বাংলা সিরিয়াল

মা দুর্গার অবতার থেকে সোজা বাঁদরের অবতার! যোগিনী রূপে গৌরীকে দেখেই ক্ষুব্ধ দর্শক, গাঁজাখুরির একটা লিমিট থাকে বন্ধ হোক ধারাবাহিক, উঠলো দাবি

বাংলা সিরিয়াল(Bengali Serial) গুলি বর্তমানে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। দিনের শেষে কাজ শেষ করে বহু মানুষ একটু স্বাদ বদলের জন্য বাংলা ধারাবাহিক গুলি গিলতে থাকেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে আবার ভক্তিমূলক ধারাবাহিক গুলো একটু এগিয়ে। তাদের জনপ্রিয়তা অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

এই যেমন জি বাংলার গৌরী এলো(Gouri Elo) ধারাবাহিকটি। এতদিনে দর্শক বুঝে গেছেন এই ধারাবাহিকের নায়ক নায়িকা গৌরী এবং ঈশান তারা স্বয়ং ঈশ্বরের অংশ। কিছুদিন আগেই দেখা গেছে সৈন্য মায়ের চক্রান্তে পাহাড়ের চুরু থেকে পড়ে গিয়েছিল ঈশান। যদিও সফলতাকে মৃত মনে করলেও সে আসলে মারা যায়নি।

পেশার ডাক্তার ঈশান এখন সন্ন্যাসী হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দিকে দিকে। অন্যদিকে ধারাবাহিকে দেখা গেছে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েছে গৌরী। ছেলের মৃত্যুর খবরের শোক কাটিয়ে আপাতত বেশ খুশি তার পরিবার। কিন্তু এই খুশি মানতে পারছে না শৈল মা। তাই নতুন করে ফন্দী এটেছে গৌরীকে ফাঁসাতে।

এক মহাজনকে এনে জোর করে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে গৌড়ির গর্ভে থাকা সন্তান ঈশানের নয় ওই মহাজনের। আর সে এমন সব মিথ্যে প্রমাণ জোগাড় করেছে যা দেখে বাড়ির লোকেরা ভুল বুঝতে শুরু করেছে গৌরীকে। এমনকি ঈশানের মা গৌরীকে ভুল বুঝে তার শ্রাদ্ধ পর্যন্ত করেছে। কিন্তু গৌরীর মাথার ওপর রয়েছে স্বয়ং ঘোমটা কালি। তাই সে তার দেখানো পথ অনুসরণ করে ভন্ড মহাজনের মুখোশ খুলতে উঠে পড়ে লেগেছে।

সেই কারণে এবার গৌরী যোগিনী বেশে হাজির হয়েছে। জি বাংলার অফিসিয়াল চ্যানেলে শেয়ার করা হয়েছে তার। যেখানে দেখা যাচ্ছে,’ পাপের নাশ করতে যোগিনী বেশ ধারণ করা গৌরী’। তবে তার অবতার দেখে হাসি চাপতে পারছেন না কেউ। কমেন্ট বক্স ভরে গেছে মজার মজার মন্তব্যে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গৌরীর এই অদ্ভুত যোগিনী রূপের সাজ দেখে ট্রোল করতে শুরু করেছেন বহু মানুষ। কেউ আবার ঠাকুর দেবতা ধারাবাহি কেমন গাঁজাখোরের গল্প দেখানোই বিরক্ত। লিখেছেন ধারাবাহিক বন্ধ হওয়া দরকার। আবার গৌরীর অবতার দেখে কেউ লিখেছেন,’ এটা যোগিনী না সার্কাসের জোকার’। কারোর মন্তব্য,’ এই ফ্যামিলিতে সবাই নিজেকে ভগবান মনে করে। যারা এসব সিরিয়াল দেখে সবার মাথা খারাপ বোধ বুদ্ধি লোপ পেয়েছে’। কেউ লিখেছেন,’ গৌরী সরাসরি দুর্গার অবতার থেকে বাঁদরের অবতার হয়েছে’। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উঠেছে ধারাবাহিক বন্ধের দাবি।

Related Articles