বাংলা সিরিয়াল

ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে মৌনি রায়কে ফোকাস না করে, দীপান্বিতা কুন্ডুকে নিয়ে অত্যাধিক বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে! এসব দেখে বিরক্ত দর্শক

জি বাংলার জনপ্রিয় একটি নন ফিকশন ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে বেশ কিছুদিন বিচারকের আসনে উপস্থিত ছিলেন মৌনি রায়। তিনি পেশায় একজন অভিনেত্রী যিনি প্রাথমিকভাবে কাজ করেন হিন্দি টেলিভিশন জগত এবং সিনেমা জগতে। তিনি প্রথম ২০০৬ সালে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিক ‘কিউকী সাস ভি কাভি বহু থি’-এর হাত ধরে। এছাড়াও পাঞ্জাবি ছবিতে ২০১১ সালে ‘হিরো হিটলার ইন লাভ’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন। এর পরে ২০১৮ সালে ‘গোল্ড’ সিনেমার হাত ধরে হিন্দি চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন।

এর মধ্যে আবার অতিপ্রাকৃত থ্রিলার ‘নাগিন’ এবং এর সিক্যুয়েল ‘নাগিন ২’ – এ অভিনয় করেছেন। এর পরেই হিন্দি টেলিভিশনের সর্বোচ্চ আয়ের অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠে। তিনি ভারতীয় টেলিভিশন একাডেমি পুরস্কার এবং স্বর্ণ পুরস্কার সহ বিভিন্ন পুরস্কারের ভূষিত হয়েছেন। ফিল্ম ফেয়ার পেয়েছেন সেরা মহিলা নবাগতা মনোনয়নের ক্যাটাগরিতে। এছাড়াও সম্প্রতি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমাতে জুনুন চরিত্রে অভিনয় করে বিপুল প্রশংসিত হয়েছিলেন।

তবে বর্তমানে কিছুদিন আমরা তাঁকে দেখতে পেয়েছি জি বাংলার ডান্স বাংলা ডান্স এর মঞ্চে বিচারকের আসনে। কিন্তু তাঁর অনুগামীদের কথায় তাঁকে যতটা প্রাধান্য দেওয়ার কথা তিনি নাকি সেই ততটা প্রাধান্য পাননি। কিন্তু ওই একই শোতে আরো দুই বিচারক শুভশ্রী এবং শ্রাবন্তী অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছেন। বিশেষ করে তো রাজ পত্নী শুভশ্রী। কিন্তু মৌনীকে যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়ায় বেশ ক্ষিপ্ত হয়েছেন দর্শক।

কিন্তু সব থেকে বেশি বিরক্তিকর হলো দীপান্বিতা কুন্ডু। এই পান্তা ভাতের কুন্ডুকে নিশ্চয়ই মনে আছে সকলের। একবারে বাচ্ছা বয়সে নিজের নাচ, এক্সপ্রেশন, কথাবার্তা দিয়ে সে মন জয় করেছিল সকলের। তখন থেকেই এমজি মিঠুন তাঁকে পান্তা ভাতের কুন্ডু বলেই ডাকেন। সেই থেকেই তিনি পান্তা ভাতের কুন্ডু নেমেই বিশেষ পরিচিত।

ডান্স বাংলা ডান্স সিজন ৬ এ যখন তিনি ছিলেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ৪ থেকে ৫ বছর। তার পর থেকে যদিও তাঁকে আর পর্দায় দেখা যায়নি। এই কয়েক বছরে নাচের দক্ষতা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে আবারো ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে ফিরেছে তিনি। মাঝের ১২ বছরের মধ্যে এখন সে যথেষ্ট বড়ো হয়ে গিয়েছেন। মহাগুরু মিঠুন পর্যন্ত ১২ বছর পর সেই ছোট্ট পান্তা ভাতের কুন্ডুর এই পরিবর্তন দেখে অবাক।

তাঁকে দেখে অবাক হয়ে মিঠুন বলেছিলেন, ‘ও মাই গড! পান্তাভাতের কুণ্ডু!’ এই সিজনের একদম প্রথম থেকেই মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের দীপান্বিতার নাচ দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন বিচারকের আসনে থাকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, মৌনি রায়, এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এমনকি এমজিও নিজের আসন ছেড়ে উঠে দীপান্বিতাকে জড়িয়ে ধরেন। আবার বলেন সত্যিই গর্ব হচ্ছে। এসব দেখেই রীতিমত বিরক্ত হয়েছেন দর্শক।

Related Articles