বাংলা সিরিয়াল

মিঠিকে তার বাবা সাথে করে নিয়ে যাওয়ায় শাক্য বাড়ি ছাড়লো, আগেরবার মিঠাই কে তার মা নিয়ে যাওয়াই বাড়ি ছেড়েছিল দাদাই! মিঠাই চলছে না মিঠাই এর সিজন টু বোঝা মুশকিল!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই। এই ধারাবাহিকে বর্তমানে দেখানো হচ্ছে যে মিঠাই মারা গেছে, এরপর মিঠি বলে একজন মনোহরায় এসেছে,যে হুবহু মিঠাই এর মতো দেখতে, কিন্তু মিঠাইয়ের সাথে তার কোন মিল নেই, একমাত্র মনের উদারতা ছাড়া। মিঠাই যেমন নিজের আগে সবার কথা ভাবতো, মিঠি তেমনি নিজের আগে সিড মিঠাই এর ছেলে শাক্যর কথা ভাবে। এরপর ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, সিদ্ধার্থ একটা অপারেশনে গেলে তাকে বাঁচাতে মিঠিও তার পিছু পিছু যায়, এরপর গুন্ডারা তাদের তাড়া করলে প্রাণে বাঁচবার জন্য দুজনে মিলে উপস্থিত হয় গণবিবাহের সভায়। ঘটনাচক্রে দুজনের বিয়ে হয়ে যায়!

এরপর সম্প্রতি মিঠাই ধারাবাহিকের একটি প্রোমো দিয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, শাক্য মিঠির হাত ধরে বলছে তুই আমার মা হবি? এরপর দেখা যায় সেখানে মহেন্দ্র বিশ্বাস এসে হাজির হয়। তিনি এসে বলেন যে তিনি এই বিয়ে মানেন না এবং মিঠিকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন।

এই সময় শ্রী থেকে শুরু করে সবাই সিদ্ধার্থকে বলে মিঠিকে আটকাতে, কিন্তু সিদ্ধার্থ মিঠিকে বলে তুমি বাবার সাথে চলে যাও। এরপর মিঠি বাবার সাথে চলে যায়। ধারাবাহিকে দেখা যায় শাক্য মিঠাই এর ছবির সামনে দাঁড়িয়ে বলছে, মা দেখো আমি ঠিক মিঠিকে ফিরিয়ে আনবো।- এখন কথা হচ্ছে এই ধারাবাহিকের প্রোমো গুলো এমন ভাবে দেওয়া হচ্ছে যেন মনে হচ্ছে মিঠাই সিজন টু চলছে।

কারণ এর আগে যখন মিঠাই বেঁচে ছিল এবং সিদ্ধার্থ মিঠাইকে কিছুতেই মানত রাজি ছিলো না তখন দেখা গিয়েছিল যে, সিদ্ধার্থ মিঠাইয়ের বিয়ের সময় মিঠাই এর মা পার্বতী এসে মিঠাই কে নিজের সাথে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। তখন দাদা‌ই আশ্রমে চলে যায় তাই দেখে সিদ্ধার্থ মিঠাই কে ফেরত আনতে যায়।

এইবার দেখা যাচ্ছে যে পার্বতীর জায়গায় মহেন্দ্র বিশ্বাস মিঠিকে নিয়ে যাচ্ছেন, অন্যদিকে দাদা এর জায়গায় ছোট্ট শাক্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে সন্ধ্যে ছয়টার স্লটে মিঠাই ধারাবাহিকটিকে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে
যে, সকলের মনে হচ্ছে মিঠাইয়ের সিকুয়াল দেখা হচ্ছে।

একজন নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন,
“প্রমো টা দেখে সিড মিঠাইয়ের বিয়ের সময় পার্বতী আন্টি এসে মিঠাইকে নিয়ে গেছিল আর এই খানে মহেন্দ্র বিশ্বাস এসে নিয়ে গেল।আগের বার দাদাই আশ্রমে চলে গেছিল আর এই বার শাক্য বাড়ি ছেড়ে চলে গেল মিঠিকে খুজতে। কপি কপি কপি।”

Related Articles