বাংলা সিরিয়াল

মিশকার শয়তানি আবারও গেল তার বিরুদ্ধেই, সূর্য আর দীপার মাঝে‌ দূরত্ব সৃষ্টি করতে গেলে উল্টে আরো কাছাকাছি চলে আসল তারা, ধামাকাদার পর্বের ফাঁস

‘অনুরাগের ছোঁয়া’, একের পর এক টুইস্ট, একের পর এক ধামাকাদার সমস্ত পর্ব, আর তার ফলস্বরূপই এই ধারাবাহিক পেয়েছে এক নম্বর ধারাবাহিকের শিরোপা। বেশ অনেকগুলি সপ্তাহ ধরেই সেরার মুকুট সূর্য দীপার মাথায়।‌ দর্শকরা অপেক্ষা করে করে হাঁপিয়ে উঠেছেন, প্রত্যেকবার ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো রিলিজ করলেই মনে হয় “এইবার হয়ত শেষমেষ মিল হবে সূর্য দীপার”, কিন্তু সে গুড়ে বালি, মিলন তো হয়ই না বরং মিশকার কথা শুনে সূর্য আরো রেগে যায় দীপার ওপর।

লাবণ্য সেনগুপ্ত আর মিশকার শয়তানি সহ্য করতে না পেরে ইতিমধ্যেই একবার মিশকাকে চড় লাগিয়ে দিয়েছে সূর্যরই সামনে। দীপা সই করতেই যাবে ডিভোর্স পেপারে এমন সময় লাবণ্য এসে সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে। ওদিকে মিশকা এখনো থামেনি, সে ক্রমাগতই মগজ ধোলাই করে চলেছে সূর্যর। আর সূর্যর এসব ব্যবহার দেখে অর্থাৎ মিশকার বলা সব কথা এত সহজে বিশ্বাস করে নেওয়াতে দর্শকরা একটি ভালো নামও দিয়েছেন দিব্যজ্যোতির এই চরিত্রকে। দর্শকরা সূর্যকে ‘বলদ’ বলে ডাকাও শুরু করেছিল একটি সময়ে।

এদিন দেখা গেল লাবণ্য তার কোম্পানী লাবণ্য’স-এর গুরুদায়িত্ব তুলে দিল দীপার হাতে‌। আবার এদিকে সূর্যর রাগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে দীপার প্রতি। তাই সে দীপাকে ডিভোর্স দিয়েই ছাড়বে একথা ভেবে এগিয়ে দেয় কোর্ট পেপারস দীপার দিকে। তা দেখে দীপাও সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। তারপরে সূর্যই দীপাকে নিয়ে যায় তার হাসপাতালে, আর‌ চিকিৎসা করা শুরু করে। ওদিকে দীপার জ্ঞান না থাকাকালীনই মাথায় ঘুরতে থাকে সূর্যর তাকে ডিভোর্স পেপার দেওয়ার স্মৃতি।

আর সে কথা ভাবতে ভাবতেই দীপা ভয়ে আঁতকে ওঠে আর পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিকে জড়িয়ে ধরে, ভাগ্যক্রমে সেই ব্যক্তি আর কেউই নয় বরং সূর্য। মিশকার শয়তানিতে দীপা সূর্য আলাদা তো হলোই না বরং আরো কাছাকাছি চলে আসল। আর তা দেখে বেশ মজাই পেয়েছে দর্শকরা, তারা এও আন্দাজ করছেন মিশকার সামনেই আবার বিয়ে হতে চলেছে সূর্য আর দীপার। আর একথা ভেবেই সবাই বেশ‌ উৎফুল্ল।

Related Articles