বাংলা সিরিয়াল

ছেলেকে অভিনেতা বানাতে লোকের বাড়িতে আয়ার কাজ করেছেন রুবেলের মা! রুবেলের জীবন সিনেমার থেকে কম কিছু নয়!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘নিম ফুলের মধু’। এই ধারাবাহিকে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা রুবেল দাস। নিম ফুলের মধুর আগেও যমুনা ঢাকি, বাঘ বন্দী খেলা-তে নায়ক হয়েছেন তিনি। পর্দায় তাকে যতটা হাসিখুশি চরিত্রে দেখতে পাওয়া যায়, বাস্তবে তার জীবনের গল্প কিন্তু যথেষ্ট স্ট্রাগলের। অনেক কঠিন অধ্যায় পার করে আজ অভিনেতা হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি দাদাগিরি ১০ নাম্বার সিজনে এসেছিলেন অভিনেতা ও নিম ফুলের মধুর পুরো টিম। এই পর্বে রুবেলের জন্য একটি সারপ্রাইজ ভিডিও চালান সৌরভ, যেখানে দেখা যায় রুবেলের মাকে। প্রায় একা হাতেই যিনি সংসার সামলেছেন। তার দুই ছেলের মধ্যে ছোটো ছেলে হলো রুবেল, দুই সন্তান যখন খুব ছোটো সেই সময় চাকরি চলে যায় রুবেলের বাবার, তখন সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি, খুব কষ্ট করে মানুষ করেন ছেলেদের। ছোট ছেলে রুবেল ডান্সার হওয়ার স্বপ্ন দেখতো, এক সময় ডান্স বাংলা ডান্স ও জেতে সে, সেখান থেকে মুম্বাই চলে যায়। তখন মুম্বাই তে ছোট ছেলের খরচ চালাবার জন্য লোকের বাড়ির রান্না থেকে আয়ার কাজ সবই করেছেন রুবেলের মা, কিন্তু ছেলের স্বপ্নের মধ্যে কোন আঁচ আসতে দেননি।

মাকে এই কথাগুলো বলতে শুনে স্টেজে দাঁড়িয়েই কেঁদে ফেলে রুবেল। তখন রুবেলকে চমকে দিয়ে স্টেজে আসে রুবেলের মা কৃষ্ণা দাস। কৃষ্ণা এসে দাঁড়ান রুবেলের পাশে আর অভিনেতা তখন বলেন,“ মায়ের বলিদান বলে শেষ করতে পারবোনা। সব মায়েদেরই বলিদান থাকে। আমার মা একটু বেশিই করেছে। যে সময় বাবার পাশে থাকার কথা ছিলো, তখন পাইনি। মা যেভাবে আমাকে আর আমার দাদাকে মানুষ করেছে, দাদাও বাবার দায়িত্ব নিয়ে পাশে ছিলো। সব সময় বলে গেছে,“ তুই যা স্বপ্ন পূরণ কর।” মাও বলতো “ছোটবেলা থেকে যেমন যা চেয়েছিস পেয়েছিস পরেও পাবি। তুই নিজের স্বপ্ন পূরণ কর।”

নিম ফুলের মধুর সৃজন চরিত্রে অভিনয় করে আরো একবার দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন অভিনেতা। এই ধারাবাহিকের পর্ণা সৃজন জুটি দর্শকের খুব পছন্দের। উল্লেখ্য, জি বাংলার পর্দায় রুবেলের প্রথম কাজ ছিলো ভানুমতির খেল এরপর বাঘ বন্দী খেলা করলেও সেটি অতটা জনপ্রিয় হয় না, জি বাংলায় রুবেলের তৃতীয় কাজ যমুনা ঢাকি তাকে যেমন জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায় তেমনি এই ধারাবাহিকের দৌলতেই রুবেল পেয়ে যায় তার জীবন সঙ্গীকেও। যমুনা ঢাকির নায়িকা শ্বেতা ভট্টাচার্যের সাথে কাজ করতে করতেই তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে অভিনেতার। রুবেলের জীবনের আনন্দের মুহূর্ত হোক অথবা দুর্ঘটনা সব সময়‌ই শ্বেতাকে তার পাশে দেখা গেছে।

Related Articles