টলিউড

গুরুজীর গৃহত্যাগের সিদ্ধান্ত! তবে কী মল্লারই বিয়ে দেবে রঞ্জার ?

জনপ্রিয় ধারাবাহিক পিলুর দর্শকদের জন্য এক একটা নতুন চমক। পিলুকে কেন্দ্র করে গল্প আবর্তিত হলেও সেই গল্পের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে আহির, রঞ্জা, মল্লারের মত একাধিক চরিত্র। ‌ধারাবাহিকের শুরুর দিকে আহিরের প্রতি রঞ্জার অনুরাগ দেখানো হলেও পিলু-আহিরের বিয়ের পরেই সম্পরৃক মোড় নেয় অন্যদিকে। রঞ্জার জীবনে আসে বসুমল্লিক বাড়ির ছেলে মল্লার। আহিরের ভাই মল্লারের সাথে রঞ্জার প্রথম দিকে তীব্র মনোমালিন্য থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রঞ্জা আর মল্লার একে অপরের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে। ঠিক তখনই মল্লারের এক সিদ্ধান্তের জন্য ফের তোলপাড় শুরু হয় রঞ্জার জীবনে।

বাড়ির সকলের চোখের সামনেই মল্লার সবটা যেন ভেঙে দেয় । তবে সেক্ষেত্রে মল্লারের দোষ ছিল না বললেই চলে। রঞ্জার ভাল চেয়েই মল্লার রঞ্জার হাতে তুলে দিয়েছিলেন ডিভোর্সের পেপার। তবে মল্লারের এই সিদ্ধান্তকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি রঞ্জার বাবা অর্থাৎ আদিত্য নারায়ণ মুখোধ্যায়। মানসিকভাবে চূড়ান্ত বিপর্যস্ত হয়ে গিয়ে তিনি চন্দননগর ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা মনোস্থির করেন। শুধু তাই নয়, তীব্র মনোকষ্টে মেয়ে রঞ্জাকে জানিয়ে দেন, তাঁর মেয়ের কাছে তিনি মৃত।

আদিত্য নারায়ণের একটাই স্বপ্ন, সম্মান বাঁচাতে, ঘরানা বাঁচাতে মেয়ের আবার বিয়ে দেওয়া। এদিকে, রঞ্জাকে যখন কুশলের সাথে দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বলা যায়, তখন রঞ্জার কাছে সামগ্রিক পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে ওঠে। রঞ্জার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরেই গুরুজি অর্থাৎ রঞ্জার বাবা আর কোনও দিন না ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

ঠিক তখনই মল্লার জানায়, রঞ্জার এই বিয়ে যদি না দেওয়া হয়, তবে গুরুজি কষ্ট পাবেন। ফলে মল্লার শুধুমাত্র গুরুজির চলে যাওয়া আটকাতে পিলু ও আহিরের কাছে সাহায্য চায়‌। শুধু তাই নয়, গুরুজির কাছে নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইবার কথা ভুলে গিয়ে বিয়ের কথা ভাবতে থাকে। কারণ মল্লারের বিশ্বাস, গুরুজী চলে গেলে রঞ্জা বড়ই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বে। কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছে রঞ্জা! তবে কি মল্লারই দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেবে রঞ্জার! উত্তর মিলবে আগামীতে।

Related Articles