বাংলা সিরিয়াল

জগদ্ধাত্রীর সাথে পাল্লা দিতে তুঁতের মধ্যেও গোয়েন্দা গল্পের ছোঁয়া?তুঁতে ধারাবাহিকের পরতে পরতে রয়েছে রহস্য!বললেন তুঁতে দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘তুঁতে’।এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, তুঁতের স্বপ্ন সে একদিন মস্ত বড় ডিজাইনার হবে, সে চায়, সে মস্ত বড় তাঁত শিল্পী হয়ে তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে। খুব সুন্দর ডিজাইন করতেও পারে সে, কিন্তু ভাগ্য চক্রে সে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়, তাকে ডিজাইনার করার সুযোগ দেখিয়ে চক্রান্ত করে তাকে লাহেড়ি বাড়ির কাজের লোকে‌ পরিণত করা হয়। যখন সব সত্যিটা তুঁতে জানতে পারে তখন সে চাইলেও বেরিয়ে আসতে পারে না কারণ তুঁতের সৎ মাও এই ষড়যন্ত্রে শামিল ছিলো,তাই বাধ্য হয়ে সেখানে কাজের মেয়ে হয়ে তাকে থেকে যেতে হয়।

অথচ এইভাবে কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করতে করতে অনেক সত্যই তার চোখের সামনে আসতে শুরু করে। চা দিতে গিয়ে একদিন যেমন রঙ্গনের দাদা অভিষেকের পায়ের ওপর গরম চা পড়ে গেলে অভিষেক সাধারণ মানুষের মতো পা নড়িয়ে ফেলে সেটা তুঁতের চোখে পড়ে যায় এবং তুঁতে বুঝতে পারে, বিষয়টার মধ্যে গন্ডগোল আছে। সাম্প্রতিককালের একটি প্রোমো দিয়েছে যেখানে দেখানো হচ্ছে যে, তুঁতে হয়ত রঙ্গন কে তার দাদার বিষয়ে কিছু বলবে যেটা সহ্য করতে না পেরে তার ওপর প্রতিশোধ নিতে রঙ্গন তুঁতেকে বিয়ে করে লাহিড়ী বাড়িতে নিয়ে আসবে। কিন্তু প্রতিপক্ষ চ্যানেলের অন্য ধারাবাহিকে যেখানে টানটান রহস্য ঘন গল্প রয়েছে, সেখানে সাধারণ ফ্যামিলি ড্রামা কি টি আর পি পাবে?

যারা এই ধারাবাহিক নিয়মিত দেখেন তারা কিন্তু জানেন এই ধারাবাহিকের পরতে পরতে রহস্য জড়িয়ে রয়েছে, রহস্য ঘনগল্পের চাইতে তুঁতে কিছু কম নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,
“তুঁতে সিরিয়ালের টিজার দেখাবার পর থেকেই বহু দর্শক নেগেটিভ মন্তব্য করেছেন। তাদের বক্তব্য ‘কাজের মেয়ের সঙ্গে বড়লোকের ছেলের প্রেম! সেই একই গল্প’। তাদের বেশি দোষ দেওয়া যায়না। গল্পের ট্যাগলাইন হলো ‘কাজের মেয়ের স্বপ্ন পূরণের গল্প নিয়ে আসছে তুঁতে’। এখানেই Acropolis প্রথম ভুল করলো।

স্বাধীনভাবে তাঁতের বুননের এবং হাতের কাজ করে রোজগার করা একটি মেয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে একজনের বাড়ির কাজের মেয়ে হতে বাধ্য হয়েছে। তাকে কাজের মেয়ের তকমা দেওয়াটা কী ঠিক হলো? সেলাই করা যে তুঁতের নেশা! রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বাইরের ঘরের আলোয় সে কাপড়ের উপরে ফুটিয়ে তোলে নূতন নূতন নকশা। এই বাড়ির অন্য কাজের মেয়েরা কি তুঁতের মত?
কাজের মাসি (মৌসুমী) ঠিকই বলেছে, ‘এই বাড়িতে অনেক রহস্য আছে’।

১। শিউলি নিখোঁজ। তাকে কি রোশান কোথাও পাচার করেছে? পুলিশ অফিসারের কথা অনুযায়ী রোশান গ্রাম থেকে মেয়েদের কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে আসতো। রোশান কি মেয়ে পাচারের ব্যবসা করে? সৌমিলির হাবভাব দেখে মনে হয় সে সবই জানে।

২। সৌমিলি একদিন রোশানকে বলেছিলো, ‘মা শাড়ির ফল লাগিয়ে, পিকু করে এই লাহিড়ী বাড়িতে নিয়ে আসতো, আমিও মায়ের সঙ্গে আসতাম। তখন থেকে আমি ঠিক করে রেখেছিলাম যে আমি এই বাড়ির বউ হবো, আর এই বাড়ির সব কিছু আমার হবে’। অভিষেকের সঙ্গে সৌমিলির বিয়েটা কী ভাবে হলো? অম্বরিশ লাহিড়ীর মত এমন নাক উঁচু মানুষ কি সহজে এই বিয়ে মেনে নিয়েছিলেন? নাকি এখানেও কোন রহস্য আছে?

৩। দেখে শুনে মনে হচ্ছে অভিষেকের পঙ্গুত্ব completely fake। শুধু রঙ্গনকে সবার চোখে এবং রঙ্গনের নিজের চোখে ছোট এবং অপরাধী করে রাখার জন্যই অভিষেক এই কাজটা করছে। সেই সঙ্গে সবার বিশেষ করে অম্বরিশ লাহিড়ীর সহানুভূতি পাওয়া এবং সুবিধা নেওয়া। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম সৌমিলি অভিষেকের মস্তিষ্ক ধোলাই করছে। এখন দেখছি অভিষেকের মন আরও বিষাক্ত, সৌমিলির মন্ত্রের কোন প্রয়োজন নেই। অভিষেক যে পঙ্গু নয়, আজ খুব স্পষ্টভাবে সে টা তুঁতের চোখে ধরা পড়ে গেলো। এখন অভিষেক আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। যেভাবেই হোক তুঁতের ক্ষতি অভিষেক করবেই।

নূতন প্রমোতে দেখতে পাচ্ছি রঙ্গন তুঁতেকে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে এসেছে। কি পরিস্থিতিতে বিয়েটা হয়েছে সে টা আমরা এখনও জনিনা। মনে হচ্ছে তুঁতে অভিষেকের ষড়যন্ত্র ধরে ফেলেছে এবং রঙ্গন সে টা বিশ্বাস করছেনা। এটাও বুঝা গেলো তুঁতেকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দেখা যাক আগামী সপ্তাহে আমাদের জন্য কি surprise অপেক্ষা করছে।

PS: এই সিরিয়ালে শুধু তুঁতের ডিজাইনার হওয়ার সংগ্রাম বা রঙ্গন/তুঁতের ভালোবাসার গল্প নয়, পাশাপাশি আছে সৌমিলি/অভিষেকের বিয়ের রহস্য, অভিষেকের হুইল চেয়ার রহস্য, শিউলির অন্তর্ধান! দেখতে থাকুন প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাতটায় ‘তুঁতে’।”- যা দেখে অনেকেই বলছেন জগদ্ধাত্রীর সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্যই কি তুঁতেতে রহস্য আনা হচ্ছে?

Related Articles