বাংলা সিরিয়াল

‘ফুলশয্যার রাতেও চাইবো অনুজের কথা বলেই অঙ্কুশ আর গুড্ডি নিজেদের জীবন শুরু করুক!” গুড্ডি নিয়ে আজব দাবি দর্শকের!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুড্ডি, এই ধারাবাহিকে দেখা যায় সারা জীবন গুড্ডি শুধু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে গেছে, কখনো শিরিনের প্রতি কৃতজ্ঞতাবশত নিজের ভালোবাসার মানুষ, নিজের প্রথম স্বামীকে ত্যাগ করেছে, কখনো মনের ডাক অগ্রাহ্য করতে না পেরে তার প্রথম স্বামী অন্য একজনকে বিয়ে করেছে জেনেও তার সাথে রাত কাটিয়েছে, কখনো কৃতজ্ঞতা বশত যুধাজিৎকে বিয়ে করেছে, কখনো অনুজকে ভুলতে না পেরে আবার যুধাজিৎকে ডিভোর্স দিয়েছে এবং শেষমেষ অনেকগুলো বছর অনুজের স্মৃতিচারণা করে একাই কাটিয়ে দিয়েছে। জীবনের শেষ পর্যায়ে গিয়ে গুড্ডি হুবুহু অনুজের মতো দেখতে একজন মানুষকে তার কাছে পেয়েছে, এই মানুষটির নাম অঙ্কুশ ভাটিয়া।

পাঁক থেকে পদ্মের মত তুলে তাকে স্বচ্ছ সুন্দর শুদ্ধ করে তাকে বিয়ে করেছে এবং তার সাথে নিজের দাম্পত্য জীবন শুরু করেছে। দুজনের মধ্যে খুব সুন্দর একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং গড়ে উঠেছে তারা একে অপরকে খুব ভালো বোঝে, কিন্তু তা সত্বেও দর্শক চাইছেন যে ফুলশয্যার রাত্রে গুড্ডি আর অঙ্কুশ যেন অনুজের স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে নিজেদের জীবন শুরু করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আজ বাসর ঘরে গুড্ডি অংকুশের মধ্যে একটা সুন্দর মেল বন্ধন দেখলাম।ভালোবাসা,সম্মান, বিশ্বাস, ভরসার ডালি নিয়ে একে অপরের পাশে বিরাজমান। যা সেই মুহূর্তে গাওয়া গান টার সাথে বেশ মানায়।
‘ যব কোই বাত বিগর যায়ে,
যব কোই মুশকিল পর জায়ে
তুৃ দেনা সাথ মেরা ও হাম নবাজ’।
এরা একে অপরের সুখে দুখে একে অপরকে পাশে পাবে এই অঙ্গীকার করে তাদের পথ চলা শুরু।তোমাদের নতুন জীবনের জন্য শুভ কামনা রইল

এর আগেও আমরা এই রকমই আরও একটা বাসর ঘর দেখেছিলাম গুড্ডি আর যুধার।কিন্তু আজ আমি যুধার বিষয়ে বিশেষ কিছু বলবো না।সেই বাসর ঘরের কনে ছিলো গুড্ডি।অনুজ শিরিনের সংসার বাঁচতে নিজের ভালোবাসার বুকে পাথর চাপা দিয়ে গুড্ডিকে সে দিন বিয়ের নাটক করতে হয়েছিলো আর যুধা বর সেজে সেই নাটকের সাথ দিয়েছিল মাএ।
গুড্ডি আর অনুজ একে অপরকে প্রাণের অধিক ভালোবাসতো। গুড্ডি যুধার বিয়েটা অনুজ মানতে পারে নি, তাই সে দিন নিজে আত্মঘাতী র পথ টাই বেঁচে নিয়েছিল।কিন্তু গুড্ডি র ভালোবাসার কাছে ভগবানকে ও সে দিন হার স্বীকার করতে হয়েছিল। অনুজের জীবন কে ফিরিয়ে দিতে হয়েছিল।
কিন্তু শিরিনের প্রেগনেন্সির কথা শুনে অনুজ এক প্রকার বাধ্য হয়ে নিজের ভালোবাসার বলিদান দিয়ে শিরিনের সাথে থাকার কথা ভাবতে হয়েছিল,এটা মনের মধ্যে রেখে যে ওদের মধ্যে বাচ্চা হবার কোনো সম্পর্ক কোনো দিন ও গড়েই ওঠে নি।

সেই দিনে দাঁড়িয়ে দুজন দুজনের থেকে বিচ্ছেদ ঘটানো যে কতটা বেদনার তা তাদের একএে গাওয়া একটি গানের মাধ্যমে ই বুঝিয়ে দিয়েছিল।

‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যাঁয় মোজোকি রওয়ানি হ্যাঁয়
জিন্দেগি অর কুছ ভি নেহি তেরি মেরি কাহানি হে ‘।

সেদিন গুড্ডি অনুজের ই জীবনের গল্প ছিলো। একে ওপরকে প্রাণের অধিক ভালোবেসেও তাদের ভালোবাসা পরিনতি পায় নি।মৃত্যুক্ষণে দাঁড়িয়ে ও
অনুজ গুড্ডিকে তার ভালোবাসা র কথাই জানিয়ে গেছে

তাই লীনা ম্যাডাম এর কাছে একটাই অনুরোধ অনুজ কে,অনুজের ভালোবাসাকে ভোলা সম্ভব নয়।দয়া করে যদি গুড্ডি আর অংকুশ উভয়ে অনুজের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে তারা তাদের নতুন জীবন শরু করে তা হলে অনুজের ভালোবাসা কে একটু সম্মান জানানো হবে মাএ।অনুজের ভালোবাসা কোথাও গিয়ে সম্মানিত হবে। মনের মধ্যে তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্বেও অনুজ নিজের ভালেবাসার মানুষকে কোনো দিনও কাছে পায়নি।তাই গুড্ডি অংকুশ একটু স্মৃতিচারনের মাধ্যমে জীবন শুরু করলে অনুজের ব্যর্থ ভালোবাসা একটু সন্মানিত হবে।”

Related Articles