উৎসবকে টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে ফেলল রাজনাথ মুখার্জি! ছেলে ঠকিয়েছে, চোখে জল প্রতারিত বাবার
মিথ্যে মুখোশ বেশিদিন ধরে রাখা যায় না, একদিন না একদিন সেটা সকলের সামনে আসবেই। জি বাংলার জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকের নায়িকা জ্যাস সান্যাল যখন রয়েছে, তখন সত্যিটা তো বেরিয়ে আসবেই।
একাধিকবার বেঙ্গল টপার হওয়া এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকে এখন চলছে টানটান পর্ব। উৎসবের সমস্ত চক্রান্ত ইতোমধ্যেই জগদ্ধাত্রীদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আর কয়েকটা বিষয় জানতে পারলেই সকলের সামনে আত্মপ্রকাশ করবে জগদ্ধাত্রী আর কৌশিকী।
ইতিমধ্যে উৎসবের মা বৈদেহী মুখার্জিকে ছেলের অপকর্মের কথা জানিয়ে দিয়েছে জগদ্ধাত্রী। ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা গেছে, নিজের বাবা রাজনাথ মুখার্জিকে বারবার স্বয়ম্ভু প্রশ্ন করতে থাকে। একাউন্ট থেকে ১০ লক্ষ টাকা তিনি তুলে ঠিক কাকে দিয়েছেন।
বারবার স্বয়ম্ভ একই প্রশ্ন করতে থাকায় শেষ পর্যন্ত রাজনাথ মুখার্জি উত্তর দিয়ে ফেলেন। তিনি উৎসবকে টাকাটা দিয়েছেন। তবে বাবা ছেলেকে টাকা দেওয়ায় কোন অপরাধ নেই বলে জানান তিনি।
স্বয়ম্ভু জানাই, তার এই স্বীকারোক্তিটাই প্রয়োজন ছিল। রাজনাথ অবাক হয়ে বলে, স্বীকারোক্তি নিতে গেলে মাইক্রোফোন প্রয়োজন হয়। তাই তার স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়নি।
এরপর স্বয়ম্ভু জ্যাসের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয় রাজনাথকে। পরিচয় গোপন করে জগদ্ধাত্রী তাকে বলে, “যে ছেলের উপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করছেন সেই ছেলে আপনার পিছনে আপনাকে ফাঁসানোর জন্য ঠিক কি কি করে বেড়াচ্ছে সে খোঁজ রাখেন? যে ছেলেকে একটু ভালোবাসা দিতে পারলেন না সেই ছেলেই আপনাকে দেখছে। আপনার ছেলে উৎসব ওই ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে জগদ্ধাত্রীকে কিডন্যাপ করিয়েছে তার খোঁজ রেখেছেন?”
এইসব কথা শুনে উৎসবকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে রাজনাথ মুখার্জি। বাবা সব জেনে গিয়েছে বুঝতে পেরে মেহেন্দির সঙ্গে উৎসব আলোচনা শুরু করে, করে এটা সম্ভব হলো। কাঁকনের হোস্টেলে থাকার বিষয়টাও বেশ সন্দেহজনক। অন্যদিকে, জগদ্ধাত্রীদের উপর রাজনাথ মুখার্জিকে গ্রেফতার করা নিয়ে চাপ দিতে থাকে ডিপার্টমেন্টের হেড সাধু দা।
জগদ্ধাত্রী এই কেস হ্যান্ডেল করতে না পারলে বাগচী কেসের দায়িত্ত্ব নেবে। তাই সাধুদার থেকে এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নিল জগদ্ধাত্রী। সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলেও, এখনো পর্যন্ত কৌশিকী মুখার্জিকে গুলি কে করেছিল তার উত্তর জানা নেই তার কাছে।