বাংলা সিরিয়াল

একটা সুন্দর গোছানো গল্পকে শেষ করে দিলেন লেখিকা! দেখে রীতিমতো জোর করে বন্ধ করে দেওয়া মনে হচ্ছে, হঠাৎ করে ‘বালিঝড়’ শেষ করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ দর্শক

বাংলা ধারাবাহিক জগতে একটা গল্প টিআরপি তালিকায় টিকে থাকতে না পারলে সেটাকে বন্ধ করে দেওয়া একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই জায়গায় আসছে নতুন নতুন ধারাবাহিক। পুরনো ধারাবাহিক যাওয়া মানেই নতুন গল্পের আগমন। দিন শেষে টিআরপি শেষ কথা বলে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে। টিআরপি যত তাড়াতাড়ি নিচে নামবে তত তাড়াতাড়ি বন্ধ হবে ধারাবাহিক।

সে ২ বছর পুরোনো ধারাবাহিক হোক বা ৬ মাস বয়সের কোনো ধারাবাহিক। টিআরপি থাকলে ধারাবাহিক থাকবে নয়তো বন্ধ। খেয়াল করে দেখবেন ধারাবাহিক জগতের দুটি লিডিং চ্যানেল জি বাংলা এবং স্টার জলসাতেও একই জিনিস হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জি বাংলা এবং স্টার জলসায় মাত্র ৩ মাসে বন্ধ হয়েছে ‘বৌমা একঘর’ কিংবা ‘মাধবীলতা’র মতো ধারাবাহিক।

এবার আরো কম সময়ে মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে বন্ধ হয়ে গেলো লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লিখিত একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক। সেটি হলো স্টার জলসায় বালিঝড়। ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকেরা জানবেন গল্পের শেষ মোটেই মনের মতো হয়নি দর্শকদের। অনেকেই বলছেন ঠিক যতটা সুন্দর করে শুরু করা হয়েছিল গল্পটা ততটাই খারাপ ভাবে শেষ করে দিলো। বিশেষত যেটা চোখে লেগেছে মানুষের সেটা হলো মাত্র ৪ টি চরিত্রকে সামনে নিয়ে শেষ হলো গল্প।

শেষ পর্বে ঝোরার পরিবার, স্রোতের পরিবার আর না মহার্ঘ্যের পরিবার। পুরো একটা গোটা পর্ব ধরে শুধুই ঝোরা আর মহার্ঘ্যের মান অভিমান দেখিয়ে কাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে কমলিকার সাথে মহার্ঘ্যের বিয়ে দিতে পাগল হয়ে উঠলো ঝোরা। তারপর হঠাৎ করেই মহার্ঘ্যের কথাবার্তায় গলে গিয়ে দুজনের মিল হয়ে গেল। সমুদ্র সেনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কি হলো, নায়িকা আগেও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেন কিনা কোন কিছুই স্পষ্ট রইল না।

 

Related Articles