বাংলা সিরিয়াল

অরুনাভর এক চালে ধ্বংস হলো শ্যামলীর বালির প্রাসাদ! কোন গোপনে মন ভেসেছে তে শ্যামলীর পরিণতি দেখে কাঁদছেন দর্শক!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথাতে দেখা যাচ্ছে যে, পাহাড় থেকে একটু সুখের আশায় শ্যামলী এলো কলকাতায়। কিন্তু কলকাতাতে এসে কোথায় সে উঠবে সেই ঠিকানা হারিয়ে ফেলল সে ট্রেনের মধ্যেই! সহজ সরল শ্যামলী যাকে বোকা বানিয়ে মানুষ তার সর্বস্ব চুরি করে নেয় সেই শ্যামলী অনিকেতের আশ্রয় এসে উঠলো এবং অনিকেতের বাড়িতে ওঠার পরেই সে বুঝে গেল অনিকেতদের শত্রু কে?

এই শত্রুকে চিহ্নিত করবার জন্য সে বারংবার চেষ্টা করতে থাকলো কিন্তু শত্রুরাও তো আর বসে নেই তারাও কোমর বেঁধে নামলো অনিকেত ও শ্যামলীর সম্পর্ককে রীতিমতো খারাপ করার জন্য। ধারাবাহিকে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অরুনাভর সমস্ত চাল অনিকেত ও তার বাবার সামনে তুলে ধরে শ্যামলী তার ফল ভুগতে হয় শ্যামলীকে।

আরও পড়ুন : শিক্ষকতা করতে যোগ্যতা লাগে না ভালোবেসে ভালো ভাবে পড়াতে পারলেই হলো! পরাগের কথা নিয়ে তুমুল হৈচৈ সোশ্যাল মিডিয়ায়!

তিস্তার প্রত্যাখ্যানের যে অনিকেত একটু একটু করে শ্যামলীর দিকে ছুট ছিলো, অরুনাভর এক চালে শ্যামলীর সেই স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যায়। অরুনাভ শ্যামলীর ভাই ও ভাই এর বউদের খবর দিয়ে দেয় তিস্তার ব্যাপারে আর তারা চলে আসে কলকাতায় এবং সেখানে এসে অনিকেত কে চার্জ করতে শুরু করে যার ফলে আবার‌ও শ্যামলীকে ভুল বোঝে অনিকেত এবং শ্যামলীকে কাঁদতে হয়। নিজের ভাইদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারে না শ্যামলী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“অরুনাভের এক চালেই ধ্বংস হয়ে গেলো তিল তিল করে গড়ে তোলা শ্যামলীর বালির প্রাসাদ.!

অরুনাভের খবর দেওয়ার পরেই জোড়া বাড়িতে এসে হাজির হয় শ্যামলীর ভাই ও ভাইয়ের বৌ.! আর এসেই তিস্তার ব্যাপার নিয়ে অনিকেতকে চার্জ করা শুরু করে.! এদিকে জোড়াবাড়ির সবাই শ্যামলীকে আবার অপমান করার সুযোগ পেয়ে যায়.! অনিকেত বলে শ্যামলী, আমি আপনাকে বিশ্বাস করা শুরু করেছিলাম, কিন্তু আপনি আমার সেই বিশ্বাসটা আবার ভেঙে দিলেন.! এদিকে শ্যামলী এইসব সহ্য করতে না পেরে তার ভাইকে চড় মেরে জোড়া বাড়ি থেকে বের করে দেয়.!

আরও পড়ুন : যোগমায়া ব্লুজের চিরচেনা গল্প! নায়িকা গরিব বস্তিতে থাকে নায়কের বাড়ির খাবার টেবিলেই যত অশান্তি!

কিন্তু অনিকেত শ্যামলীকে এইসব তার নাটক বলে অপমান করে.! এরপর শ্যামলী আর তার ঠাম্মি ভাবে যে, তার ভাই কি করে তিস্তার কথা জানলো, তারমানে নিশ্চয়ই এই বাড়িতে এমন কেউ আছে যে চায়না অনিকেত ও শ্যামলী কাছাকাছি আসুক.! তখনই শ্যামলীর মনে হয়, যে কে তার ভাইকে ফোন করেছিলো সেটা তাকে জানতেই হবে.! এরপর সে টাকার লোভ দেখিয়ে, তার ভাইয়ের কাছ থেকে সেই নাম্বারটা নিয়ে নেয়.!

So, তোমাদের কি মনে হয়, এই নাম্বারটা দিয়েই কি শ্যামলী অরুনাভ পর্যন্ত পৌছে যাবে.? না অরুনাভ আগের মতো আবার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যাবে..?? ”

 

Related Articles