বাংলা সিরিয়াল

মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু দেখাচ্ছে মেয়েবেলা! নতুন প্রমোর সঙ্গে মিল নেই আগের গল্পের! এবার ধারাবাহিকের বাস্তবিকতা নিয়ে দর্শকই প্রশ্ন তুলছেন সরাসরি

মেয়েরাই মেয়েদের পাশে দাঁড়ায় বিপদে এমন একটা সুন্দর গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল রূপা গাঙ্গুলী সুকৃতি মজুমদার এবং অর্পণ ঘোষালের কাহিনী মেয়েবেলা(Meyebela)। যেখানে শাশুড়ি বৌমার জীবনের টানাপোড়েনের গল্প। তবে বর্তমানে মেয়েবেলা ধারাবাহিক রীতিমত চর্চায় উঠে এসেছে কারণ ধারাবাহিকে এত নিম্নমানের গল্প দেখানো হচ্ছে যা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সম্ভব নয়। আর এই কারনেই ধারাবাহিকের পোস্টার গার্ল রূপা গাঙ্গুলি ধারা বাহির থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। যে বিধি মাসের চরিত্রে শুরুর থেকে অভিনয় করে যাচ্ছিলেন তিনি হঠাৎ করেই ধারাবাহিকের গল্পের নিম্নমানের কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

তবে রুপা গাঙ্গুলী(Rupa Ganguly)র এই পদক্ষেপে খুশিদর্শক। তার মতন একজন বিজ্ঞ প্রতিভাশালী অভিনেত্রী এই সমস্ত রিগ্রেসিভ গল্প মেনে নেবে না এমনটাই মনে করেছিলেন অনেকে। যদিও ধারাবাহিকের গল্পকার আঙুল তুলেছেন রূপা গাঙ্গুলির দিকেই। তবে তার অভিযোগ ধোপে টেকেনি। বর্তমানে বিথীকা মিত্রের চরিত্র দেখা যাচ্ছে অনুশ্রী দাস(Anushree Das)কে।

প্রসঙ্গত ধারাবাহিক শুরু হয়েছিল মেয়েরা কি মেয়েদের শত্রু নাকি বিপদে পাশে দাঁড়ায় এমন ভাবনা নিয়ে। কিন্তু এখন যেন ধারাবাহিক নিজেই ঘোষণা করে দিচ্ছে মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু। কারণ ধারাবাহিকে মৌ এবং ডোডোর বিয়েটা কিভাবে হয়েছে যারা নিয়মিত দর্শক তারা জানেন। ডোডো কে অপমানের হাত থেকে বাঁচাতে তার ঠাকুমা নিজে দায়িত্ব নিয়ে মৌয়ের মেসোকে বাড়ির একতলা বেচে দিয়েছিল। তার পরিবর্তে মেসো চেয়েছিল মৌ এর সঙ্গে যেন ডোডোর বিয়ে হয়।

তাই বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত যাবতীয় ঘটনা সেটা শুধুমাত্র আম্মা এবং দেবতনু অর্থাৎ মৌয়ের মেসোর মধ্যেই থাকার কথা। তবে সম্প্রতি প্রমোতে দেখা গেছে দেবতন কে বাড়ি লিখে দিয়েছে এমন দাবি তুলে মিত্র বাড়ি মৌকে বাড়িছাড়া করেছে বিশ্বাসঘাতক তকমা দিয়ে। অন্যদিকে ডোডো বউকে আটকাতে গেলেও তার কথাও শোনেনি মৌ। উল্টে বলেছে এই বাড়ি তাদের ফিরিয়ে দেবে।

কিন্তু আগে গল্পে অন্য কিছুই ঘটেছে। কারণ এই বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত ঘটনা মৌ ডোডো কিংবা মিত্র বাড়ির আর কেউ জানতো না শুধুমাত্র আম্মা ছাড়া। তাই শুধু শুধু মৌকে কেন এই কাঠগোদায় দাঁড় করালো ধারাবাহিক নির্মাতারা সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন নিয়মিত দর্শক।

এক ভক্ত সেই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন,’নুতন প্রমোটা দেখে সবচেয়ে অবাক লাগছে আম্মার কথা শুনে!!! বাড়ীর বাকিরা কেউ জানেইনা যে একতলা বিক্রি করে দিয়েছেন আম্মা।মৌ তো কিছু জানারই কথা না!! তাহলে বিথী মাসী বিশ্বাসঘাতক কেনো বললেন? বাড়ীর দলিল মৌএর কাছে কি করে আসবে?যেখানে মৌ জানেইনা যে একতলা মৌ এর নামে ট্রান্সফার করার শর্তে টাকা দেয় দেবতনু।তাহলে এই তকমা নিয়ে মৌ এর বাড়ী ছাড়ার কাহিনী টা ঠিক লাগছেনা।এটা সহজ স্বাভাবিক পরিবারের গল্প দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু এটা হলে গদবাধা সিরিয়ালের মতই কাহিনী হয়ে যাবে।’

যদিও কেউ কেউ এখনো প্রমো দেখেই মন্তব্য করতে নারাজ। তারা বিশ্বাস করছেন হয়তো প্রোমোটা মূল গল্প বোঝাতে চেয়েছে বাস্তবে অন্য কিছুই হবে। আবার কেউ কেউ ধারাবাহিক পুরোপুরি অবাস্তব এমনটাও বলতে শুরু করেছেন। মেয়েবেলা যে আশা নিয়ে দর্শক দেখতে বসেছিলেন এখন সেই আশায় নির্মাতারেই জল ঢালছেন এমনটাও মনে করছেন অনেকে

Related Articles