টিটো যেতেই কোকো সুরসুর করে বাড়ি ফিরে এলো! কম্পোর্ট জোন ছাড়বে না! মৃণালের মত প্রতিবাদে মুখরিতা হয়ে ঘর ছাড়তে পারতো!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থৈথৈ ভালোবাসাতে দেখা যায় যে শাশুড়ির সাথে হওয়া অসম্মানের তীব্র প্রতিবাদ করেছে কোকো। তার ননদিনীর বৌভাতেও গিয়েছে সে। এরপর টিটো তাকে অসম্মান করলে সে বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে ওঠে কিন্তু তারপর আবার টিটো তাকে ফেরাতে গেলে সে টিটোর সাথে ফিরে আসে, তার এই প্রত্যাবর্তন অনেকেই মন থেকে মানতে পারেননি।
অনেক বছর আগে স্ত্রীর পত্রের মৃণাল যেমন জমিদার পরিবার ছেড়ে মেরুদন্ড সোজা রেখে বেরিয়ে আসতে পেরেছিল কোকো কেন তেমন ভাবে মেরুদণ্ড সোজা রেখে বেরিয়ে যেতে পারল না কেন আবার ফিরে এলো বসু পরিবারে এই প্রশ্ন করেছেন অনেকেই!
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“
১) কুখ্যাত কুপুত্র টিটোর সাথে কোকোর বসু পরিবারে ফিরে যাওয়া কোকো ভক্তদের মর্মাহত করবে নি:সন্দেহে। কোকোর মা এর কথায় বোঝা গেল কোজাগরীর কার্যকলাপ নিয়ে কোকোর মায়ের পরিবারেও তীব্র আপত্তি ও অসন্তোষ রয়েছে।
২) আসমানের বাসার অনুষ্ঠানে টিটোর প্রতি কোকোর ঘৃণা, অবজ্ঞা ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য আচরণে আমার এই প্রতীতি জন্মেছিল, মেরুদণ্ড সোজা রেখে আত্মসন্মান সমুন্নত রেখে কোকো বলবে :-
টিটো দা,আমি আর তোমাদের বসু পরিবারে ফিরে যাব না”
মায়ের বাসায় আশ্রয় না হলেও আপাতত কোকো তার গানের টিউশানির উপর ভরসা করে মেয়েদের হোস্টেলে উঠে যাবে।
৩) আজ থেকে প্রায় একশত বছর আগে রবীন্দ্রনাথের “স্ত্রীর পত্র ” গল্পের জমিদার বঁধু মধ্যবিত্ত ঘরের মৃণাল আশ্রিতা কিশোরীর উপর অন্যায়ের প্রতিবাদে এককাপড়ে বেড়িয়ে এসে তার স্বামীকে পত্র লিখেছিল :-
“আমি আর তোমাদের জমিদার বাড়ীতে ফিরে যাব না”
আজকের কোকার কোথায় সেই সাহস,স্পর্ধা, আত্মসম্মান, আত্মপরিচয়।
এখনকার পরজীবী কোকোরা না প্রেমিক না বিপ্লবী। তারা গাছের টা খাবে, তলার টাও কুড়াবে। কম্ফর্ট জোন ছাড়বে না।”
তবে কেউ কেউ মনে করছে কোকো যা করেছে তার জায়গায় অন্য যে কোনো মেয়ে থাকলে একই কাজ করতো, কারণ কোকোর বিষয় টা পুরোপুরি বাস্তব। সে অসহায়।
আরও পড়ুন : প্রেগন্যান্ট নয় জগদ্ধাত্রীর প্রেশার লো দেখেই খুশি দর্শক! জগদ্ধাত্রী দেখে বলেছেন দর্শক
বাপের বাড়ী তার পাশে দাঁড়ালো না। এইরকম পরিস্থিতিতে সে কোথায় যাবে? আরেকজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আগের টিউশনি র ওপর ভরসা করে মেয়েদের মেসে যাওয়া র কথা বলা যতো সহজ ততো কাজে সহজ নয়। সময় সাপেক্ষ এককালীন অনেক টাকার ব্যাপার। এই সিরিয়াল
এটাই জানাচ্ছে যে প্রত্যেক মেয়ের পায়ের তলার মাটি টা শক্ত হওয়া দরকার। যাতে দরকারে তারা আত্মসম্মান বজায় রেখে চলতে পারে।”