অল্প শিক্ষিত নির্বোধ গৃহবধূ সংসারে ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হতে পারে তার বাস্তব উদাহরণ জল থৈথৈ ভালোবাসা! তোতা আসমান সম্পর্ক দেখে বলছেন দর্শক
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘জল থৈ থৈ ভালোবাসা’। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, কোজাগরী আসমান এবং তোতার সম্পর্কটিকে প্রশ্রয় দিলেও আসমান ঠিক বুঝেছিলো যে, তার মত একজন ছেলের সাথে তোতার মতো উচ্চশিক্ষিতা এক মেয়ের জীবন জুড়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় নয়, তাই সে নিজে তোতাকে আঘাত করতে থাকে, যাতে তোতা তাকে ভুলে রূপের কাছে ফিরে যায়, সে তোতাকে বলে, তোতার ভালোবাসার কোন গ্যারান্টি নেই, সে রূপকে ভালোবাসতো, সেই ভালোবাসা সে ভুলে গেছে আসমানকে পেয়ে, পরে হয়তো তার অন্য কাউকে ভালো লাগবে।
এইসব কথা শুনে তোতা খুব কষ্ট পায় ও আসমানের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। রূপের সাথে আবার তার সম্পর্কটা ঠিক হয়ে যায় অন্যদিকে এই ধারাবাহিকের নতুন একটি প্রোমো দিয়েছে।
সেই প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে আসমান কোজাগরীকে প্রনাম করতে এলে তোতা ও কোজাগরী দুজনেই তাকে অসম্মান করে। এখন এই জায়গায় দাঁড়িয়ে সবাই কোজাগরীকে অপরিণামদর্শী বলছেন! কারণ তিনি প্রথমে তোতা আসমানের সম্পর্কে প্রশ্রয় দিয়েছেন যেটা তিনি ভুল করেছেন পরবর্তীতে তিনি আসমানকে বুঝতেই পারেন নি এটা তার সবথেকে বড় ভুল। তোতা না বুঝলেও কোজাগরীর বোঝা উচিত ছিলো সত্যটা।
আরও পড়ুন : পার্বতী আসার পর থেকে পারো নেই!এটা একদম ভালো লাগছে না!-তুমি আশে পাশে নিয়ে কী বলছেন দর্শক!
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“অথৈ জলে ভালোবাসার হাবুডুবু
১)কোজাগরি জীবনে সন্মান চেয়েছিলেন। নিজের একটা পরিচয় চেয়েছিলেন। এজন্য ফুটপাতে একটি ভাতের হোটেল খুলেছেন।
২)নিজের পরিচয় ও সম্মানের অন্বেষণে কোজাগরি বিয়ের আগের রাতে তার মেয়ে তোতা কে কিডনাপ করে একরাত রেখে দেওয়া আসমান কে শুধু সেই ভাতের হোটেল সঙ্গী করেই ক্ষান্ত হননি। রূপের সাথে তাজা ব্রেক আপ হওয়া উচ্চশিক্ষিত শিক্ষিত মেধাবী মেয়ে তোতা কে আসলামের (বিএ পরীক্ষার্থী) প্রেমে আশ্রয়, প্রশ্রয় ও উৎসাহ জুগিয়েছেন।
যা ছিল অসম, অনিশ্চিত ও ঝুকিপূর্ণ।
৩) পোড় খাওয়া বাস্তব অভিক্ষতার আসমান কোজাগরির দুঃখবিলাস বা ফ্যান্টাসি এর উপর ভরসা না করে নিজের প্রেমিকা আছে বলে অভিনয় করেছিল।
কম শিক্ষিত ও নির্বোধ কোজাগরি সেটাও ধরতে পারেনি। উপরোক্ত তাঁরই ভাষায় সোনার টুকরো ছেলেকে তীব্র প্রতিহিংসার আগুনে পোড়াচ্ছে।
এতো অথৈ জলে ভালোবাসা হাবুডুবু খাচ্ছে।”
আরও পড়ুন : মানুষটার সাথে কোনো সম্পর্ক রইলো না;অথচ সে আমার শরীরটা জেনে গেলো!কি হার্ট ব্রেকিং কথা!
এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন যে,“কোজাগরির এগুলো দূঃখবিলাস বা ফ্যান্টাসি।
একজন অল্প শিক্ষিত নির্বোধ গৃহবধূ একটি সংসারের যে কতবড় ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হতে পারে, এই সিরিয়াল তার বাস্তব উদাহরণ।
উপর দিকে থুতু দিলে তা যে নিজের মুখে পড়ে, কোজাগরির সেই ন্যুনতম বোধটুকু নেই।”
