বাংলা সিরিয়াল

সতীনকাঁটা উপড়াতে গিয়ে নিজেই জেলে গেল শিরিন! গুড্ডিকে প্রাণে মারার চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত হার হলো?

‘গুড্ডি’ ধারাবাহিকে এত বছর পরেও যেন শিরিনকে কোনমতেই থামানো যাচ্ছে না। অনুজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিরীনকে নিয়ে থাকার। অন্যদিকে গুড্ডিও মন থেকে মেনে নিয়েছে যুধাজিতকে। তো এটা এবার বোঝা উচিত যে অনুজ আর গুড্ডি মধ্যে এখন আর কোনো ভালোবাসার সম্পর্ক নেই। গল্পের পরিবর্তনে দর্শক মনে করেছিলেন এবার হয়তো সেদিন আর বিনা কারণে গুড্ডির কোন ক্ষতি করবে না। কিন্তু হোল একেবারেই উল্টো।

এরই মধ্যে নিজের স্বপ্ন পূরণ করে পুলিশ ফোর্সে রয়েছে গুড্ডি। সেই সূত্রে তার শত্রু কম নয়। তেমনি তারা একদল শত্রু নারী দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন গুড্ডিকে গুলি করে। ঘটনার খবর পেয়ে গুড্ডিকে বাঁচানোর জন্য ছুটে আসে যুধাজিৎ এবং অনুজ। অনুজ যে এখনো গুড্ডিকে ভালোবাসে সেটা তাদের দুজনকে দেখলেই বোঝা যায়।

কিন্তু অনুজ কোন মতেই যুধাজিত আর গুড্ডি’র বৈবাহিক সম্পর্কের মাঝে ঢুকতে চায় না। গুড্ডিকে বাঁচানোর চেষ্টা করাটাকে সে একজন সিনিয়র হিসেবে তার দায়িত্ব পালন বলেই জানায়। এরই মধ্যে গুলি লাগার কারণে গুড্ডিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আর সেদিন হাসপাতালের কড়া পাহারার মধ্যে দিয়ে নিজেকে গুড্ডির দিদি হিসেবে পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে ঢোকে। আর যেই ওষুধ খাওয়ানোর কথা নয় সেই ওষুধ খাইয়ে জোর করে খাইয়ে দেয় তাকে।

ওষুধের রিঅ্যাকশনে গুড্ডি শরীর এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে সে প্রায় মৃত্যু মুখে চলে যায়। ডাক্তাররা খুব চেষ্টা করে তাকে আবার স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনে। কিন্তু অনুরোধ জানিয়ে দেয় যে সে গুড্ডিকে যে মারার চেষ্টা করেছে তাকে খুঁজে বার করবে। এরপর বাড়ি ফিরতেই শেষ শিরিনকে আকারে ইঙ্গিতে বোঝাতে থাকে যে সে তাকে সন্দেহ করছে। শিরিন ভয় পেয়ে ভালো সেজে বলে যে সত্যিই তো যে এত বড় ক্ষতি করেছে তাকে পুলিশে দেওয়া উচিত। এবার শুধু এটাই দেখার যে পরবর্তীকালে শিরিনকে অনুজ এরেস্ট করে কিনা গুড্ডিকে মারার অপরাধে।

Related Articles