বাংলা সিরিয়াল

‘বীথি-জেঠিমারা একটু সাহসের অভাবে হারিয়ে গেছে!কিন্তু তিতলি-গুঞ্জারা হারবে না!কোনো মেয়ের জীবন‌ই সহজ নয় মেয়ে বেলায়!’অনবদ্য কনসেপ্টে মুগ্ধ দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’। এই ধারাবাহিকে প্রথম যখন প্রোমো দেওয়া হয় তখন দেখানো হয় যে, বীথি বলে একজন মিত্র বাড়ির বড় বৌ, কিন্তু তাকে চিরটাকাল পরিবারের দাবিদাওয়ার মধ্যে পিষে যেতে হয়েছে, সে বড্ড বেশি বঞ্চিত, তার স্বামী তার কথা ভাবে না,তার শাশুড়ি তার কথার তোয়াক্কা করে না। একমাত্র তার ছেলের বউ ভাবে তাকে নিয়ে এবং পরিবারের সকল মেয়েদের নিয়ে আলাদা করে বেরোতে যাওয়ার কথা।

ধারাবাহিকের এই প্রোমো দেখে দর্শকদের মনে হয়েছিল এই গল্পটা বীথির না পাওয়ার গল্প, কিন্তু এই ধারাবাহিক যত ক্রমশ এগোতে থাকলো তত দেখা গেল যে বীথি ই শুধু এখানে মেন নয়, বিথির মতো বিথির বড় জা, মৌয়ের মাসি সবার জীবনের বঞ্চনা, হারিয়ে ফেলার গল্প মেয়ে বেলা, এমনকি যে সেজ কাকিমা চাকরি করেন তিনিও জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছেন, তার মেয়েকে তিনি ধীরে ধীরে ট্রমায় চলে যেতে দেখেছেন, হিসেব করে দেখলে মেয়ে বেলার প্রত্যেকটা চরিত্রই না পাওয়ার চরিত্র ‌‌।

তবে গল্পটি শুধুই না পাওয়ার নয়, একটু সাহসের অভাবে একটু তেজের অভাবে পুরোনো প্রজন্মের নারীরা ধীরে ধীরে শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু এই প্রজন্মের নারীরা তাদের প্রয়োজনীয় দাবি-দাওয়াগুলো ছিনিয়ে নেবে,তাই তো টিকলির লড়াইয়ে সে পাশে পায় মৌকে। গুঞ্জা মৌ এর সাহসে মুখ খোলে তার স্বামীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“গল্পের নাম মেয়েবেলা বলেই বোধহয় এই গল্পের কোনো মেয়ের জীবনই সহজ না। এই গল্পের প্রতিটা নারী চরিত্রের আলাদা আলাদা গল্প আছে। পাওয়া আর না পাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ আছে। আগের প্রজন্মের বিথী, মৌয়ের মাসি কিংবা জেঠিমা তাদের না পাওয়ার খাতাটাই বেশি কারণ তারা তাদের পাশে সাপোর্ট হিসেবে কাউকে পায়নি।

একটু সাহসের অভাবে তাই তারা হারিয়ে গেছে। হারিয়ে ফেলেছে নিজেদের। কিন্তু এই প্রজন্মের তিতলি, গুন্জারা হারবে না কারণ তাদের পাশে দাড়ানোর মতো সাহস দেয়ার জন্য মৌ আছে। আর মৌয়ের সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হিসেবে আছে ডোডো। যার ভরসায় মৌ আ একদিন হয়ে উঠবে সবার ভরসাস্থল। মেয়েবেলা গল্পের প্রতিটা নারী চরিত্রের মৌয়ের মতো মেয়েদের হাত ধরেই তাদের নিজের জীবনের সব না পাওয়া গুলো পূরণ হবে”

Related Articles