বাংলা সিরিয়াল

‘বাঘে টেনে নিয়ে যাওয়া মানুষ‌ও বাঁচে!’ খড়িকে বাঘে টেনে নেওয়া প্রসঙ্গে গাঁটছড়াকে গাঁজাখুরি বলা হলে যুক্তিসহ সপাট জবাব গাঁটছাড়া ফ্যানের!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গাঁটছড়াতে দেখা গিয়েছিল যে, তিন বোনের গল্প, খড়ি, বনি আর দ্যুতি। দ্যুতি বড়লোকের বাড়িতে বিয়ে করে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে,বনি ডাকা বুকো মেয়ে সে পুলিশ অফিসার হতে চায়, অন্যদিকে খড়ি হাতের কাজে খুব পারদর্শী সে ডিজাইনার হতে চায় জীবনে। এই তিন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মেয়ে জুড়ে যায় সিংহরায় পরিবারের তিন ভাইয়ের সাথে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে গাঁটছড়া বেঁধে যায় খড়ির সাথে ঋদ্ধির, বনির সাথে কুনালের, রাহুলের সাথে দ্যুতি।

নিজের অনিচ্ছাতে বিয়ে করলেও একটা সময় পর ঋদ্ধি এবং খড়ির সম্পর্ক সুন্দর হতে থাকে ,দর্শক পছন্দ করতে শুরু করে এই সম্পর্কের রসায়ন। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় ঋদ্ধি এবং খড়ি সিংহ রায় পরিবারের দুই স্তম্ভ হয়ে উঠছে একে অপরকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাচ্ছে তারা এবং একই সাথে নিজেদের পরিবারকেও তারা বাঁচাচ্ছে। এরপর সিংহ রায় পরিবারের পুরনো সম্পত্তি নিয়ে একটা বিষয় উঠে আসে এবং তার সাথে উঠে আসে খড়ির জেঠুর ট্রাক এবং মিস্টার ডির গল্প- এই গল্প দর্শক পছন্দ করতে পারে না ধারাবাহিকের টিআরপি পড়তে শুরু করে। মোড় ঘোরাতে এই ধারাবাহিক তাই এক বছরের লিপ নেয় কিন্তু লিপ নেওয়ার আগে দেখানো হয় যে, মিস্টার ডি’র ষড়যন্ত্রের শিকার খড়ি আর ঋদ্ধি!

বাঘে টেনে নিয়ে যাচ্ছে খড়িকে আর তারপরে দেখানো হচ্ছে যে এক বছর পর খড়ির বাৎসরিক হচ্ছে তখন খড়ি মডার্ন রূপে ফিরে আসছে, নাম তার ঈশা এবং সিংহ রায় পরিবারকে শেষ করে দিতে চাইছে। কিন্তু সত্যিই কি বাঘই টেনে নিয়ে গেল খড়িকে? বাঘে টানলে কি মানুষ বাঁচে? এতটা অবাস্তব দেখানো হলো গাঁটছাড়া ধারাবাহিকে? -এই নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে ট্রোলার রা এই ধারাবাহিককে নিয়ে সমালোচনা করছিলেন।

এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক গাঁটছাড়া ভক্ত লিখেছেন, “খড়িকে কোনো বাঘ আক্রমণ করেনি কোনো মানুষকে বাঘ আক্রমণ করলে কিংবা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেলে সেই মানুষটার বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনাই থাকে না খড়িকে পিছন থেকে যে আক্রমণ করছে সে দেবাংশুর লোক বাঘের কস্টিউম পড়া ছিলো আমাদের গাঁটছড়াতে এতটা ফালতু/গাঁ*জাখুরী কিছু দেখাবে বলে আমার মনে হয় না

নিজস্ব মতামত ”

Related Articles