বাংলা সিরিয়াল

ওই রাক্ষসী মেয়েটা আমার বাবুকে বশ করেছে! এগুলো কি ডায়লগ? ওনার ফেস দেখলে আরো হাসি পায়!-নিম ফুলের মধুর কৃষ্ণাকে নিয়ে কী বলছেন দর্শক?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘নিম ফুলের মধু’। বর্তমানে বেশিরভাগ ধারাবাহিক যখন টিআরপি কম থাকার কারণে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় তখন এক বছরের ও বেশি সময় ধরে চলা এই ধারাবাহিক আজও উত্তেজনা বহাল রেখেছে ও টি আর পি লিস্টে নিজের জায়গা ধরে রেখেছে।

হ্যাঁ প্রবল জনপ্রিয়তার জন্য‌ই আজও এই ধারাবাহিক বঙ্গ সেরা তৃতীয় ধারাবাহিকের মধ্যে রয়েছে, কিন্তু তবু প্রচুর মানুষ এই ধারাবাহিক নিয়ে সমালোচনা করেন। এই ধারাবাহিকে সমালোচনা করার মতো একটি ক্যারেক্টার আছে,সেটা হলো বাবুর মা কৃষ্ণা। ছেলের জীবন থেকে বৌমাকে আলাদা করবার জন্য তিনি সব রকম পর্যায়ে যেতে পারেন-এমনকি ছেলে বৌমার ডিভোর্স নিশ্চিত করতে তিনি ছেলেরও ক্ষতি করতে পারেন-যা দেখে দর্শক অবাক হয়ে যান এবং চমকে ওঠেন।

ছেলে বৌমাকে আলাদা করবার জন্য তাদের মধ্যে মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং ক্রিয়েট করা বা তাদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে খারাপ করা-এইসব জিনিস তো অধিকাংশ ধারাবাহিকের শাশুড়িরাই করে থাকেন, কিন্তু প্রশ্ন যখন আসে ছেলের ভালো-মন্দের বিষয়ে তখন সবাই সেটাই করে যাতে ছেলের ভালো হয়।

কিন্তু কৃষ্ণা পর্নাকে ছেলের জীবন থেকে সরানোর জন্য তার ছেলের জীবনটা কালিমালিপ্ত করতেও রাজি! সেই কারণে সে মৌমিতার কথা ঈশার সাথে হাত মেলায় যে ঈশা ঘুমের ঘোরে তার বাবুর ঘরে ঢুকে, বাবুর পাশে শুয়ে পড়ে এবং তারপর সকাল বেলায় চিৎকার করে সিন ক্রিয়েট করতে থাকে এবং তারই বাবুর নামে দোষারোপ করতে থাকে!

আরও পড়ুন : তৃণার শ্রাবণ চরিত্রটা পুরো অন্যরকম! তরী,গুনগুনের থেকে পুরো আলাদা এই চরিত্রটা ভীষণ ম্যাচুয়রড!

কিন্তু এত সবকিছু দেখেও কৃষ্ণার মনে হয় না তার পর্নার পাশে দাঁড়ানো উচিত! বরং বাবু আর পর্নার বিচ্ছেদ নিশ্চিত জেনে সে আনন্দিত হয়। এই এপিসোড দেখে বারংবার দর্শক তার মাতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, একজন মাকে এতটা ছোট দেখতে কষ্ট হয় দর্শকের!

বেশ কিছুদিন আগে পর্নার সৃজনকে প্রপোজ করা এবং দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত দেখে কৃষ্ণা যে কথাগুলো বলেছিলেন তা কোন মায়ের কথা হতে পারে না বলে মনে করেন দর্শক। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন সেই এপিসোডের বিষয় নিয়ে লিখেছেন যে,“আজকের এপিসোডে কৃষ্ণাঃ-

★ওই রা:-;-ক্ষ-;—সী মেয়েটা আমার বাবুকে বশ করছে!
★ আমার মাথায় রক্তের জল উঠে গেছে ওই জলে ডুবে বাবু মারা যাবে!
★ দেখ দেখ আমার বাবুটাকে জড়িয়ে ধরেছে কত্ত বড়ো সাহস (টুরু সতীন)!

ভাইরে ভাই সতীনের মত আচরণ পুরা ,, একটা চরিত্রের সেই দেড় বছর ধরে কোনো ডেভেলপমেন্ট নেই, বাট আজকের এপিসোডে এইসব ডায়লগ শুনে এত্ত হাসি পেয়েছে! এগুলা কি ডায়লগ?! উনার ফেস দেখলেই আরো হাসি পায়!”

Related Articles