জুঁই চরিত্রটা সাধারণ মেয়েদের লড়াই করতে বলছে, এমন মেয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আশেপাশে! নিজের চরিত্র নিয়ে অকপট শ্বেতা
অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য(Sweta Bhattacharya) মানেই দর্শকদের মনে একটা আলাদা উন্মাদনা। বারবার ছোট পর্দায় যতবার তিনি নয়া ভূমিকায় এসেছেন ততবার এক কথায় হিট ধারাবাহিক। বর্তমানে ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দাতেও পা রেখেছেন অভিনেত্রী। তবে এবারে সোহাগ জল(Sohag Jol) নিয়ে ফিরেছেন তিনি। প্রোমো দেখে দর্শকরা মারাত্মক খুশি হলেও টিআরপি তালিকা তো সেভাবে জায়গা পাচ্ছে না এই ধারাবাহিক। সেই নিয়েই একান্ত ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিনেত্রী।
জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন ছিল সোহাগ জলে অন্য শ্বেতা। দর্শক প্রতিবাদী যমুনাকে খুঁজছে? অভিনেত্রীর কথা অনুযায়ী হতে পারে এটা একেবারে অন্য ধরনের চরিত্র আমার খুব ভালো লাগছে জুঁই করে। আমি তো একজন অভিনেত্রী যত নতুন নতুন চরিত্র আমার কাছে আসবে, আমি নিজেকে ততটাই এক্সপ্লোর করতে পারব। শাকিরা বরাবর দেখে এসেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। লড়াকু মেয়ের চরিত্রে। আমি ফাইটার। কিন্তু এখানেও সেই ফাইটটা রয়েছে। হয়তো উপস্থাপনটা আলাদা। হাতে কাটারি নিয়ে দৌড় কিংবা কাউকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে হুমকি দেওয়ার বিষয়টা নেই। এখানে ফাইটটা বাস্তব ফাইট। আমরা তো সিরিয়ালে লার্জার দেন লাইভ দেখি। সেটাতেই অভ্যস্ত কিন্তু এই ফাইট টা আসল। একটা মেয়ের জীবনে খুব কমন।
বোঝাতে চাইলেন জুঁই চরিত্রটা আসলে সাধারণ মেয়েদের লড়াইয়ের কথা বলছে।শ্বেতার কথা অনুযায়ী, খুব সাধারণ জুই। যার সাতগুলি কেউ নেই। মা বাবা দাদা প্রত্যেক এই প্রতারক বিয়ের স্বপ্ন তার ভেঙ্গে যায় যখন জানতে পারে তার স্বামী একটা চুক্তির জন্য তাকে বিয়ে করেছে। সে যখন দেখছে ভালোবাসা বলে কিছু নেই সবটাই সাজানো তখন সে সব ছেড়ে বেরিয়ে আসছে। শ্বশুরবাড়ি তাকে অনেক ভালোবাসা দিচ্ছে কিন্তু আসল মনে যখন তাকে নিয়ে কোনো চাওয়া পাওয়া নেই তখন সেখান থেকে সে নিজেকে সরিয়ে আনতে চাইছে। এটা লড়াই নয়? কোথায় যাবে মেয়েটি? তার যাওয়ার জায়গা নেই তবুও সে স্বামীর এই চুক্তি থেকে মুক্তি দিচ্ছে। তাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে তার আশ্রয় নেয় কোথায় সে যাবে বলতে পারছে না। জুই মনে করে ভালবাসাহীন প্রতিটা সম্পর্কই অবৈধ। এতে তো মারাত্মক রকমের প্রতিবাদ রয়েছে। এই গল্প কি আপনার অজানা বলুন? আশেপাশে দেখেননি এমন ঘটনা।
অভিনেত্রীর কথাটা এমন যেন তিনিও এই ঘটনার সাক্ষী। এমন প্রশ্ন যখন রাখা হয় সরাসরি উত্তর দিয়েছেন শ্বেতা।’ কেন নয় বলুন তো। আশেপাশে এমন লড়াকুজ হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমারই এক বন্ধু জেতার সম্পর্কের জন্য নাচ ছেড়ে দিয়েছে অভিনয় ছেড়ে দিয়েছে সব ছেড়েছে। আমি হাত ধরে সংসার করার জন্য ও সব করতে পারত। কি হলো বিয়ের পর পরিস্থিতি এমন জায়গায় গেল ডিভোর্স হলো। তার একটা মেয়ে আছে। তাকে নিয়েই চলছে লড়াই। সে কি প্রতিবাদী নয়? সে ফাইটার নয়? এগুলো সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে না। আমরা ওই কাটারী নিয়ে দৌড়াচ্ছি ওটাই চোখে পড়ে’।
টিআরপি তালিকাতে সোহাগ জল যে দাঁড়াতে পারছে না, সেই নিয়ে অভিনেত্রীর কি মতামত? এটার উত্তরও দিয়েছেন তিনি।শ্বেতা জানিয়েছেন,’ দেখুন দর্শকদের দেখছে না এমনটা তো নয়। রাত নটার স্লটে স্টেডি টিআরপি। ধীরে ধীরে মানুষ জুইকে চিনছে। ভালোবাসা দিচ্ছে। আমার মনে হয় আর কিছুদিন চলতে চলতে দর্শক বুঝতে পারবে জুঁইও তাদের মধ্যে একজন। কিছুটা সময় দর্শকদের দিতে হবে। প্রচুর ধারাবাহিক হচ্ছে ভালো ভালো। ফলে পর্দার লড়াইটা তো বাদ দেওয়া যায় না’।
