিরে আসে সর্বানী কিন্তু সেখানে তার ভাসুর এবং জা তার সাথে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“সর্বানীর সাথে কি দুর্ব্যবহার টাই না করলো নিধি আর লবঙ্গ
রাম রাম মশাই বাড়িতে নেই..
সর্বানীর অসহায়তা দেখে বড্ড কষ্ট হচ্ছিল
স্বামীর চিকিৎসার জন্য কত করে বললো নিধিকে কিন্তু তার পাথর হৃদয় গোললো না
একতালা বলতে যাওয়ায়, নিধি একতালার গায়ে হাত অবধি তুললো
লবঙ্গ সর্বানীকে টানতে টানতে ঘর থেকে বের করে দিল
নিধি আর লবঙ্গর কি কোনো দিনও শাস্তি হবে না
ওরা সারাজীবন এরকমই হিংস্র, পাথরের মতোই রয়ে যাবে???
তবে আজ সর্বানীর অসহায়তা বড্ড কষ্ট দিয়েছে
দেখতে থাকুন রামপ্রসাদ প্রতিদিন বিকেল ৫:৩০ এ স্টার জলসায় ”
