এক হতে চলেছে অর্জুন-দীপা! রাগে দুঃখে ইরার সঙ্গে একঘরে রাত কাটাল সূর্য! সম্পর্কের নতুন সমীকরণ আনছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’
গ্রামের হেলথ সেন্টারে কিছু মেডিকেল সামগ্রী প্রয়োজন।আর সেই কারণে ইরাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় এসেছে সূর্য। সূর্য অবশ্য একাই আসতে চাইছিল। তবে ইরা জোরজবরদস্তি করতেই তাকে সঙ্গে নিতে রীতিমতো বাধ্য হয় সূর্য।
আপাতত অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকে এরকমই প্লট দেখানো হচ্ছে। ড. সূর্য আর ড. ইরা কলকাতার এক হাসপাতালে মেডিকেল কিট নিয়ে যেতে আসলে দীপাকে দেখে সূর্য।
পরিবার পরিজনকে ভুলে গিয়ে পিছুটান দূরে ফেলে রেখে প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে একা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সূর্য। তবে কলকাতায় ফিরে এসে পরিবারের সঙ্গে একবার দেখা করতে ইচ্ছে করছিল তার।
আরও পড়ুন : পরিবারের ক্ষতি করেও বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই! পেটের ভাত জোগাড় করতে এখন ভিখারী সেজে ঘুরছে অয়ন-মৌমিতা?
এরই মাঝে হাসপাতালে দীপাকে দেখতে পেয়ে সেই ইচ্ছে যেন বহু গুণ বেড়ে যায় সূর্যর। তবে ডাক্তার অর্জুনের চেম্বারে দৃশ্য দেখে চোখে জল আসে সূর্যর। সোনা-রূপা আর দীপা জীবনে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। অর্জুনকে বাবা বলে ডাকছে তারা। মনে নেই সূর্যকে।
এইসব দেখেশুনে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না সূর্য। হাসপাতাল থেকে সে বেরিয়ে যায়। ইরার ফোনে বুধিয়া ফোন করে। তখন সূর্যর মনে পড়ে, সে ইরাকে ফেলে এসেছে। আবার গাড়ি ঘুরিয়ে হাসপাতালে যায় সূর্য।
দেখে সেখানে ইরা বসে রয়েছে। এদিকে ডাক্তারবাবু আবারো গাড়ি ঘুরিয়ে ইরার কাছে আসার কারণে আনন্দিত হয় ইরা। সে ভাবে ডাক্তারবাবুর মরে তার জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে।
ঝড় বৃষ্টির দিনের হাইওয়ে দিয়ে ফেরার সময় গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। উপায় না দেখে হাইওয়ের কাছে কোন হোটেলে থাকা সিদ্ধান্ত নেয় সূর্য। কারণ ইরাকে নিয়ে এতদূর যাওয়া সম্ভব নয়।
হোটেলে গিয়ে মাত্র একটি রুম পায় তারা। এদিকে সূর্য ইরার সঙ্গে এক ঘরে রাত কাটাবে না। তাই ইরাকে ঘরে রেখে গাড়িতে শুতে চায় সূর্য। তবে হোটেল মালিক আর ইরার জোর জবরদস্তির কারণে এক ঘরে থাকতে রাজি হয় সূর্য।