বাংলা সিরিয়াল

অপরাজিতার হাত ধরে কোজাগরীর সংসারে ঢুকলো জটিলতা! খুব যত্ন করে চন্দন সেন বা দেবত্তমকে কর্নার করা হতে থাকলো!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থৈথৈ ভালোবাসা। এই ধারাবাহিক দর্শক দেখতে শুরু করেছিলেন একটা হাসি মজা হৈ-হুল্লোড়ে পরিবারের গল্প দেখবেন বলে, এই ধারাবাহিক দর্শক দেখতে শুরু করেছিলেন অপরাজিতা আঢ্য অর্থাৎ কোজাগরী চরিত্রের মহানুভবতা ও পরোপকারী স্বভাবে ভুলে।

দর্শক ভেবেছিলেন এই ধারাবাহিক অনেকটা হবে খড় কুটোর মত কিন্তু যতদিন যেতে গেলো তত এই ধারাবাহিকের মধ্যে ভালো সুন্দর বিষয়গুলো ক্রমে লুপ্ত পেতে পেতে টক্সিক হয়ে উঠল দর্শকের কাছে। কোজাগরির যে শাশুড়ি মা কোজাগরীকে মেয়ের মতো ভালোবাসতেন সেই শাশুড়ি মায়ের সাথে কোজাগরীর সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলো কোজাগরী স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে চাওয়ায়।

এরপর কোজাগরীর যে সন্তানরা মাকে এতো বেশি সম্মান করতো, তাদের চরিত্রগুলোকে ধীরে ধীরে নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপন করা হলো এবং তাদের প্রধান কাজই হয়ে গেল মাকে আক্রমণ করা। এখানেই শেষ নয় কোজাগরীর স্বামী উদ্যলোক বসু যাকে বেস্ট হাজবেন্ড ম্যাটেরিয়াল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল তার চরিত্র কেও নড়বড়ে দেখানো হলো।

শেষমেষ তোতা যাকে দেখে মনে হয়েছিল সে কোজাগরীর প্রতিচ্ছবি, ম্যাচিউরিটির সাথে সিদ্ধান্ত নেয়, তার নড়বড়ে ব্যক্তিত্ব এবং চরিত্র দর্শককে অবাক করে দিল এবং কোথাও হতাশও। এইসব দেখে এই ধারাবাহিকের টিআরপি কমলে দর্শক এখন আর অবাক হন না বরং মেনে নেন হাসিমুখে।

আরও পড়ুন : সাত্ত্বিক চরিত্রটা জাস্ট ইরিটেটিং! ভাইয়ের বউ জেনেও গীতাকে গিয়ে বারবার আই লাভ ইউ বলছে!

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে
,“ জল থৈ থৈ ভালোবাসা যখন প্রথম television এর পর্দায় উন্মোচিত হলো প্রথম দিনেই এক অদ্ভুত ভালোলাগায় মন ভরে গেল। জল থৈ থৈ ভালোবাসা এই নামটাই আমাকে ভীষণ আলোড়িত করেছিল, কি unique নামকরণ সঙ্গে strong casting চন্দন সেন, অপরাজিতা ম্যাডাম, অনু সুয়া মজুমদার!!! ……..

সত্যি প্রথম অভিজ্ঞতায় এটা ছিল একটা নিটোল পরিবারের জলছবি যেখানে প্রজাপতির মতোই পাখনা মেলে উড়ে বেড়াতো কোজাগরী র বয়স কে না মেনে জমিয়ে বাঁচার গল্প স্নেহে, শাসনে, আদরে সোহাগে এক নিটোল পারিবারিক কাহিনী যা তখনো পর্যন্ত অন্য পাঁচটা সিরিয়ালের থেকে আলাদা।

কিন্তু আজকাল যা হচ্ছে মাঝখানে গিয়েই গল্পের যায় খেই হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে দর্শকদের interest ,ultimate রেজাল্ট মাঝপথেই অনেক সিরিয়াল বন্ধই হয়ে যায় trp fall করার জন্য।………..আসলে সিরিয়াল গুলো চলে পরিচালক আর চিত্রনাট্যকার এর মন মর্জি মাফিক আমরা তো উলুখাগড়ার দল……..

তাই কোজাগরী র সংসারে এলেন অপরাজিতা ম্যাডাম(বিদীপ্তা) আর দায়িত্বের সঙ্গে হাত ধরে নিয়ে এলেন কালের গহবরে মিলিয়ে যাওয়া তথা কথিত পুরোনো সম্পর্ক ময়ূরাক্ষী আর তাঁর কন্যা খিলখিল কে ……. ব্যাস “ভারতের আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা” কোজাগরীর নিটোল পরিবারে ঘনাল কালবৈশাখীর মেঘ।”যা হারিয়ে যায় তা আঁকড়ে বসে রইবি কতকাল”…….

