বাংলা সিরিয়াল

‘গল্পের গরুকে গাছে নয় চাঁদে পাঠানো হলো! জীবনেও জিমন্যাস্টিক না শিখে ইন্টারন্যাশনাল জয়ী ফড়িঙের ছদ্মবেশে থাকা জনি!’আলতা ফড়িং এর পর্ব দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন নেটিজেন!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আলতা ফড়িং’ এ একটি নতুন ট্র্যাক এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ফড়িংয়ের যমজ বোন এসেছে,তার নাম জনি। এই জনি আসার পরই ধারাবাহিকে টানটান উত্তেজনা মুখর পর্ব এসেছে,জনি ও তার দুই সঙ্গী একটি গ্রামের বড় লোক বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে যায়, কিন্তু সেখানে গিয়ে জনি দেখে সেই ভদ্রলোককে আগেই কেউ খুন করে রেখেছে। তাই খুনি ভেবে পুলিশ তাকে অ্যারেস্ট করে। এরপর জনি বলে সে ফড়িং আর জনি ফড়িং সেজে চলে গেছে। অন্যদিকে ফড়িং তার ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিক কম্পিটিশনে যাবে বলে প্রস্তুত তখন পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে আসে।

জনি আর ফড়িং মুখোমুখি হলে জনি ফড়িংকে বোঝায় যে তাকে বের হতে দেওয়া হোক, সে খুনিকে হাজির করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে। ফড়িং বলে সে সাহায্য করবে কিন্তু তার ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন কমপ্লিট করার পর, এরপর জনি ফড়িংকে অজ্ঞান করে ফড়িং এর পোশাক পরে থানা থেকে বেরিয়ে যায়। ধারাবাহিকে দেখানো হয় যে, জনি ফড়িংএর মতো জিমন্যাস্টিক্স না জানায় প্রথম দুই রাউন্ডে সে খারাপ ফলাফল করে এরপর কঠোর পরিশ্রম করে লাস্ট দুটো রাউন্ডে সে জয়ী হয়। তার দিদি ফড়িং এর মান রেখে এসে ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর থানায় ফড়িং এর সাথে দেখা করে ফড়িং কে মেডেলটা দিতে চাইলে ফড়িং বলে এটা জনির‌ই প্রাপ্য। এরপর জনি প্রতিজ্ঞা করে সে ফড়িংকে নির্দোষ প্রমাণ করে মুক্ত করবে।

আলতা ফড়িং এর এই এপিসোড দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন,
“আজকে এককথায় দুর্দান্ত হল আলতা ফড়িং । জনি নিজের প্রতিজ্ঞা রক্ষা করলো । সে তার দিদির সম্মান বাঁচালো । প্রথম রাউন্ডে খারাপ পারফরম্যান্স করার পরে লাস্ট দুটি রাউন্ডে সে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দুর্ধর্ষ জিমন্যাস্টিকস করলো । তারপরেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ যেখানে ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়ান হলো ফড়িং রূপী জনি । তবে ব্যাক্তিগত ভাবে আমি এই বিষয় টাকে একদমই সাপোর্ট করি না । যে কোনোদিন ও জিমন্যাস্টিকস করে নি … তার পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিকস কম্পিটিশন জেতা একপ্রকার অসম্ভব একটি বিষয় । হয়তো আলতা ফড়িং শেষ করবে বলেই সুশান্ত কাকুর এমন সিদ্ধান্ত । তবে যে যাই বলুক না কেনো খেয়ালি দির জিমন্যাস্টিকস নিয়ে কোনো কথা হবে না । জনি তার দিদিকে ইন্টারন্যাশনাল থেকে মেডেল এনে দিলো … এবার সে নিজের দিদিকে কিভাবে জেল থেকে মুক্ত করে এবং নিজেকে কিভাবে নির্দোষ প্রমাণিত করে এখন সেটাই আসল সাসপেন্স ।”

এই বিষয়টির সাথে অনেকেই একমত হয়ে বলেছেন যে, “যে কখনো জিমন্যাস্টিক করে নি তার পক্ষে এই কম্পিটিশন জেতা অসম্ভব! ধারাবাহিক দেখে মনে হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ গাঁজা খেয়ে স্ক্রিপ্ট লেখা হয়েছে! গল্পের গরুকে একবারে গাছে নয় চাঁদে পাঠিয়ে দেওয়া হল।”

Related Articles