
করোনা মহামারীর জন্য গোটা দেশজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিলো। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছিলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলো, এই সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতিরোধ গড়ে তুলবার জন্যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়। তবে কিছু মানুষজন ভ্যাকসিন নিয়েও ঠিক নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না। এইরকম অবস্থায় ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদিজীর পাশে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ভ্যাকসিনের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আরও পড়ুন: মন্দিরের চাঁদা দিতে অক্ষম দলিত যুবককে থুতু ছিটিয়ে নাকখত দিতে বাধ্য করলো খাপ পঞ্চায়েত
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভারতীয় ভ্যাকসিন সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, তিনি ভারতের করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন যা ভালো কাজ করছে। এই ভ্যাকসিনের দ্বারা বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এদিন শুক্রবার নয়া দিল্লিতে মোদির সাথে দেখা করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। এরপর হায়দ্রাবাদ হাউসে দুইদেশের যৌথ বিবৃতির মধ্যেই ভারতের করোনা টিকা সম্পর্কে জনসন বলেন,“বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরি করা হয়েছে, এই টিকা ১০০ কোটিরও বেশি মানুষকে টিকা হিসেবে দিতে ব্যবহার করা হয়েছে। আমিও ভারতীয় করোনা টিকা নিয়েছি। যা ভালো কাজ করেছে। ভারত কে ধন্যবাদ।”
ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকার সাথে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে করোনার টিকা শুরু করেছিল। এসআইআই অর্থাৎ সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া সেই টিকা তৈরি করে নাম দেয় কোভিশিল্ড। এটিই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নিয়েছিলেন। যে টিকা নিয়ে আজকে প্রকাশ্যে ভূয়সী প্রশংসা করে মোদীর পাশে দাঁড়ান তিনি।
এইদিন করোনা ভাইরাসের প্রসঙ্গ ছাড়াও জনসনের যৌথ বিবৃতিতে উঠে এসেছিল নিরাপত্তা প্রসঙ্গও। যৌথ বিবৃতিতে এইদিন জনসন আরো বলেন, “আমাদের দারুন কথা হয়েছে। সব দিক থেকে মজবুত হয়েছে আমাদের সম্পর্ক। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ভারত এবং ব্রিটেনের যে সম্পর্ক আছে তা বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।” এরপর নাম না করে চীনের উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দেন, “গত বছর থেকে স্বৈরাচারী জোটের তরফ থেকে বিপদ তৈরি করা হচ্ছে তাই ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত রাখার জন্য আমাদের সমন্বয়ে গড়ে তুলতে হবে। ইন্দোপ্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত রাখতে আকাশপথ, মহাকাশ এবং সমুদ্রপথে সমস্যার মোকাবিলা করতে একমত হয়েছি আমরা। নিজেদের দেশে তৈরি শক্তির ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই সফরের ফলে আমাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।” – ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।