‘প্রেজেন্ট স্বামীকে বেডে শুইয়ে এক্স স্বামীর সাথে মান অভিমানের খেলা!’,‘লীনাদির সেই পুরুষকে তুলসীপাতা বানানোর ট্র্যাক হাজির!’-এক্সিডেন্ট করে অনির্বাণ হাসপাতালে আসতেই ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়!
বাস্তবে যেটা দেখায়,আমরা সব সময় আশা করি যে, ধারাবাহিকেও আমরা সেটাই দেখতে পাবো। কারণ যে কোনো ধারাবাহিক হলো বাস্তব জীবনের প্রতিফলন, কিন্তু বাস্তবে যা দেখায় ধারাবাহিকে গল্পের গরুকে মগ ডালে তুলে দেয়। যেমন ধারাবাহিকে কখনো দেখা যায় মৃত স্ত্রী ফিরে আসছে, কখনো দেখা যায় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একজন অন্যজনের মুখ প্লাস্টিক সার্জারি করে ফিরে আসছে, কখন আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে দেখায় কুমিরের মুখ থেকে,বাঘের গুহা থেকে,মর্গের ভিতর থেকে,এমনকি আগুনের ভেতর থেকে অসুস্থ হয়ে বেঁচে ফিরে আসছে নায়ক নায়িকা!কখনো দেখা যায় ধারাবাহিকের লিড চরিত্র অথবা অন্য চরিত্রের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে আছে,নায়িকা একটা গান গাইলো, ব্যস!
ডাক্তারের জবাব দেওয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফিরিয়ে দেওয়া মৃতপ্রায় মানুষ সেই গানেই সুস্থ হয়ে উঠলো।- কিন্তু বাস্তবটা এমন নয় বাস্তবের মাটি বেড অফ রোসেস নয়, ধারাবাহিকে যেমন দেখা যায়, নায়িকা সর্বাংসহা তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে দিলেও তারা ফিরে চলে আসে, মাটি চাপা দিলেও তারা মাটির মধ্যে থেকে নিঃশ্বাস নেয়, কিন্তু বাস্তবের নায়িকারা রোদে জলে পুড়ে যায়, তারা রাত্রে বেলায় বেনারসি পরে গা ভর্তি গয়না পরে ঘুমায় না, কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঘরের এক কোণে এলিয়ে পড়ে।
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক এক্কা দোক্কায় দেখা যাচ্ছে যে, অনির্বাণ রাধিকাকে প্রেগন্যান্ট ভেবে অপমান করে তারপর যখন সে সত্যিটা জানতে পারে তখন সে ছুটে যায় কিন্তু রাধিকা তখন তাকে প্রত্যাখ্যান করে, এরপর দেখা যাচ্ছে আবার অনির্বাণ এক্সিডেন্ট করেছে এবং পোখরাজের হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। রাধিকার কাছে সেই খবর পৌঁছে যায়।
এই ট্র্যাক দেখে মানুষজন ট্রোলিং শুরু করেছেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“এক স্বামী এক্সিডেন্ট করেছে, আরেক স্বামীর হাসপাতালে এনেছে চিকিৎসা করাতে। এখন এখানে চিকিৎসা হবেনা, প্রেজেন্ট হাসবেন্ডকে বেডে শুইয়ে রেখে, এক্স হাজবেন্ডের সাথে মান-অভিমানের খেলা হবে।”
আরেকজন আবার লিখেছেন,‘লীনাদির সেই পুরুষকে তুলসীপাতা বানানোর ট্র্যাক হাজির!’
