বাংলা সিরিয়াল

নায়িকার সতীনের পরিবর্তে নায়িকার ঠাম্মিশাশুড়ির সতীন চলে এলো! লিলি চক্রবর্তীকে নিয়ে সিরিয়াস কূটকাচালি হওয়ার পরেও তিনি ছাড়লেন না ধারাবাহিক!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু। এই ধারাবাহিকে এখন গুপ্তধন পর্ব চলছে, অর্থাৎ জানা গেছে যে দত্ত বাড়িতে ৬৫ বছরের পুরনো গুপ্তধন আছে। একটি ধাঁধার সমাধান করতে পারলেই সেই সোনার গণেশ কোথায় আছে তা খুঁজে পাওয়া যাবে! এই সোনার গণেশের কথা শুনে ও তার দাম সাত থেকে আট কোটি শুনে পর্না শাশুড়ি কৃষ্ণা থেকে শুরু করে কর্নার জ্যাঠা শ্বশুর ও পর্নার ভাসুর যেখানে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, সেখানে ঠাম্মি ঠিক করেছেন গণেশ পাওয়া গেলে তা তা তুলে দেবেন গণেশের আসল উত্তরাধিকারী ঋষিকেশ রায়ের হাতে। কারণ ঋষিকেশ রায়ের‌ বাড়ির কুল দেবতাই হল সেই গণেশ। কিন্তু এর মধ্যেও একটা ষড়যন্ত্র আছে যার ঠাম্মি আর পর্ণা সাদা চোখে দেখতে পাচ্ছে না।

সম্প্রতি এই ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রোমো দিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে পর্না সেই গণেশ উদ্ধার করতে পারলেই ঋষিকেষ তা কেড়ে নেয়,এরপর ঋষিকেষের সাথে থাকা এক বৃদ্ধা মহিলা কে দেখে চিনতে পেরে চমকে যান ঠাম্মি, বলেন, পিয়ালী তুই!- তখন নবাগত সেই বৃদ্ধা বলেন যে এই গণেশ তার এবং এই বাড়ির আসল মালিকও তিনি কারণ পর্নার ঠাম্মি শাশুড়ি নাকি এই বাড়ির আসল বউ নয়, এই বাড়ির আসল বউ সে; যা শুনে ঠাম্মি চিৎকার করে বলে, মিথ্যা সব মিথ্যে!

পর্ণা জানায়, গোটা দুনিয়ার বিপক্ষে গিয়ে হলেও ঠাম্মির অপবাদ সে একাই ঘুচাবে। কিন্তু এই প্রোমো দেখে দর্শক ট্রোল করতে শুরু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখছেন যে নায়িকার সতীন আসে কখনো বা নায়িকা শাশুড়ির সতীন আসে এতো দেখি নায়িকার ঠাম্মি শাশুড়ির সতীন চলে এলো। কেউ আবার লিখেছেন যে,“কথা ছিলো নিম টুকু পেরোতে পারলে নাকি মধুর হদিস পাওয়া যাবে
কিন্ত বয়স পেরিয়ে এসেও ভা ভা গো ভা ভা এই বু*ড়ি দের তো নিম ফুলের তেতো স্যরি সতীন বেরোলো ও ভা ভা গো এ নাকি কুট কাচা-লি বিহীন ধারাবাহিক, যেখানে সিনিয়র আর্টিস্ট লিলি চক্রবর্তী ম্যাডাম কেও ছাড় দিলো না”

আরেকজন লিখেছেন, “লিলি চক্রবর্তী না বলেছিল কূটকচালি হলে উনি সিরিয়াল ছেড়ে দিবেন
উনাকে নিয়ে এরকম সিরিয়াস কূটকচালি হলো, ক‌ই ছাড়লো তো না
ন্যাকামি যত!”

Related Articles