বাংলা সিরিয়াল

‘গুড্ডি অনুজের আত্মঘাতী টক্সিক ভালোবাসা আসলে অভিশাপ!রণজয় শ্যামোপ্তি না থাকলে বলতাম ভৌতিক মুভি ও এর থেকে ভালো!’কাহিনীর গুণে নয় প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীকে দেখার জন্যই গুড্ডি দেখেন গুড্ডি ফ্যানেরা!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গুড্ডি’ নিয়ে দর্শকদের আশা আকাঙ্খার শেষ নেই। এই ধারাবাহিক তুমুল জনপ্রিয়,এই ধারাবাহিকে গুড্ডি ও অনুজ চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্যামোপ্তিও রণজয়। পছন্দের অভিনেত্রী ও অভিনেতাকে একসাথে এক ফ্রেমে দেখার জন্য প্রচুর মানুষ গুড্ডি দেখেন, কিন্তু যে সমস্ত মানুষ গুড্ডা ধারাবাহিকের অন্ধ ফ্যান,তারা নিজেরাও ব্যক্তিগত পরিসরে স্বীকার করেন যে, শুধুমাত্র অভিনেতা আর অভিনেত্রীর অভিনয় দেখার জন্যই তারা এই ধারাবাহিকটি দেখেন, নয়তো এই ধারাবাহিকের থেকে দিনশেষে যে কিছুই শেখার নেই, এই ধারাবাহিক যে চূড়ান্ত টক্সিক তা স্বীকার করতে তাদের এতটুকুও দ্বিধা নেই।

ধারাবাহিকে এই গুড্ডি অনুজের চরিত্রে নায়ক নায়িকা হিসেবে তাদের পছন্দের অভিনেতা অভিনেত্রী না থাকলে এই ধারাবাহিক যে ভৌতিক মুভির থেকেও বেশি ভয়ংকর তা তারা স্বীকার করেন এক বাক্যে। একই সাথে তারা এটাও মনে করেন যে, গুড্ডি অনুজের এইরকম আত্মঘাতী টক্সিক ভালোবাসা আসলে অভিশাপ!

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“ধরা যাক রণজয় শ্যামৌপ্তি এরা গুড্ডি,অনুজ চরিত্রগুলি প্লে করেনি

তাহলে গুড্ডি একটি ভয়াবহ সিরিয়াল
সাংঘাতিক চাপের ব্যাপার!horror movie এর থেকে ভালো

এখানে গুড্ডি আর অনুজের বিয়ে দিয়ে শিরিন অনুজের ফুলসজ্জার ঘরে থেকে যাচ্ছে।যতোই অনুজ অনুরোধ করুক, নিজের একটা মূল্যবোধ থাকা উচিত প্রত্যেক মানুষের।লুকিয়ে বিয়ে করা একটা ছেলেকে কোনো সুযোগ দেওয়া যায় না!কাওকে বাঁচাতে গেলে মন্ত্র পড়ে সব বিধি মেনে বিয়েও করতে হয় না!নিজে নিজে সিঁদুর পড়েও বৌ সাজা যায়।ওদিকে গুড্ডি সবার কাছে চূড়ান্ত অপমানিত,লাঞ্ছিত হওয়া সত্ত্বেও ডিভোর্স দিয়ে, আরেকটা বিয়ে করে নেওয়া বরকে খিচুড়ি খাওয়াচ্ছে আবার তাকেই স্বামী মানছে আজীবন।ভাবনা চিন্তার বাইরে!এরকম আত্মঘাতী,toxic ভালোবাসা অভিশাপ।গুড্ডির জীবনে অভাশাপই নেমে আসে

শিরিন বারবার ঠকেছে।দিনের আলোর মতোন পরিস্কার সব।জিজ্ঞেসও করছে নিজের বরকে যে ওই রাতটা তোমরা enjoy করেছিলে না কি?!তাও জেদ করে সম্পর্কে টিকে থাকছে গুড্ডির কাছে হারবে না বলে!পাক্কা ভিলেন!পরিস্থিতি কাওকে ভিলেন বানাতে পারে না।মানুষ যে কোনো সময়ে অকপটে সত্য বলতে পারে সবার সামনে।নির্মোহ হয়ে শান্তির পথ বাছতে পারে।শিরিন তা করে নি

অনুজ দুই জনের একজনকেও ছাড়তে পারছে না!সে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলবে

সব মিলিয়ে অস্বচ্ছ, অসফল সম্পর্ক, দুর্ভোগ, প্রতারণা সব দিক দিয়ে বিরাজমান

এসব দেখার পর মানুষ কাওকে বিশ্বাস করতে ১০০ বার ভাববে

যেখানে মানুষ বাবা,মার থেকে কোনো দুই দিনের উৎপটাং ছেলে মেয়েকে বিশ্বাস করে প্রাণ দিয়ে দিচ্ছে, সেখানে আশাবাদী ধারাবাহিক বানালে ভালো লাগে।সন্দেহ বেড়ে যায় এগুলি দেখে।সন্দেহ খুব খারাপ অসুখ।সন্দেহের কোনো শেষ নেই।আবার একেবারে অন্ধ থাকাও যায় না

এইসব ধারাবাহিক থেকে কেউ কিছু শেখে বলে মনেও হয় না।জীবন সজোরে ধাক্কা না মারলে কিছুতেই অন্যের কাছে শোনা জ্ঞান সাহায্য করতে পারে না সার্বিকভাবে।তাহলে এগুলি বানানোর কি দরকার??

সব দম্পতি এখনো এমন হয়ে যায় নি।এতো খারাপ সময়ও আসে নি।তাদের গল্পও তো বলা যায়।অথবা ধারাবাহিকে সমান্তরাল গল্প রাখা যায় যেটা পসিটিভ ভাইব দেবে।সঙ্গে এই অন্ধকারের গল্প সাইড বাই সাইড চলবে।তাহলে দর্শক relief পাবে”

Related Articles