প্রিয় জুটি ফিরতেই তাঁরা ফ্লপ! কেন হয় এমন? কী বলছেন বাংলার দর্শক
বলিউড হোক বা টলিউড সর্বত্র ধারাবাহিক নিয়ে কাজ চলছে সব সময়। আর সেগুলি দর্শক মহলে ভীষণ জনপ্রিয়। এই ধারাবাহিকগুলি মূলত শুরু হয় নায়ক নায়িকার বিভিন্ন গল্পকে কেন্দ্র করে। ধীরে ধীরে দর্শক মহলে তারা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কিন্তু ধারাবাহিক তো সারা জীবন চলতে পারেনা। একটা জিনিস শুরু হয়েছে মানে শেষ হতেই হবে।
কেই আবার চান না একই জুটি আবারো পর্দায় দেখতে। তবে কিছু দর্শকের চাহিদা মেটাতেই ফিরে আসেন এই জুটি গুলি। তবে একথা ঠিক যে আগের মতো জনপ্রিয়তা পাননা এই পুরনো জুটিগুলি।
যেমন ধরুন জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক ছিল ‘কৃষ্ণকলি’। এই ধারাবাহিকের কৃষ্ণকলি এবং নিখিলের জুটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল দর্শক মহলে। ধারাবাহিকটিতে আমরা এই দুটি চরিত্রে দেখেছিলাম টেলিভিশনের জনপ্রিয় দুই অভিনেতা অভিনেত্রী তিয়াশা লেপচা এবং নীল ভট্টাচার্যকে। একটা সময় তাঁরা রীতিমতো মাতিয়ে রেখেছিলেন জি বাংলা।
তবে স্টার জলসায় তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয় স্টার জলসার ‘বাংলা মিডিয়াম’ ধারাবাহিকের হাত ধরে। তবে তেমন জনপ্রিয়তা তাঁরা অর্জন করতে পারেননি। এরই মতো আবার ‘মোহর’ ধারাবাহিকের শঙ্খ এবং মোহরের জুটিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ‘এক্কা দোক্কা’ ধারাবাহিকের হাত ধরে। তবে এর পরেও জনপ্রিয়তা রাখতে পারেননি এই জুটি। আবার গুনগুন সৌজন্যের জুটিকে ফিরিয়ে আনা হয় বালি ঝড়ের মহার্ঘ্য ঝোরার হাত ধরে। কিন্তু তাও জনপ্রিয়তা আসেনি।
তবে খেয়াল করে দেখুন জি বাংলার জবা পরমের জুটি ভেঙে এসেছে পর্ণা সৃজনের জুটি। এরা কিন্তু একেবারে হিট। আবার পরমকে আমরা দেখছি ‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিকের মিতুলের সাথে। সেটিও সুপার ডুপার হিট। এই সম্পূর্ণ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এক ধারাবাহিক প্রেমী লিখেছেন, ‘জলসা এদিকে কৃষ্ণকলি, মোহর, খড়কুটো তিনটে ব্লকবাস্টার ধারাবাহিকের জুটি বেঁধেও কোনোটাই তেমন কিছু করতে পারছে না, অন্যদিকে জি, কে আপন কে পর এর জনপ্রিয় জুটি ভেঙে খেলনা বাড়ি, নিম ফুলের মধু দুটোকেই ব্লকবাস্টার করে দিলো, তাই প্রিয় জুটি ফিরিয়ে ফ্লপ না খাওয়াই ভালো’।