বাংলা সিরিয়াল

যতসব অবাস্তব গল্প! আধার কার্ড দেখে রুপা বুঝে গেল সূর্য তার বাবা আর ঠিকানাটা কলকাতার! টিআরপির জন্য রুপাকে অতিরিক্ত বুদ্ধিমান বানাতে গিয়ে বোকামির পরিচয় দিল নির্মাতারা

আপাতত আদালতের নির্দেশে সূর্য-দীপা একসঙ্গে রয়েছে। তবে তারা একসঙ্গে থাকলেও তাদের মধ্যে রয়েছে অভিমানের পাহাড়। তবে দীপা সামস্ত অভিমান ঘুচিয়ে আবার এক হতে চাইছে। কিন্তু সূর্য কিছুতেই দীপার প্রতি রাগ ভুলতে পারছে না। তাই সে কোনভাবেই চাইছে না সম্পর্কটা জোড়া লাগুক। তবে দীপা আগের মতোই তার যত্ন আত্তি করছে।

বর্তমানে সোনা রুপা দুজনেই মা-বাবার সঙ্গে একই বাড়িতে রয়েছে। একই বিছানায় ঘুমোচ্ছে। আর এই দৃশ্যগুলো দেখার জন্যই মরে যাচ্ছিলেন দর্শক। অবশেষে নিজেদের প্রতীক্ষিত দৃশ্য দেখতে পেরে খুশি অনুরাগের ছোঁয়া(Anurager Choya)র ভক্তরা। কারণ ধারাবাহিক আবার আগের ছন্দে ফিরে এসেছে। তাদেরকে খুশি দেখতেই চেয়েছিল দর্শক।

কিন্তু এই সব কিছুর মাঝে রুপা হঠাৎ করেই একটু বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে তার বাবাকে খোঁজার জন্য। মায়ের কাছে যখন প্রশ্ন করেও সে মনের মত উত্তর পাইনি তখন সে নিজেই ঠিক করেছে বাবাকে খুঁজতে বেরোবে। তাই সে খুঁজে পেতে একটা পুরনো বাক্স বার করেছে। যেখানে তার মায়ের পুরনো নথিপত্র রয়েছে। একটা ডায়েরির মধ্যে পেয়েছে মায়ের আধার কার্ড।

এই পর্যন্ত ধারাবাহিকের গল্প ভালো লাগছিল দর্শকদের। কিন্তু হঠাৎ করেই একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে ধারাবাহিক নির্মাতারা। যারা এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক তারাই বলছেন রুপা নিজের বাবাকে খুঁজতে গিয়ে মায়ের আধার কার্ড খুঁজে পেয়েছে। আর সেখানে এসে স্বামীর নাম জানতে পেরেছে। সেখানে লেখা রয়েছে স্বামীর নাম সূর্য সেনগুপ্ত। এটা দেখে সে বুঝতে পেরেছে হিংসুকুটির বাবার নাম এটা। পাশাপাশি এটাও জানতে পেরেছে আধার কার্ডের ঠিকানা যেটা লেখা রয়েছে সেটা কলকাতার ঠিকানা। যে জিনিসটা বড্ড বেশি অবাস্তব।

কতটুকুই বা বয়স রুপার। যে এত ছোট বয়সে কোন বাচ্চার প্রতি আধার কার্ডে স্বামীর নাম্বার ঠিকানা দেখে খোঁজ পাওয়া যাবে সেটা বুঝতে পারা সম্ভব। পুরো জিনিসটাই ভীষণ বাড়াবাড়ি। ধারাবাহিকের রুপার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে গিয়ে অবাস্তব মোড় নিয়েছে গল্প। যেটা কোন সাধারণ বাচ্চার দ্বারা সম্ভবই নয়।

Related Articles