টলিউড

“রবীন্দ্র সঙ্গীত কোনও ছেলেখেলা নয়, এটা রবীন্দ্র সংগীত মাথায় রাখা উচিত” – মীরের গলায় বিকৃত সুরে রবীন্দ্র সংগীত শুনে রীতিমত বিরক্তদর্শক

রবীন্দ্র শিল্পের সাথে বাঙালির নাড়ির টান আজকের নয় বহুদিনের। রবীন্দ্রনাথের কবিতা, ছোট গল্প, গল্প, উপন্যাস, নাচ, গান সফটওয়্যার সাথেই রীতিমতো আবেগ জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির। তাই বাংলায় বাঙালি রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে যদি কেউ একটুও এদিক ওদিক করে তবে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না বাঙালি। তা সেই ব্যক্তি যেই হোক না কেন। এবার রবীন্দ্রনাথের গান বিকৃত সুরে গাইতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল এর মুখে পড়তে হলো মীরকে।

সম্প্রতি মীর তাঁর নিজস্ব ব্যান্ড ব্যান্ডেজ এর সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীতের গান গেয়েছেন। যদিও মীরকে তাঁর ব্যান্ডেজ এর দলের লোকেরা সঙ্গত দিলেও ভুল সুরে বিকৃতভাবে গান গাইতে শুনতে পাওয়া যায় মীরের গলায়। আর এটা শুনেই রীতিমত বিরক্ত হচ্ছেন দর্শক। মীরের অভিনয় কিংবা উপস্থাপনা অথবা কণ্ঠস্বর কোনটিতেই কোন কথা তোলার প্রশ্নই আসে না দর্শকের। সকলেই মুগ্ধ মিরের প্রতি। কিন্তু এবারে মীরের গলায় বিকৃতভাবে রবীন্দ্র সংগীত শুনে বিরক্তই হয়েছেন দর্শক।

রবীন্দ্র সংগীত নিজের সাধ্যমত গাইতে না পারায় সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম ট্রোলের সম্মুখীন হয় মীর। খুবই নিষ্ঠুরভাবে কিছু মানুষ তাঁকে মনে করিয়ে দেন যে স্টেজে দাঁড়িয়ে লোক হাসানো আর রবীন্দ্র সংগীত গিয়ে মানুষের মনের সুরের ঝলক পৌঁছানো এক কথা নয়। কমেডি অভিনয় কিংবা রেডিওর দুনিয়ায় আপনি উঁচু স্থানে যেতেই পারেন কিন্তু রবীন্দ্র সংগীতকে আয়ত্তে আনতে হলে অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। আপনার কাছে এই বিকৃত মনস্কতা একেবারেই কাম্য নয়। এমনই বেশ কিছু কমেন্ট দেখতে পাওয়া গিয়েছে।

একজন মন্তব্য করেছেন, “যেমন তেমন গান না এটা রবীন্দ্র সংগীত। মাথায় রাখা উচিত। মূল সুর থেকে সরে গেছে গানটি”। আরেকজন লেখেন, “গান গাইছেন না শুনে মনে হচ্ছে গানটিকে ব্যঙ্গ করছেন”। যদিও মীরের ফ্যানেরাও এ বিষয়ে যথেষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলেছেন মীরের ফ্যান হতে পারে তাই বলে এসব মেনে নেব না। মনে রাখতে হবে অভিনয় জগত মিরাক্কেলের স্টেজের সাথে কোন তুলনা হয় না রবীন্দ্র সংগীতের গানের।

Related Articles