সবাই পড়াশোনা করছে আর উনি ফোন দেখছেন, বছর শেষ হলে দেখা যাবে উনি ফাস্ট!-তোমাদের রানী তুমুল ট্রল সোশ্যাল মিডিয়ায়!
মেডিকেল কলেজে পায়রার খোপের মত ঘর এর থেকে আমাদের প্রাইমারি স্কুলঘর বড়!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো তোমাদের রানী। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, রানী অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিয়ের মন্ডপ ছেড়েছে, তার স্বপ্ন ছিল বড় ডাক্তার হওয়ার কিন্তু তার বাবা তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাইছিল এমন একটা পরিবারে যেখানে বিয়ের পর তাকে আর পড়তে দেওয়া হবে না।
রানীর বিয়ে করতে কোনো আপত্তি ছিল না কিন্তু একই সাথে সে নিজের স্বপ্নও পূরণ করতে চেয়ে ছিলো,তাই রানী চেয়েছিলো এমন একটা পরিবারে বিয়ে করতে যেখানে তার স্বপ্নের গুরুত্ব দেওয়া হয় কিন্তু তার বাবা এই বিষয়টা বুঝতে পারেন নি, ইতিমধ্যে বান্ধবী দেবযানীর বিয়েতে দুর্জয়ের সাথে আলাপ হয় রানীর, দুজনের এই সম্পর্ক শুধু আলাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দুজনের এই সম্পর্ক রীতিমত ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়, সবকিছু জানাজানি হলে রানীকে ঘর বন্দী করে রাখে তার পরিবার।
অন্যদিকে রানীর সাথে দেখা করতে কুলটি ছোটে দুর্জয়। আর দুর্জয়ের বলা কথাতে বিশ্বাস করেই রানী ছাড়ে নিজের বাড়ি। কিন্তু তারপর তার জীবনটা একটা সংঘর্ষ হয়ে যায়, রাগের মাথায় দুর্জয় রানী সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দেয় আর তারপর রানী প্রেগন্যান্ট হয়ে বসে।
আরও পড়ুন : সিরিয়ালের নাম হওয়া উচিত ছিলো অর্জুন!নট মিলি!কারণ অর্জুনের ভূমিকায় বেশি!
একই সাথে প্রেগন্যান্সি ও ডাক্তারি পড়াশোনা দুটো একসাথে সামলাতে পারবে না রানী এই চিন্তায় দুর্জয় রানীর বিরোধিতা শুরু করে কিন্তু রানী সবকিছু একসাথে পেতে চায় সে এই লড়াইটাকে একসেপ্ট করে। ইতিমধ্যে মেডিকেল এন্ট্রান্স দিয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়ে কলেজে ভর্তি হয়ে গেছে রানী।
তার বিভিন্ন রকম টিজার এবং promo দিয়েছে চ্যানেলে। সম্প্রতি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ একটি ছবি দিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটা ছোট্ট ক্লাস ঘরে রানী বসে আছে এবং সেটা নাকি মেডিকেল কলেজের ঘর। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল হাসাহাসি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“
এতো বড়ো কলেজে পায়রার খোপের মতো ঘর!
এর থেকে আমাদের প্রাইমারি স্কুলের ঘর অনেক বড়ো”কেউ আবার লিখেছেন যে,“সবাই পড়াশোনা করছে আর উনি ফোন দেখছে আর বছর শেষ হলে দেখা যাবে উনি ফার্স্ট হয়েছে”