আসমানের বোনের অবিলম্বে বিয়ে দিতেই হবে! কথাগুলো বৃটিশ আমলের মত শোনাচ্ছে!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো জল থৈ থৈ ভালোবাসা। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে,কোজাগরী আর কোকো এই দুইজন মানুষ সবসময় অপ্রিয় সত্য কথা বললেও আসমানের মা সবসময় বাস্তববাদী চিন্তা ভাবনা করেন,যেখান থেকে তার মনে হয় আসমানের বিয়ের জন্য তার স্বামী একগাদা টাকা প্রফিডেন্ট ফান্ড থেকে তুলে ঋন করে ছেলের বিয়ে দিয়েছেন কিন্তু তার নিজের মেয়ে বিবাহ যোগ্যা,তার মেয়ের বিয়ের জন্য কোনো টাকা নাই।
এই প্রসঙ্গে কোজাগরী তোতা আসমানের সহযোগিতার কথা বললে আসমানের মা বলে যে,ওরা রোজগার করলেই তো আর আয় হতে শুরু করবে না আস্তে আস্তে মাইনে বাড়বে,তখন ওরা নিজেদের দেখবে না,তোতার বিয়ের টাকা দেবে।
একইভাবে দর্শকদের আরেক অংশের মানুষ বলছেন যে,আসমানের মায়ের কথা বার্তা একেবারে মধ্যযুগীয়,কেন এখনই আসমানের বোনের বিয়ে দিতে হবে? আর কয়েকবছর অপেক্ষা করলেই বা কী ক্ষতি? আর মেয়ে নিজে রোজগার করেও তো বিয়ে করতে পারে?!সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন পোস্ট করে লিখেছেন যে,“জল অথৈ
১) কোজাগরী ও কোকো সবসমই অপ্রিয় সত্য কথা বলে। বলে আনন্দ পায়।
আসমানের সৎ মা আজ কিছু বাস্তব সত্য কথা বললো।
২) আসমানের সৎ বোনের বিয়ের বয়স হয়েছে। অবিলম্বে বিয়ে দিতে হবে। এর খরচ কোথা থেকে আসবে।
এদিকে আসমানের বিয়েতে ওর বাবা একমাত্র সম্বল প্রভিডেন্ট ফান্ড বন্ধক রেখে বিপুল অংকের ঋন করেছে, যা সুদ আসলে বাড়তে থাকবে।
৩) বোনের বিয়েতে আসমান ও তোতা সহায়তা করবে কোজাগরীর এই কথার সাফ জবাবে বাস্তববাদী তোতার শাশুড়ি বলেছে, চাকুরী পাওয়ার সাথে সাথে তো ওরা প্রচুর টাকা রোজগার করবে না। আয় ধীরেধীরে বাড়বে। নিজেরা চলবে নাকি বোনের বিয়ের খরচ যোগাবে।
৪) তোতা ও আসমানের সঞ্চয় থেকে বিয়ে দিতে গেলে ওর বিয়ের বয়স থাকবে বলে মনে হয় না।”
এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন যে,“আসমানের বাবা প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ঋণ নেননি। প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে কিছু টাকা তুলে ছেলের বিয়েতে খরচ করেছেন। আপনার বোধহয় জানা নেই 55 বছর বয়সের পর প্রভিডেন্ট ফান্ডের 75% টাকা তুলে নেওয়া যায়। আর আসমানের বোনের বিয়ের বয়স হয়েছে, অবিলম্বে বিয়ে দিতেই হবে, এই কথাগুলো বৃটিশ আমলের মত শোনাচ্ছে।
আরও পড়ুন : ৫০০ পর্বের ধামাকা হিসেবে পিকলুর পুরো নাম জানা গেল! নিম ফুলের মধু দেখে বলছেন দর্শক
এই যুগে বেশীরভাগ মেয়েই নিজের পায়ে দাঁড়ায়। কাজেই 20/22 বছর বয়স হলেই মেয়েদের বিয়ে না হলে তারা জলে ডুবে যাবে, এই ধারণা অত্যন্ত হাস্যকর। বোন আজকে টিউশন পড়াচ্ছে, কাল সেও কোনও চাকরী পেয়ে যেতে পারে। আর যদি নাও পায়, তাতেই বা কি? এই যুগে একজন স্কুল শিক্ষক এতটা গরীব হয় না যে মেয়ের বিয়েতে খরচ করার মত টাকা থাকে না। আসমানের বাবাই সময় হলে মেয়ের বিয়ে দেবেন। তোতা বা আসমানের সাহায্যের দরকার হবে না উনার।”