বাংলা সিরিয়াল

‘বউ ইগনোর করলে মানুষ কি পরিমাণ ঘেঁটে যায় তার প্রমাণ ডোডো!হুলোড় মত রাগে গড়গড় করছে!’-সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন এক নেটিজেন!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মেয়ে বেলা। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে,মৌ একদিন ডোডোর অফিসে গিয়ে চাঁদনী আর ডোডোকে একসাথে দেখে ফেলে তারপর থেকে সে ডোডোর সাথে রীতিমতো দূরত্ব মেনটেন করছেন, ডোডোর সাথে এক ঘরে থাকছে না ডোডোর ল্যাপটপ ব্যবহার পরছে না,আলাদা ঘরে পড়ছে, টিকলির ল্যাপটপ ব্যবহার করছে, এমনকি ডোডো মৌএর অসুবিধার কথা ভেবে তার জন্য আলাদা ব্যাগ কিনে দিলে সেটাও ব্যবহার করতে অস্বীকার করছে সে,সে জানাচ্ছে যে সে, স্বাবলম্বী হতে চায়, নিজের মতো করে থাকতে চায়,তার নিজের অসুবিধা, ও সুবিধাটুকু সে নিজেই বুঝে নেবে,অন্যদিকে ডোডো মৌ এর থেকে পাত্তা না পেয়ে রীতিমতো ছটফট করছে, কখনো সে রাগে গজ করছে, কখনো মৌ এর উপর অভিমান করছে,কখনো আবার মৌ এর উপর রাগ করছে সে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“বউ ইগনোর করলে একটা মানুষ কি পরিমাণ ঘেঁটে যায় তার প্রমাণ হল ডোডো। ডোডো বেসিক্যালি একজন perfectionist .ওর একটাই চাহিদা ওর পাশে সব কিছু tickety boo থাকবে।সবাই ভাল থাকবে। সবাই আনন্দে থাকবে।কেউ কষ্ট পাবে না। গুঞ্জা না। টিকলি না। আম্মা না মাতো নয়ই। এখন মৌও নয়। ও মনে করে সবার সব সমস্যা ও মিটিয়ে দেবে। তাই চারহাজার টাকার ব্যাগ কেনে। মৌকে হাত খরচা দিতে চায়। নিজের ল্যাপটপটাও দিতে ওর আপত্তি নেই।

কিন্তু মউ তার আত্মসম্মান খুব প্রখর। সে জানে তার মাপটা। তাই সে ডোডোকে ফিরিয়ে দেয়। আমাদের মনে রাখতে হবে ডোডো কিন্তু refusal এ অভ্যস্ত নয়। ওকে কেউ ফিরিয়ে দেয় না। পড়াশোনায় মেধাবী ও ভাল চাকুরে এবং বাড়ির খুব আদরের বলে ও ভাবতেই পারে না পিচ্চি একটা চড়াই পাখির মত মেয়ে ওকে ফিরিয়ে দেবে।
ওর পুরুষকার আহত হয়েছে সাথে সাথে মৌএর জন্য কিছু করার যে pleasure যে pride সেটা থেকেও ও বারবার বঞ্চিত হচ্ছে। মৌ যদি ওর সাহায্য নিয়ে নিত তাহলে ওর ছটফটানি হত না।ও আসলে চায় ওর কুটু পাখিটা ওর কাছে ডোডোদা ডোডোদা বলে ঘুরঘুর করুক। ঝগড়া করলেও মেনে নেওয়া যেত কিন্তু এই indifference টা বাবুর মানের গোড়ায় খুব আঘাত করেছে।

“ব্যাগটা তুই না ব্যবহার করলে ফেলে দে
কেউ হেল্প করলে খুশী হতে হয়। এটা তুই জানিস না..তোর শিক্ষার অভাব আছে
তোকে সেই টিকলির ঘরেই যেতে হল
এভাবে হয় না…তোর জন্য একটা ঘর,একটা ল্যাপটপ সাতদিনের মধ্যে করে দেব।
বাবা রে বাবা কি রাগ! কি অস্থিরতা! কি অভিমান!
হুলোটা আমাদের একদম রাগে গরগর করছে গো!
শেষে না মাছের ওপর রাগ করে নিজেই না কোন ভাড়া বাড়িতে থাকতে চলে যায়!
মুখ ফুলিয়ে রেগে হাম্পুস হয়ে বসে আছে আমাদের কিউট কর্তব্যপরায়ণ হুলো মিত্র।”

Related Articles