বাংলা সিরিয়াল

‘দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার! মৌকে দাবিয়ে রাখতে চান বীথি আর বীথিকে সুরজিৎ বাবু!’ সুরজিৎ বাবুর শক্ত হওয়া দরকার ছিল মনে করলেও নিজের জীবনসঙ্গীকে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়ে তিনি ঠিক করেননি মনে করছেন দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মেয়েবেলা। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, বিথী তার কিছু অতীতজনিত কারণে মৌকে প্রথম থেকেই দুচোখে সহ্য করতে পারতো না, ঘটনাচক্রে এই মৌ যখন তার ছেলে ডোডোর বৌ হয়ে আসে তখনো তিনি মৌকে পছন্দ করতেন না এবং ছেলে বউমা যাতে আলাদা হয় তার জন্য নানান রকম প্ল্যান করে গিয়েছেন।

ছেলের এক্স গার্লফ্রেন্ড কে ছেলের ঘরে ঢুকিয়ে, বৌমার কাছে ভালো মানুষী সেজে ছেলের প্রতি মন বিষিয়ে দিয়ে তিনি নানান রকম ভাবে চেষ্টা করে গেছেন মৌ এবং ডোডোকে আলাদা করার,তার এই সকল ভালো মানুষী যে আদপে অভিনয় তা মৌ প্রথমদিকে বুঝতে না পারলেও এখন সবটা ধরে ফেলেছে।

সে তাই বীথি মাসিকে সোজাসুজি ধরে সমস্ত কথা বলে এবং জিজ্ঞেস করে কেন বিথি মাসি বাড়ি শুদ্ধ সবাইকে ভালবাসলে ও তাকে ভালোবাসে না।- বীথির এই আসল রূপটা মৌ জানলেও আর কাউকে সে জানাতে চায় না এমনকি মোয়ের স্বামী, বিথির ছেলে ডোডোকেও নয়।

কিন্তু বীথির স্বামী সুরজিত বাবু পুরো ঘটনাটা দরজার আড়াল থেকে শুনে নেন এবং তিনি বীথিকে বলেন যে মৌ, ডোডোর সম্পর্ক যদি বীথি ভাল না করে তাহলে তাকে মিত্র বাড়ি ছাড়তে হবে , এক্ষেত্রে দর্শক মনে করছেন যে সুরজিৎবাবুর এইটা খাওয়ার প্রয়োজন ছিল কিন্তু নিজের ৩০ বছরের জীবনসঙ্গীকে এভাবে বলাটা তাকে অসম্মান করা তাই বীথিকে বাড়ি ছাড়তে বলার বিষয়টাতে দর্শক একমত নন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“এটাই জগতের রীতি। দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার। অসহায় অভাগিনী মৌকে দাবিয়ে রাখতে চান বিথীকা মিত্র।সেই বিথীকা মিত্রকেই আবার বাড়ি থেকে বের করে দেবার হুমকি দেন সুরজিত মিত্র।

উনি জানেন বিথীর নিজস্ব জায়গা নেই,বাপের বাড়ি নেই,strong কোন খুঁটি নেই, তাই কি অবলীলা ক্রমে বলে দিলেন এ বাড়িতে তোমার জায়গা হবে না। হয়তো ওনার বিথীকে বলা বাকি কথা গুলো ঠিক ছিল। আর বিথীকে কড়া কথা শোনানোর দরকার ছিল। কিন্তু,তাই বলে ত্রিশ বছরের জীবনসাথীকে এভাবে বলা যায়?
ডোডো সত্যি একটা হীরে। আর তাই ওর জন্য এসেছে মৌ যে খাঁটি সোনার মত।”

Related Articles