বাংলা সিরিয়াল

‘কার কাছে কই মনের কথাতে বিয়ের বাড়িতে খাবার নষ্ট করার বিষয়টা বাস্তব সম্মত! মানালিকে এরকম প্রতিবাদী চরিত্রেই মানায়,শবনম,ফুলঝুরির মতো ন্যাকা ন্যাকা কান্না চরিত্র যেন না করে!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথাতে একটি বাস্তবসঙ্গত ট্র্যাক উঠে এসেছে, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন দর্শক। এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে শিমুলের বিয়ের রাত্রে শিমুলের হবু দেওর পলাশের বন্ধুবান্ধবরা এসে শিমুলের বাড়ির খাবার প্রচুর পরিমাণে নষ্ট করে। বুফে সিস্টেমে খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল শিমুলের বিয়েতে, কিন্তু পলাশের বন্ধুবান্ধবরা প্রচুর পরিমাণে খাবার নিয়ে তা নষ্ট করতে থাকে ফেলে দিতে থাকে, শিমুলের হবু ননদ পুতুল সবটা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করে, কিন্তু পুতুলকে কেউ পাত্তা দেয় না তখন পুতুল শিমুলের কাছে গিয়ে নালিশ ঠোকে।

অন্যদিকে বিয়ের মন্ডপে শিমুল তখন সিঁদুর দানের অপেক্ষায় বসে ছিল, কিন্তু তার কানে যখন এই খবরটা পৌঁছায় তখন সে রীতিমতো প্রতিবাদ করে। তার বাবা নেই তার দাদারা কষ্ট করে তার বিয়ের আয়োজন করেছে, তার মা পেনশনের অল্প টাকা জমিয়ে তার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, সেখানে তার দাদাদের কষ্ট করে করা এই আয়োজন কে ফেলে দিয়ে অপমান করা হবে সেটা সে কিছুতেই মেনে নেবে না বলে জানায় এমন কি বিয়ের মন্ডপ থেকে সে উঠেও যায়। শিরদাঁড়া সোজা রেখে সে বলে যতক্ষণ না তারা ক্ষমা চাইবে ততক্ষণ অবধি সে সিঁদুর পড়বে না, দরকার পড়লে বিয়ে ভেঙে যাক। কিন্তু যা অন্যায় হয়েছে তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।

শিমুলের এই বোল্ড চরিত্র দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন দর্শক। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“দারুণ হচ্ছে কার কাছে কই মনের কথা। বিয়ে বাড়িতে খাবার নষ্ট করা নিয়ে শিমুল এর প্রতিবাদটা দারুণ লাগল।আমাদের চারপাশে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে। একদল লোক আছে যারা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে খাবার নষ্ট করে আবার খাবারের নিন্দা করে। কিন্তু এটা বোঝে না এই খাবারের ব‍্যবস্থ‍্যা করতে একজন বাবা তার জীবনের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে। এই সামাজিক ব‍্যাধি টা সুন্দরভাবে ফোটিয়ে তোলেছে। মানালীকে যেন শবনম বা ফুলঝুড়ির মতো ন‍্যাকা কান্না মার্কা চরিত্র না বানায়। এই রকম প্রতিবাদী রাখলে ভালো হবে। আশা করছি আগামী দিনে আরও ভালো করবে কার কাছে কই মনের কথা”

Related Articles