বাংলা সিরিয়াল

কলকাতার নামী ক্যাফেতে সাইকেল নিয়ে যাওয়ায় হেনস্তার মুখে পড়তে হলো জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার কে, ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি

জনপ্রিয় নাচের কোরিওগ্রাফার দেবলীনা কুমারকে তো আমরা প্রত্যেকেই চিনি বাংলার বহু সিনেমায় তিনি নাচের কোরিওগ্রাফি করেছেন এছাড়াও স্টার জলসার ডান্স ডান্স জুনিয়র এর মঞ্চে ক্যাপ্টেনের আসনে গত সিজনে ছিলেন তিনি। এছাড়াও সমাজে তার একটি আলাদা পরিচয় রয়েছে তিনি হলেন মহানায়ক উত্তম কুমারের নাত বউ। এর পাশাপাশি দেবলীনার বাবা তৃণমূল বিধায়ক তথা মেয়র পারিষদ, সব মিলে সমাজে তার নামডাক রয়েছে। বর্তমানে তাকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক সাহেবের চিঠিতে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করতে।

রবিবার দিন হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নামী ক্যাফের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন দেবলীনা। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করলেন নিজের বক্তব্য। বালিগঞ্জের ওই নামী ক্যাফেতে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে, সেই কথাই জানালেন অভিনেত্রী। আমরা প্রত্যেকেই জানি অভিনেত্রী ভীষণই ফিটনেসন নিয়ে সচেতন। আর সেই জন্যই তিনি মাঝেমধ্যেই রাস্তায় সাইকেলিং করতে বেরিয়ে পড়েন। রবিবার দিন সেই সাইকেল নিয়েই ওই ক্যাফেতে যাওয়ায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে।

ফেসবুকে দেবলীনা লেখেন ‘আমি সাইকেলিস্ট হিসাবে সকাল সাকল তাঁদের দোকানে গিয়েছিলাম, নিজের সাইকেলে। কিন্তু তাঁরা ঢুকতে বাধা দেন। নিরাপত্তারক্ষী আমার সাইকেলের দেখাশোনা করতে অস্বীকার করে। সর্বোপরি, ওই ক্যাফের নিজস্ব পার্কিং এলাকায় আমার সাইকেল রাখতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি, যদিও সেখানে প্রচুর ফাঁকা জায়গা ছিল। ওরা যে একজন গ্রাহক হারাচ্ছে,সেই নিয়ে ওদের কোনও মাথাব্যাথা নেই।…..আমাকে ঢুকতে দেওয়া না হওয়ায় নিরাপক্ষী রক্ষী আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিল এবং ব্যঙ্গ করছিল।’

এরপর দেবলীনার প্রশ্ন, ‘পরিবেশের স্বার্থে, ফিটনেসের স্বার্থs, ট্রাফিক জ্যাম কমাতে অথবা শুধুমাত্র আনন্দের জন্যই সাইকেলিং-কে জনপ্রিয় করবার চেষ্টা করা হচ্ছে শহরজুড়ে। কিন্তু এই ধরণের ব্যবহার খুব দুর্ভাগ্যজনক, মন ভেঙে যায়’। সবশেষে দেবলীনা লেখেন, ‘এরপর যারা বলবে তোমাকেও ঢুকতে দিল না, জানে না তুমি কে? তাদের বলি- ‘আমি সবসময় আমার বাবার পরিচয় দিই না। ধন্যবাদ’। সংশ্লিষ্ট ক্যাফের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনকে ফেসবুকে ট্যাগ করেন দেবলীনার বন্ধু অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। জবাবে দেবলীনা জানান, ‘ধন্যবাদ, আজ পুরো হেনস্থার মুখে পড়লাম’।

দেবলীনার উদ্দেশ্যে এক নেটিজেন লেখেন, ‘সাইকেল কেন গাড়িও দেখভাল করে না কোনও নিরাপত্তারক্ষীরা, সেটা মালিকের দায়িত্ব’। জবাবে দেবলীনা লেখেন, সমস্যাটা দেখা বা না দেখার নয়। সাইকেল নিয়ে ভিতরেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। বাইসাইকেল রাখতে তেমন জায়গাও লাগে না সে কথা মনে করান দেবলীনা। সঙ্গে লেখেন, ‘আমার বাবা কলকাতা পুরসভার পার্কিং-এর মেয়ার পারিষদ। রাস্তায় পার্কিং-এর নিয়ম আমি জানি, তবে আমাকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া উচিত ছিল’।

Related Articles