Stories

টাকা না থাকায় একসময় শিয়ালদা স্টেশনেই রাত কাটিয়েছিলেন! জেনে নিন পর্দার খলনায়িকা সৌমির জীবনের অজানা কাহিনী

বাংলা টেলি জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন সৌমি ঘোষ (Soumi Ghosh)। এই অভিনেত্রী সাধারণত দর্শকদের কাছে খলনায়িকা হিসেবেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তার অভিনীত ধারাবাহিক গুলির মধ্যে রয়েছে করুণাময়ী রানী রাসমণি’ থেকে শুরু করে ‘ওগো নিরুপমা’, ‘সীমারেখা’র মতন জনপ্রিয় সব সিরিয়াল। তবে বেশিরভাগ সিরিয়াল এই অভিনেত্রীকে খল নায়িকার চরিত্রেই পাঠ করতে দেখা গেছে।

এইভাবে প্রতিটা ধারাবাহিকে খলনায়িকার চরিত্রে পাঠ করতে করতে অভিনেত্রী এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। অভিনেত্রীর মতে তার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার দক্ষতা থাকলেও পরিচালকরা তাকে খল নায়িকা ছাড়া ভাবতেই পারেন না। আর
সারাক্ষণ কূটকচালি এবং নেগেটিভ চরিত্রে পাঠ করতে গিয়ে বাস্তবেও তার মধ্যে নাকি অনেক নেগেটিভিটি চলে আসছিল। অবশেষে অভিনেত্রী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি কাজ না পেলেও নেগেটিভ চরিত্রে আর পাঠ করবেন না। তবে তিনি যদি কাজ না পান তবে ফোকাসটা এখন পড়াশোনার দিকেই করতে চান সেও ভালো তবে কিছুতেই নেগেটিভ চরিত্রে তিনি পাঠ করবেন না।। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই অভিনেত্রী আটের ‘শ্রেয়সী’ (Shryeoshi) ধারাবাহিকের কাজরী (Kajri) চরিত্রে অভিনয় করছেন।

এই চরিত্রটি এখনো পুরোপুরি নেগেটিভ হয়ে ওঠেনি। এই চরিত্রটাও যেদিন নেগেটিভিটি হয়ে যাবে সেদিন তিনি নিজেই এই চরিত্রটিও ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন।টলিউড ফোকাস কলকাতা নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন যে‌ অভিনয়ে আসার জন্য এই অভিনেত্রীকে একসময় খুব কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল। অনেক ছোট থেকেই সৌমি এই অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তাকে নানান ভাবে ছোট করা হতো। তার সবথেকে খারাপ লেগেছিল তখন ইন্ডাস্ট্রির সকল অভিনেত্রীদের গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হলেও তাকে কিন্তু সেই সুযোগটা ব্যবহার করতে দেওয়া হতো না।

অভিনয় জগতে আসার জন্য তিনি যে মানুষটির সাহায্য সবথেকে বেশি পেয়েছিলেন সেটা হল অভিনেত্রী বাবা। অভিনেত্রী কে শুটিংয়ে তিনি নিজে পৌঁছে দিতেন। এক সময় এমনও হয়েছিল যে মেয়েকে অভিনয়ে সেটে পৌঁছানোর জন্য তিনি নিজের চাকরি পর্যন্ত হারিয়েছিলেন। বাবার চাকরি চলে যাওয়ার পর সৌমী ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষ। বারাসাত থেকে কলকাতা প্রতিদিন অভিনেত্রী যাতায়াত করতেন। অনেক সময় সে শিয়ালদা স্টেশনে বসে রাত পর্যন্ত কাটিয়েছেন। অবশ্য তারপরে তার মাও তাকে সাপোর্ট করেন।

Related Articles