বাংলা সিরিয়াল

“ও আমার জায়ের ছেলে”, লিঙ্গ পরিবর্তন করায় নিজের সন্তানকে অস্বীকার করেন মা! বন্যার মেয়ে হয়ে ওঠার কাহিনী শুনলে চোখে জল আসবে

দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রূপান্তরকামী মহিলারা। লেখিকা তথা সমাজসেবিকা বন্যা কর ছিলেন তাঁদেরই সঙ্গে। দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এদিন নিজের জীবনের কাহিনী শোনালেন তিনি।

লিঙ্গ পরিবর্তনের পর কিভাবে নিজের মা তাকে সন্তান হিসেবে অস্বীকার করেছিলেন, সেটাও তিনি জানালেন দুঃখের সঙ্গে। সমস্ত নিয়ম মেনেই পুরুষ থেকে মহিলা হয়ে উঠেছেন বন্যা কর। কিন্তু সেই সময় মা যেহেতু পরিচয় দিতে অস্বীকার করেছে তার সন্তানকে। তাই সম্পূর্ণ লড়াইটা তাঁর একার।

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন বন্যা জানান, “আমার বড় হয়ে ওঠা মধ্য কলকাতায়। আমি ছোটবেলা থেকেই আমি ভীষণ এ রকমই। মানে মেয়েলি। এভাবেই বড় হওয়া। ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে আচমকাই বাবা চলে যান। তিনি আমাদের পৈতৃক বাড়িতে আত্মহত্যা করেন। আমি তখন ওই বাড়িতেই থাকতাম। বাবা মাঝে মধ্যে আসত।

বাবা মারা যাওয়ার পর আমার ভাই বলে আমি বিয়ে করেছি। সংসার হয়েছে আমি এখানে থাকব। আমায় ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি ওই একই পাড়ায় ভাড়া বাড়িতে যেখানে মা থাকত, আমি সেখানে এসে থাকা শুরু করি। তারপর ২০২২ সালে মা আমার এই বদল মেনে নিতে পারে না। আমায় বের করে দেয়।”

বন্যা আরোও জানান, “বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পর মায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো হয়। এই কিছুদিন আগেও মায়ের কাছে গিয়েছিলাম মায়ের পছন্দের ফল নিয়ে।

তখন এক পরিচিতা যখন জিজ্ঞেস করেন তুই বদলে যাচ্ছিস কেন? মাকে বলে এটা তোর বড় ছেলে না? তখন মা আমায় অস্বীকার করে। বলে না ও আমার জায়ের ছেলে।”

আরও পড়ুন : সন্ধ্যা সন্ধ্যা করে আজ সিরিয়াল শেষের মুখে! দর্শক কি ঘাসে মুখ দিয়ে চলে? অতিরিক্ত সন্ধ্যাকে প্রাধান্য দেওয়ার ফলেই শেষ হচ্ছে সন্ধ্যাতারা!

শিক্ষাগত যোগ্যতা দিক দিয়েও কিন্তু পিছিয়ে নেই বন্যা। ২০১৯ সালে হিউম্যান রাইট নিয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি কমপ্লিট করেছেন তিনি। এখন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছেন। পাশাপাশি চলছে লেখালিখি।

সেদিন রচনার হাতে নিজের লেখা একটি বই উপহার স্বরূপ তুলে দেন তিনি। সেই বই হাতে রচনা বন্যার মায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, “ও আপনার ছেলে হোক বা মেয়ে, গর্ব করে বলুন বন্যা কর আপনার সন্তান।” মায়ের পছন্দের অভিনেত্রী রচনা হওয়ার কারণে, দিদি নাম্বার ওয়ানে আসা করে জানিয়েছেন বন্যা।

Related Articles