ম্যাডাম অপরাজিতার মাথায় এটা ঢোকেই নি ফল যা হবার তাই হলো এক নিটোল পারিবারিক জলছবি যা লেখা ও পরিচালনার গুণে হতে পারতো অনন্য সাধারণ হয়ে গেল অতি সাধারণ মানের সিরিয়াল ঢুকলো জটিলতা ও সম্পর্কের কূটকচালি এখানে এখন গল্প মাঝে মাঝে ই ঘোলা জলে পাক খায় দর্শকদের কি বিড়ম্বনা না পারছে ফেলতে না পারছে উগরোতে ……

আর অনুসুয়া মজুমদার একজন বলিষ্ঠ অভিনেত্রী যাঁর অভিনয় ক্ষমতা আমাদের মুগ্ধ করেছে বারংবার গোত্র, রক্তবীজ মুখার্জী দার বউ কত উদাহরণ দেব….. তাঁর অভিনয় এই সিরিয়ালে আপাদমস্তক কৃত্রিমতার আবরণে মোড়া কি অসহায়তা ওনাকে তো ব্যবহার করা ই হচ্ছে না সেই ভাবে…….

আর খুব যত্নে যে ভাবে চন্দন সেন বা দেবত্তম কে corner করা হচ্ছে এটা যে দর্শক দের মনে বিরক্তি আনছে তা কি তা কি বুঝতে পারছেন না ওনারা? serialএ নায়ক নায়িকা থাকলে খলনায়ক বা খলনায়িকা একটু আধটু খুচরো villaini থাকেই কিন্তু এই রকম ভোঁতা villaini দর্শক রা বোকা নয়।”সখী ভালোবাসা কারে কয়”?????লাল রঙ হলো চিরন্তন প্রেমের প্রতীক। তাই যেমন বিয়েতে কনের সিঁথি ভরে যায় লাল সিঁদুরে, যেমন কবির নন্দিনী হয়ে ওঠে রক্তকরবী ,হাতে পলাশ স্তবক নিয়ে খুঁজে বেড়ায় তার প্রিয় রঞ্জনকে, ……

আরও পড়ুন : ইচ্ছে পুতুলের পর নতুন ধারাবাহিকে ফিরছে মেঘ তিতিক্ষা! নিজেই জানালেন আসল রহস্য

এই তীব্র passionate feelings ভালোবাসা বা দুর্বার প্রেম কে symbolize করে অনুরাগের ছোঁয়ায় রক্তরাগ বা লাল রঙ।
আর সবুজ রঙ হলো এক রাশ উদ্ধত যৌবন……. “আমরা নূতন যৌবনের ই দূত, আমরা চঞ্চল আমরা অদ্ভুত,” চোখ বন্ধ করে একটু ভাবুন তো খোলা আকাশে(আসমানে) নিজের খেয়ালে উড়ে বেড়াচ্ছে সবুজ তোতা পাখী….

কি সুন্দর স্নিগ্ধ একটা ছবি একটু একটু করে আকাশের canvasএ আঁকা হয়ে যাচ্ছে হয়তো বা ওই উড়ন্ত তোতার ভাবনায় গুঞ্জরিত হচ্ছে ….. হা রে রে রে, আমায় ছেড়ে দেরে, দেরে দেরে…. যেমন ছাড়া বনের পাখী মনের আনন্দে রে” …… খোলা আসমানে সবুজ তোতা কেই মানায়। …..দুটো opposite characterএর মানুষ ই একে অপরের দিকে আকৃষ্ট হয়, সমান natureএর মানুষ নয় “ধায় যেন মোর সকল ভালোবাসা”……

তাই আসমান যে খিল খিল এর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আর খিল খিল আসমানের অপমানের তীব্র নিন্দা করে রুখে দাঁড়িয়েছে তারা সমমনস্ক দুটো মানুষ best friend হতেই পারে প্রেমিক প্রেমিকা নয় হোক না শুরু আসমান আর তোতার ছেলেমানুষি, খুনসুটি ভরা প্রেমের মিষ্টি গল্প নিটোল পারিবারিক প্রেক্ষাপটে র জল থৈ থৈ আঙিনায় নয় কোনো তিক্ততা ,আর কোনো কূটকচালি নয়, প্রেমের হোক জয়। একটাই request এই সিরিয়াল যেন পরিবেশনে অন্য মাত্রা পায়।শুভেচ্ছা একরাশ।”

Related Articles