ফুলসজ্জার রাতে ঝোরা ভয় পেয়ে জড়িয়ে ধরে মহার্ঘ্যকে, ভয় পেয়ে হলেও ঝোরা কিন্তু ছুটে গেছে মহার্ঘ্যর বুকে নিজেকে মিশিয়ে দিতে
জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের বিপক্ষে স্টার জলসার যে ধারাবাহিক সম্প্রচারিত হয় তা হল ‘বালিঝড়’। খুব সম্প্রতিই শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক। প্রথম সপ্তাহে টিআরপি তালিকায় তেমন ভালো ফল না করায় ট্রোলও হয়েছেন মিঠাই ভক্তদের দ্বারা। তবে যতদিন যাচ্ছে ততই যেন দর্শকদের মনে জায়গা করে নিচ্ছে তৃণা কৌশিকের জুটি। একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে যা ছিল স্টার জলসার এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক। তৃণা কৌশিকের জুটি সবার পছন্দ হওয়ায় তাঁরা আবার একসাথে স্ক্রিনে ফিরেছেন ঝোরা আর মহার্ঘ্য রূপে।
তবে এই গল্পেও রয়েছে এক ত্রিকোণ প্রেম, ঝোরার ভালো লাগে ইন্দ্রাশিসের দ্বারা অভিনীত চরিত্র স্রোতকে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তার বিয়ে হয় মহার্ঘ্যর সাথে। বিয়ের পর ঝোরা মহার্ঘ্যকে তার স্বামী হিসেবে মেনে নিতে তো পারেনইনি, বরং করেছেন বাজে ব্যবহার। কিন্তু তাও মহার্ঘ্যর মধ্যে ঝোরাকে নিয়ে কোনো রাগ কিংবা হতাশা দেখা যায়নি। আর মহার্ঘ্যের চরিত্রের এই দিকটাই সবথেকে বেশি পছন্দ করছেন দর্শকরা।
মহার্ঘ্যকে দেখা গেছে শুরু থেকেই তিনি মেয়েদের সম্মান করেছেন, ভদ্র নম্র মহার্ঘ্য তার দুর্ব্যবহার করা স্ত্রী ঝোরার সামনেও নিজেকে একইরকম রেখেছেন। স্ত্রোতকে ভালোবাসা সত্ত্বেও ফুলসজ্জার রাতে ঝোরা বিদ্যুৎ চমকানোর আওয়াজ শুনে ভয় পেয়ে জড়িয়ে ধরে মহার্ঘ্যকে। মহার্ঘ্যকে সে মেনে নিতে না পারলেও ভয় পাওয়ার পর সে ছুটে গেছে তার বুকে নিজেকে মিলিয়ে নিতে। এখানেও প্রশংসা হয়েছে মহার্ঘ্যর।
আপনার চেনা কেউ আপনাকে জড়িয়ে ধরলে স্বাভাবিকভাবে আপনি নিজেও তাঁকে জড়িয়ে ধরবেন। কিন্তু মহার্ঘ্য ঝোরাকে জড়িয়ে ধরার জন্য হাত তুললেও নামিয়ে নেয় সঙ্গে সঙ্গে, তার ভয় পাওয়ার সুযোগে খুব সহজেই ঝোরাকে সে জড়িয়ে ধরতে পারত, কিন্তু মহার্ঘ্য তা করেনি। আর এইখানেই দর্শকরা খুশি হয়েছেন তার চরিত্রটি নিয়ে।
তৃণা আর কৌশিককে দর্শকরা আগেই দেখে এসেছে ‘ধূলোকণা’তে, তাই তারা চান যেন এখানেও ঝোরার সাথে মহার্ঘ্যর মিল দেখানো হয়, না কি স্রোতের। ঝোরা কি স্রোতকে ভুলে মহার্ঘ্যকে নিজের স্বামী বলে মেনে নেবে ধীরে ধীরে? সেটাই দেখার!
