বাংলা সিরিয়াল

‘রূপা গাঙ্গুলী একা নন আরো তিন জন শিল্পী চরিত্রের অবনমনে সিরিয়াল ছেড়ে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন!’তিন শিল্পীর জয়জয়কার সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে!কারা তারা?

নিত্যদিনকার ধারাবাহিকে সেই একই জিনিস থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়। ধারাবাহিকের প্রোমো তে দেখায় এক জিনিস আর ধারাবাহিক যখন এপিসোড হিসেবে নিত্যদিন হতে শুরু করে তখন দেখা যায় আকাশ পাতাল ফারাক। একটা সুন্দর ফ্রেশ গল্প নিয়ে শুরু হয় ধারাবাহিকের পথ চলা কিন্তু কিছু সপ্তাহ যেতে না যেতেই গল্প পরিবর্তন হয় আর গল্পের মধ্যে ঢুকে যায় পরকীয়া, এক নায়কের দুটো বিয়ে, নায়কের চরিত্রের দোষ, নায়িকার আকাশ মাটি ভেদ করা স্ট্রাগল- ইত্যাদি অবাস্তব জিনিসে পরিপূর্ণ করে গল্পটি পরিবেশন করা হয় আমাদের কাছে। দর্শকের এক অংশের মানুষ তখন ক্ষোভে পরিপূর্ণ হয়ে উঠলেও দীর্ঘদিনের অভ্যাসবশত হয়তো সেই ধারাবাহিক ছাড়তে পারে না, কিছু মানুষ আবার ধারাবাহিকের মধ্যে কুট কাচালি প্রবেশ করলে সেই ধারাবাহিক দেখাই ছেড়ে দেন, কিন্তু এটা তো গেলো দর্শকের কথা!

যে সকল অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সেই সকল ধারাবাহিকে অভিনয় করেন, তারা কোন প্রতিবাদ না করেই দিনের পর দিন নানান রকম চরিত্রে অভিনয় করেন এবং পর্দার চরিত্রের অবনমনকেও মেনে নেন। কিন্তু সবাই আবার একরকম নয়, এই কিছুদিন আগে স্টার জলসার মেয়ে বেলার রূপা গাঙ্গুলী যেমন বিথী চরিত্রের অবনমন মানতে না পেরে ধারাবাহিক ছেড়ে দিয়েছিলেন, এর আগে আরো অনেকেই কিন্তু ধারাবাহিকের চরিত্রের অবনমন মানতে না পেরে ধারাবাহিক ছেড়ে দিয়েছেন, সেই সময়ের মতো সেগুলো কিছুটা প্রকাশ্যে এলেও হয়তো রূপা গাঙ্গুলির মতো তারা অতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন না, তবে নিজেদের মতো গণ্ডিতে তারাও প্রতিবাদ করেছেন। একজন দর্শক সম্প্রতি এরকমই আরো দুজন শিল্পীর উল্লেখ করে তাদের মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন, রূপা গাঙ্গুলির পাশে তিনি উল্লেখ করেছেন আরো দুটি জনপ্রিয় নামের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আজকের এই পরিস্থিতিতে এসে আমি তাদের তিনজনের সৎ সাহসের জন্য আমি তাদেরকে স্যালুট জানাচ্ছি।

রূপা গাঙ্গুলী ম্যাম মেয়েবেলার কুটকাচালি জঘন্য কাহিনীর জন্য সৎ সাহস দেখিয়ে প্রতিবাদের সাথে মেয়েবেলা ছেড়ে দিয়েছে ।

নিবেদিতা ম্যাম ওরফে কৃষ্ণকলির শ্যামার শাশুড়ি, কৃষ্ণকলির পর যখন উমা তে আসেন। তখন তাকে শুকতারা নামের একটা জঘন্য চরিত্র দেয়।
যার জন্য তিনি ও কয়েকদিন অভিনয় করার পর সৎ সাহস দেখিয়ে উমা সিরিয়াল ছেড়ে দেন।

তারপর কনীনিকা ম্যাম,
আয় তবে সহচরীতে তাকে আনা হয় একটি অবহেলিত বৌয়ের চরিত্রে, কম বয়সে বিয়ে হয়ে গেছে, স্বামী শশ্বুর বাড়ি সামলাতে তার পড়ালেখা শেষ হয়ে যায়, তবুও স্বামী শশ্বুর বাড়িতে যোগ্য সন্মান পায় নি। শুধু অবহেলা পেয়েছে।
কিন্তু মাঝ বয়েসে এসেও সে লেখাপড়া করতে চায়। মূলত লেখাপড়া নিয়েই এই সিরিয়াল।
কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ডিরেক্টর ও রাইটার্স মূল গল্প থেকে সরে যায়, লেখাপড়ার পার্ট উড়িয়ে দিয়ে নোংরা পরকীয়ার জঘন্য পার্ট শুরু করে। যার জন্য কনীনিকা ম্যাম আয় তবে সহচরী ছেড়ে দেন।

তারপর বলি রোহান দার বিষয়ে,
রোহান দা সিরিয়ালের কুটকাচালি, পরকীয়া হাজার বার বিয়ে এসব জঘন্য কাহিনীর জন্য সিরিয়াল করা বাদ দিয়েছেন।

তাদের মতো যদি প্রতিটি অভিনেতা অভিনেত্রীরা সৎ সাহস দেখাতে পারত,
তাহলে, ডিরেক্টর আর রাইটার্সরা এসব ফালতু সিরিয়াল না বানিয়ে ভালো সিরিয়াল বানাতো। আজ তাহলে সিরিয়াল নিয়ে হাসাহাসি, ট্রল হতো না। সিরিয়াল গুলো সন্মানীয় হয়ে থাকত
সিরিয়াল/ধারাবাহিক হলো সমাজের আয়না। বাস্তব চিত্র তুলে ধরাই হলো ধারাবাহিকের প্রধান উদ্দেশ্য।
তা দেখে মানুষ নিজের চরিত্র, জীবন,সমাজ বদলাবে।
কিন্তু কোথায় আজ সেই সিরিয়াল। প্রতিটি সিরিয়ালেই কুটকাচালি, পরকীয়া, হাজার বার বিয়ে, অবাস্তব কাহিনী দিয়ে ভরপুর।

প্রতিটি অভিনেতা অভিনেত্রীরা যদি রূপা গাঙ্গুলী, নিবেদিতা ম্যাম, কনীনিকা ম্যাম, রোহান দার মতো সৎ সাহস দেখিয়ে ফালতু সিরিয়াল ছেড়ে দেবার মতো সাহস রাখতো। তাহলে সিরিয়াল গুলো আজ সমাজের কাছে প্রসংসনীয় হয়ে উঠত

রূপা গাঙ্গুলী,নিবেদিতা ম্যাম, কনীনিকা ম্যাম, রোহান দা আপনাদের সবাইকে স্যালুট জানাই ”

Related Articles