বাংলা সিরিয়াল

‘পুরুষ শাসিত সমাজে কোজাগরী ঠিক’,‘কোজাগরী উদ্ধত একগুঁয়ে!’দর্শকরা দু’ভাগে বিভক্ত জল থৈ থৈ ভালোবাসা দেখে!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো জল থৈ থৈ ভালোবাসা। বর্তমানে এই ধারাবাহিকটির যে ট্রাক দেখানো হচ্ছে তাতে এই ধারাবাহিক দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একদল মনে করছেন কোজাগরী এবং কোকোর মত মানুষদেরই দরকার পুরুষ শাসিত সমাজে লড়াই করার জন্য, চিরকাল সংসারকে দুহাতে আগলে রাখার পরেও কোজাগরীর মতো পরিণতি দুঃখজনক বলেই মনে করছেন তারা।সেখানে দাঁড়িয়ে কোজাগরী ও কোকোর আচরণ তাদের জাস্টিফাইড লাগছে।

কিন্তু অন্য দল মনে করছেন যে, উদ্দোলক বসু,টিটোরাই ঠিক। কোজাগরী অত্যন্ত উদ্ধ্যত ও একগুঁয়ে প্রকৃতির এক মানুষ,যিনি সকলকে ডমিনেট করে চলতে চান।

আরও পড়ুন : শিমুলকে বাঁচাতে সুস্থ হয়ে ফিরে এলো পরাগ! ধারাবাহিকের প্রোমো দেখে উত্তেজনায় ফুটছেন দর্শক! এমন পরাগকেই তো চেয়েছেন তারা!

এই দলের মানুষ মনে করেন যে টিটোর কথা ঠিক,উদ্যলোক বসু তার ভালোবাসা দিয়ে এতদিন সবটা সহ্য করেছেন। অন্য অংশের মানুষ আবার প্রতিবাদে মুখর। ‌সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“জল অথৈ
১)কোজাগরী উদ্ধত, একগুঁয়ে ও ডোমিনেটিং। স্থান কাল পাত্র জ্ঞান সীমিত। উদ্দালক বসু তার উদ্দাক্ত ভালোবাসা দিয়ে এতোদিন তা সহ্য ও একোমোডেট করেছে।

২)তোতা তার মেধা, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা দ্বারা এই শিক্ষাই নিয়েছে যে, তার মা কোজাগরী বাবার(বসু পরিবারে) সংসারে যা করে, আসমানের সংসারে সে তা করেনি বা বিপরীত আচরণ করেছে।

ফলে প্রতিকূলতা কে জয় করেছে।
৩) আর নববধূ কোকো কোজাগরী যা করে তার অবিকল কার্বন কপি বা নকল করতে যেয়ে বিবাহের তিন মাসের মধ্যে শশুর বাড়ী থেকে বিতাড়িত হয়েছে।”

এই পোষ্টের কমেন্ট বক্সে পোস্টদাতাকে উদ্দেশ্য করে একজন লিখেছেন যে,“ আসমান এবং তার বাবা এবং বোন যেভাবে তোতার মন জয় করছে, টিটো তার ১০০ ভাগের একভাগও চেষ্টা করছে না কোকোর মন জয় করার।

আরও পড়ুন : ‘দিব্য ইন্টারভিউ দিও না, তবু ইন্টারভিউতে বসে স্বস্তিকাকে অপমান করোনা’দীপার সাথে ইন্টারভিউ আর ইরার সাথে ইন্টারভিউয়ের মধ্যে দিব্যজ্যোতির আচরণের ফারাক দেখে বলছেন দর্শক!

মেয়েদের মন কিভাবে জয় করতে হয় ছেলেরা তা নিয়ে কি কেবল বিয়ের আগেই চিন্তা করবে?বিয়ের পর আর করবে না? taken for granted করে নেবে? এই পুরুষশাসিত সমাজ পরিবর্তন করার জন্য কোজাগরী আর কোকোর মত মেয়েদেরই প্রয়োজন।”

Related Articles