জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘মিঠাই’। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, নায়ক সিদ্ধার্থের(সিড) চরিত্রে অভিনয় করে ছিলেন আদৃত রায় আর নায়িকা মিঠাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌমিতৃষা কুন্ডু। দুজনেই এই ধারাবাহিকের থেকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। এই ধারাবাহিকে সিডের দিদির চরিত্রে অভিনয় করেন কৌশম্বী চক্রবর্তী। শোনা যায় রিল লাইফের এই দুই ভাই- বোন আসলে রিয়েল লাইফের প্রেমিক প্রেমিকা।
সিরিয়ালের সময় থেকেই তাদের দুজনের প্রেমের কথা শোনা যেতে থাকে। যদিও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে তারা কখনোই মুখ খোলেন নি। তবে আদৃত ও কৌশাম্বী দুজনের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখলে তাদের প্রেমের গুঞ্জনেই যেন সিলমোহর পড়তো। একসাথে তারা জন্মদিন পালন করতেন, নববর্ষ তারা একসাথে দুটিতে ঘুরছেন, যা দেখে দর্শক বুঝে গেছেন মুখে প্রকাশ না করলেও আসলে দুজনের প্রেমের সম্পর্কই সত্য। এইসব দেখে নেটিজেনরা বলছেন যে,
পরোক্ষভাবে নিজেদের প্রেমেই সীলমোহর দিচ্ছেন এই জুটি।
View this post on Instagram
সম্প্রতি একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে আদৃতের পাশে তার হাত ধরে রয়েছে কৌশাম্বী আর এইভাবেই ২০২৪ এর ইংরেজি নববর্ষকে তারা ওয়েলকাম করছেন।
আদৃত কৌশাম্বীর ফ্যানরা এই ছবি দেখে তো খুব খুশি ,কেউ বলছেন,‘নজর না লাগে, এভাবেই হেসে ফেলে থাকো দুটিতে’, কেউ আবার বলছেন ,‘লাভলি কাপল’। তবে অনেকেই trolling করতে ছাড়েন নি। অনেকের বক্তব্য হলো এটাই যে, “আদৃতদদার সঙ্গে তোমাকে বড়দির মত লাগে”!
তবে এই কুরুচিকর মন্তব্যের কোন উত্তর করেন নি দুজনে। যেমন নিজেদের ভালবাসা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনদিনও বলেন নি ঠিক তেমনভাবেই তাদেরকে নিয়ে যে সমালোচনা করা হয় তারও উত্তর দেন নি তারা। তাদের আচরণে যেন বুঝিয়ে দিয়েছেন “সমঝদার কে লিয়ে ইশারাই কাফি”।
আরও পড়ুন : ইংরেজি না জানা সন্ধ্যা স্মৃতি হারিয়ে ইংরেজি শিখে ফেলেছে! আকাশকে লুজ ক্যারেক্টার বলছে সন্ধ্যা!
তবে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে যে, খুব শীঘ্রই বিয়ে করছেন তারা। এই প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে কৌশম্বীকে জিজ্ঞেস করা হলে কৌশাম্বী সরাসরি বলেন,“অনেক জায়গাতেই দেখছি আমাদের বিয়ে নিয়ে অনেক কিছুই বলা হচ্ছে। জানুয়ারিতে কারা আমাদের বিয়ে দিচ্ছে সেটাই তো বুঝতে পারছি না।
এখন তো কাজ করছি এসব নিয়ে তো কোন ভাবনা চিন্তাই নেই, ভবিষ্যতে যখন হবে তখন তো সেটা সকলেই জানতে পারবে। এই ধরনের গুঞ্জনে কান দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। এটা সম্পূর্ণ ভুয়ো একটা খবর। আমাদের বিয়ে আর আমরাই জানি না! এগুলো কি হচ্ছে কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।”
