মঞ্চে একি কাণ্ড করলেন টলিউডের সুপারহিট অভিনেতা অঙ্কুশ? ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে অঙ্কুশের কর্মকাণ্ড দেখে হেসে লুটিয়ে পড়লেন বিচারক থেকে দর্শক প্রত্যেকে
শুরু হয়ে গেছে বাংলার নাচের সবথেকে বড় রিয়ালিটি শো জি বাংলার ডান্স বাংলা ডান্স। এই শো এর জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করেছিলেন দর্শকেরা। অবশেষে দর্শকদের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। দু সপ্তাহ হল জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছে এই রিয়েলিটি শো। ডান্স বাংলা ডান্স এর এই সিজন আরো জমজমাট হয়ে উঠেছে বাকি সিজন গুলির তুলনা। কারণ দীর্ঘ ১০ বছর পর আবার মহা গুরুর আসনে ফিরেছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। যাকে ছাড়া সত্যিই ডান্স বাংলা ডান্স অসম্পূর্ণ।
এছাড়াও গত বছরের মত এ বছরেও বিচারকের আসনে রয়েছেন টলিউডের দুই সুন্দরী অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌনি রায় কে। যিনি আমাদের বাংলা মেয়ে। এই প্রথম মৌনীকে বাংলার কোন রিয়েলিটি শোতে বিচারকের আসনে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া রিয়েলিটি শো এর সঞ্চালকের দায়িত্ব রয়েছেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। যার সঞ্চালনায় একেবারে জমজমাট ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চ। নানান রকম খুনসুটি, হাসি মজা করতেই থাকে অঙ্কুশ। আর এই করে সকলকে মাতিয়ে রাখেন তিনি।
সম্প্রতি জি বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তরফ থেকে একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করা হয়েছে। আর সেখানে দেখা যাচ্ছে নাচের মঞ্চে প্রতিযোগী রাজন্যার সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠেছে অঙ্কুশ। রাজন্যা হলো এই সিজনের একজন প্রতিযোগী, আর নাচের পাশাপাশি জিমন্যাস্টিকেও দারুন পারদর্শী সে। তার পারফরম্যান্স দেখতে ঐদিন দর্শকের আসনে উপস্থিত ছিল তার স্কুলের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা এবং বন্ধু-বান্ধবরা।
আর তাদের থেকে অঙ্কুশ জানতে চায় যে রাজন্যার এই নাচের পারফরম্যান্স তাদের কেমন লেগেছে। তখন রাজন্যার শিক্ষক জানান রাজন্যার জন্য তারা গর্ব বোধ করে। রাজন্যা তাদের স্কুলের নাম উজ্জ্বল করেছেন। সে যে ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে এসে পারফরম্যান্স করছে সেটা তাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। জিতবে কিনা জানা নেই কিন্তু এতদূর আসতে পেরেছে এত বড় মঞ্চে দাঁড়িয়ে নাচ করতে পেরেছে বড় বড় বিচারকদের সামনে নিজের প্রতিভা তুলে ধরছি এটাই অনেক বড় বিষয়। আর রাজন্যার শিক্ষকের মুখে এই কথা শুনে সকলেই করতালিতে ভরিয়ে দেয়।
এরপরই শুভশ্রী রাজন্যাকে আবদার করে যাতে সে কোন একটা জিমন্যাস্টিক স্টেপ দেখায় যেটা অঙ্কুশ করে দেখাবে। আর এই কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে অঙ্কুশের মুখের রং উড়ে যায়। আর সেই সমস্ত দেখে অঙ্কুশের অবস্থা তো খারাপ। কোনো রকমে সে স্টেপগুলি করে। আর মঞ্চে অংকুশের এই কর্মকাণ্ড দেখে সকলেই তো হেসে লুটোপুটি। আসলে দর্শকদের এন্টারটেইন করার জন্যই অঙ্কুশ এই ধরনের কাজ করে থাকে মূলত। সকলকে হাসাতে খুবই ভালোবাসে সে। আর অঙ্কুশের এই খুনসুটির জন্যই মেতে থাকে ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চ।
