বাংলা সিরিয়াল

নিজের স্বার্থ সন্ধ্যা ও নীলের ভালো দেখতে গিয়ে তারাকে বলি দিল মাঠান! তারার উপর অন্যায় মানতে পারছে না দর্শক!

দুই বোনের মধ্যে যে হতে পারবে স্বার্থপর সেই হবে সুখী! স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক সন্ধ্যা তারাতে দুই বোনের জীবন একটি সুতোই বাঁধা! দুই বোন সন্ধ্যা ও তারা ভাগ্যের ফেরে একটি মানুষকে ভালবেসে ফেলে। এরপর মেজ দিদি সন্ধ্যার সুখের জন্য তারা নিজের ভালোবাসার মানুষ নীলকে রিফিউজ করে, মেজ দিদির ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে সে নিজের ভালোবাসাকে স্যাক্রিফাইস করে। কিন্তু সত্যি তো বেশিদিন চাপা থাকে না একসময় সমস্ত সত্যিই জানাজানি হয়!

আকাশ নীলের সাথে পূর্বের সম্পর্কের কারণে তারা মা হয়ে যায় আর এই সন্তানের বাবাকে জানতে গিয়ে সন্ধ্যা সমস্ত সত্যি জানতে পারে। আকাশ নীলের সাথে সন্ধ্যা যখন তারার বিয়ে দেবে বলে উঠে পড়ে লাগে তখন মাঠান এই বিয়েটা বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকে! মাঠান তখন তার স্বামীর আর এক সন্তানের সাথে তারার বিয়ে দেয়, মিলের দায়িত্ব নিজের হাতে পাবার আশায় ঘরে বউ থাকা সত্ত্বেও সেই ছেলে বিয়েতে রাজি হয়! বিয়ে হতে না হতেই সে তার আসল রূপ দেখাতে শুরু করে।

শ্বশুর বাড়িতে যেতে সে অস্বীকার করে কারণ সে মিলের মালিক আর কোনো মিলের মালিক কখনো মাটির ঘরে থাকতে পারে না, এরপর মাঠান যখন বলে তাই বলে তুমি নিয়ম মানবে না? সেই ছেলে তখন বলে,“ হ্যাঁ নিয়ম মানবো , আমি দ্বিরাগমনে আপনার বাড়ি আসবো”

তারার বরের এই চরিত্রের পরিবর্তন দেখে মাঠান ভাবতে থাকে কোন ভুল হলো না তো, সন্ধ্যা আর আকাশের জীবন বাঁচাতে গিয়ে তিনি তারাকে বলি দিয়ে দিলেন না তো? একই রকম ভাবে খটকা হতে শুরু করে তারার মনেও! সেও ভাবতে থাকে যে, প্রথম দিন সে যে মানুষকে দেখে ছিলো এই মানুষ তো সে নয়! অন্যদিকে তারার প্রতি এই অন্যায় দেখে দর্শক বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন মাঠানোর প্রতি।

আরও পড়ুন : রুচিরাকে বাঁচালো পর্ণা! পুলিশের জালে রনি, বুদ্ধির জোরে পর্ণা নির্দোষ প্রমাণিত হল!

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“মাঠান এর চরিত্র টা একদম অসহ্য
নিজের স্বার্থ আর সন্ধ্যা ও নীলের ভালো জন্য তারা কে সারাজীবন কষ্টের দিকে ঠেলে দিলেন যাইহোক তারা র গর্ভে নীলের সন্তান সন্ধ্যা কে সরে আসা উচিত ছিল
সন্তান টা তার আসল বাবা র পরিচয় পেত
তারার উপর এই অন্যায় হওয়ার পর থেকে এই সিরিয়াল দেখা ছেড়ে দিয়ে ছি
তারা শুধু কষ্ট পেয়ে গেল”

Related Articles