কোথায় ইন্দ্রানীর ইনোসেন্ট ন্যাচারাল অভিনয় আর কোথায় বিজয়লক্ষ্মীর ন্যাকা মার্কা যান্ত্রিক রোবোটিক অভিনয়! যেন জোর করে এক্সপ্রেশন দিচ্ছে!-চিনি চরিত্রে নতুন লুককে মানতে নারাজ দর্শক!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘চিনি’। চিনি ধারাবাহিকে এর আগে চিনি চরিত্রে অভিনয় করতেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য। ইন্দ্রাণী যখন চিনিতে অভিনয় করতেন,তখন অনেকেরই নায়িকার লুক পছন্দ হয় নি।
কিন্তু আস্তে আস্তে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে নিজের একটা আলাদা জায়গা করে নেন ইন্দ্রানী, তার চোখের মধ্যে যেভাবে রহস্যময়তাকে তিনি ফুটিয়ে তুলতেন তা দেখে দর্শক তার অভিনয় প্রশংসা করতে শুরু করেন ঠিক এই সময় চিনি চরিত্রের মুখ বদল হয় আর চিনি চরিত্রে আসেন নতুন মুখ জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিজয় লক্ষী চ্যাটার্জী।
এইবার দর্শক বলতে শুরু করেন যে, চিনি চরিত্রে ইন্দ্রানী পারফেক্ট ছিলো বিজয়লক্ষ্মীকে মানাচ্ছে না। অনেকে আবার বলতে শুরু করেন যে বিজয়লক্ষ্মী একজন দক্ষ পাকা অভিনেত্রী, কিন্তু চিনি চরিত্রে বিজয় লক্ষী আসার পর মনে হচ্ছে শুধু চিনির লুক নয় চিনির চরিত্রই বদলে গেছে।
আগের চিনির চোখের মধ্যে একটা ভয় ছিলো, তবে সে ছিল ছটফটে কিন্তু বর্তমানে চিনিকে দেখলে মনে হয় সে যেন নববধূ সর্বদাই লজ্জিত। সে গান গাওয়ার পর ছোট মালিক যখন তার গানের প্রশংসা করে তখন সে লজ্জায় চোখ নামিয়ে নেয়, তার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে ওঠে তার ছোট মালিক দ্রোণ।
দর্শক বলতে শুরু করেন যে, বিজয়লক্ষ্মী এসে ন্যাকা মার্কা এক্সপ্রেশন দিচ্ছে! কিন্তু এই কথার প্রতিবাদ করে অনেকেই বলতে শুরু করেন বিজয়লক্ষ্মীর দোষ নেই মনে হচ্ছে স্ক্রিপ্টটাই চেঞ্জ হয়ে গেছে! শুধু চিনির লুক চেঞ্জ হয় নি,চিনি ও চেঞ্জ হয়ে গেছে!
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“ইন্দ্রানী চিনিতে যে রহস্য ক্রিয়েট করেছিল!
এক নিমিষে সব নষ্ট করে দিয়েছে চ্যানেল + প্রোডাকশন হাউজ
কি হতো একটা সিরিয়ালের হিরোইন অসুন্দর হিসেবেই মেনে নিতে?
সব সিরিয়াল কেই এক পর্যায়ে ফেলতেই হতো ?
সারাক্ষণ সেই এক প্যাচাল দেখতে দেখতে দেখতে বোর ছিলাম
স্রোতের বিপরীতে গিয়ে একটা সিরিয়াল এলো চিনি
দেখে স্বাধের পরিবর্তন হলো , সারাদিনের হাড়ভাঙা পরিশ্রম এর পর যখন সিরিয়াল টা দেখতে বসতাম মনটা ফ্রেশ হয়ে যেতো !
কিন্তু মহামান্য জলসার সেটা পছন্দ হয়নি সব সিরিয়াল কেই সেই একই পথের পথিক বানাতেই হতো!
সিরিয়াল টাতে ন্যাকামি এড না করলে শান্তি হচ্ছিলো না!
কোথায় ইন্দ্রানীর ইনোসেন্ট ন্যাচরাল অভিনয়! আর কোথায় এই
বিজয়*এর ন্যাকা মার্কা যান্ত্রিক রোবটিক অভিনয় , জোর করে করে এক্সপ্রেশন দিচ্ছে!
এতোটা কাজ দিচ্ছে চরিত্রে দিতে দিতে চরিত্র টার বারোটা বাজাচ্ছে
সিরিয়াল টাকে এভাবে গolaটিপে Hত্যা না করলেও পারতো !
শুধু মাত্র ইন্দ্রানীকে সরাবে বলে একঘন্টা করে এপিসোড দিয়ে যতো রাতারাতি সম্ভব আপদ বিদায় করলে যেনো হাঁফ ছেড়ে বাঁচে!
চিনি করতে এসে চূড়ান্ত বৈষম্যের শিকার হলো ইন্দ্রানী!
সৌন্দর্যতার কাছে ট্যালেন্ট মাটি চাপা পড়লো ! এবার এটা দেখার বিষয় চিনি কতোটা টিআরপি দিয়ে বেঙ্গল টপার হয় ১০+ না ১২+ কোনটা ?”