বাংলা সিরিয়াল

জীবনের এতোগুলো বছর কার পিছনে নষ্ট করলাম? কোজাগরীর এই বোধ তুলে ধরল মেয়েদের চিরাচরিত আইডেন্টিটি ক্রাইসিস কে! জল থৈ থৈ দেখে বাকরুদ্ধ দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো জল থৈথৈ ভালোবাসা। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে কোজাগরী নিজের জীবনের ৩২ টা বছর কাটিয়ে দিয়েছে বসু পরিবারে, একজন সুগৃহিনী হিসেবে শাশুড়ি থেকে শুরু করে বর , ননদ, নন্দাই,জা, দেওর সকলের খেয়াল রেখেছে সে। এই খেয়াল রাখতে রাখতে ভুলে গেছে নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করার কথা এই খেয়াল রাখতে রাখতে ভুলে গেছে নিজের আলাদা বাড়ি তৈরি করার কথা।

যে কারণে আজ মধ্য বয়সে এসে মতের অমিলের জন্য তাকে চূড়ান্ত অসম্মানের শিকার হতে হল তার ছেলেদের কাছ থেকে। শুধুমাত্র মেয়ে তোতার সাথে আসমানের বিয়ে মেনে নিয়েছে এবং সেই বিয়েতে নিজে সামিল হয়েছে বলে তার দুই ছেলে তাকে যেভাবে খাওয়া পরার খোঁটা শোনালো, এসি ঘরে থেকে আয়েশি জীবন যাপনের খোঁটা দিলো তা দেখে রীতিমতো বাকরুদ্ধ দর্শক। তারা বুঝতে পারছেন না এরকম একটি উচ্চবিত্ত পরিবারেও একই পরিস্থিতি কি করে হয় এক নারীর!

সচরাচর আমরা যেটা দেখে আসি তাহলে নিম্ন মধ্যবিত্ত
এবং গরিব পরিবার গুলিতে একটা টাইম পর মহিলাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস হয়, তারা বুঝতে পারে না, তারা কোথায় যাবে পরিবারের মানুষদের সাথে মতভেদ হলে তারা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেয় এই বাড়ি তার নয়।

আরও পড়ুন : পুলিশ হেফাজতে টিকলি! বোনের মুখ চেয়ে আর বোনঝিকে ক্ষমা করেনি শ্রাবণ-শ্রাবণ চরিত্রের এই স্ট্যান্ড দেখে খুশি দর্শক!

এটা তার শ্বশুরবাড়ি। ঠিক একই পরিস্থিতির স্বীকার কোজাগরী যা মানতে পারছেন না দর্শক। কোথাও না কোথাও এই ধারাবাহিক তুলে ধরছে সেই চিরন্তন সত্যকে মেয়েদের আসল বাড়ি তাহলে কোথায়?

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন দর্শক এই এপিসোডের তীব্র সমালোচনা করে লিখেছেন যে,“একজন মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে কতো যন্ত্রনা সহ্য করে তাঁর শিশু টিকে পৃথিবীর আলো দেখানো পর সেই সন্তানটিই বড়ো হয়ে যখন বলে যে সে মাকে মা বলে পরিচয় দিতে লজ্জা করে,তখন মায়ের বুকের ভেতরটা কেমন করে বলুন দেখি
তখন মনে হয় না যে জীবন টা ই বৃথা।তখন পৃথিবীর সব কিছু যেনো চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়।

তখন মনে হয় না যে সারাটা জীবন কার পেছনে সময় নষ্ট করলাম।জীবনের মানে গুলো সব ফিকে হয়ে যায় তাই না।
শাঁশুমা আজ কোজাগরী র সেবা যত্ন নিতে চায় না।হায় রে অদৃষ্ট,যাকে নিজের হাতে এক গ্লাস জল ও গড়িয়ে খেতে দেয় নি,সে নাকি এই কথা বলছে

আজ উদ্দ্যালক বাবুর কথাগুলো শুনে মনে হলো যে কোজাগরী কে উনি কোনোদিন ও ভালো ই বাসেন নি।বাড়ি সামলানোর জন্য একজনকে দরকার ছিলো সেই হিসাবে যতোটুকু পাওয়ার তাই দিয়েছেন,তার থেকে বেশি কিছু নয়।বাচ্চা গুলো কে বড়ো করবার দরকার ছিলো,মাকে দেখে রাখবার দরকার ছিলো,তাই কিছু টা বাধ্য হয়েই কোজাগরী র ছেলে মানুষি গুলো মেনে নিতেন।এর থেকে বেশি কিছু নয়।

আরও পড়ুন : ভূত আবার প্লাস্টিক সার্জারি করে পুনর্জন্ম করে ফেলছে!আজব!-তুমি আশেপাশের প্রোমো নিয়ে তুমুল ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়

আজ ছেলে মেয়ে বড়ো হয়ে গেছে তাই আর কোজাগরী কে মানার দরকার নেই, তাই সবার সাথে যোগাযোগ ছিন্ন করে বসু পরিবারে নিজের মতোন থাকবার আদেশ জারি করলেন উদ্দালক বাবু। কিন্তু উনি ভুলে গেছেন যে সবার ই নিজস্ব মান সন্মান আছে,তাই কোজাগরী শুধু কটা দিন সময় চেয়ে নিলেন একটা আস্থানা খোঁজার জন্য।তারপর কোজাগরী র বসু পরিবার থেকে বিদায় ঘন্টা বেজে উঠবে।

আচ্ছা বলুন তো মেয়েদের কেনো নিজস্ব বাড়ি থাকে না।ছোটো বেলায় বাপের বাড়ি,বিয়ের পর শঁশুর/স্বামী র বাড়ি,আর বয়স বাড়লে ছেলের বাড়ি।তাহলে মেয়েদের নিজস্ব বাড়ি কি কোনোদিন ও গড়ে উঠবে না ”

Related Articles