বাংলা সিরিয়াল

অনির্বাণের অফিসে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে অবাক রাই! সার্থকের বাড়িতে যেতেই অপমানিত হলো স্রোত,

জি বাংলার মিঠিঝোড়া ধারাবাহিক বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছে, প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনে স্বাবলম্বী হওয়ার ঠিক কতটা প্রয়োজন। বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে রাই।

এই মুহূর্তে বাবার চাকরিটাও পায়নি সে। তাই নিজেই চাকরি খোঁজার চেষ্টা করছে সে। বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করলেও পরিবারের লোকজনের কাছে প্রতিনিয়ত অপমানিত হতে হচ্ছে রাইকে। নিজের বোনের জন্য আত্মত্যাগ করেও ভালো ব্যবহার পায়নি।

ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট বলছে, এখন একটা চাকরির জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে রাই। ইতি মধ্যেই ইন্টারভিউ দিতে এসেছে সে। কারো রেফারেন্সে এলে চাকরির সুযোগ বেশি শুনে একটু ঘাবড়ে যায় রাই। ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে রাই দেখতে পায় ওই কোম্পানির বস হলো অনির্বাণ। অনির্বাণ অবাক হয়ে যায় রাইকে দেখে।

 

এরপর নিজের সমস্ত সার্টিফিকেট অনির্বাণের কাছে দেয় সে। শুরু হয় ইন্টারভিউ। প্রায় অনির্বাণ এর কাছে নিজের পরিবারের অবস্থার কথা তুলে ধরে। সে জানা তার চাকরিটা কেন প্রয়োজন।

রাই বলে “আমার বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছেন। আমার দাদা একটা ভালো চাকরি করত কিন্তু অ্যাক্সিডেন্টের পর দাদার পা দুটো অকেজো হয়ে যায় তাই দাদা আর কোন কাজ করতে পারে না। যদি আমি একটা চাকরি যোগাড় করতে পারি তাহলে আমি হব বাড়ির একমাত্র আর্নিং মেম্বার।”

রাই এটাও জানিয়ে দেয়, পারিবারিক কাহিনী শুনিয়ে চাকরি পাওয়া নয়। বরং নিজের যোগ্যতায় চাকরি চাইছে সে। এরপর অনির্বাণ রায়কে জিজ্ঞাসা করে যে সে ইংরেজিতে লিখতে এবং বলতে জানে কিনা। লিখতে জানলেও কিন্তু গর গর করে ইংরেজি বলতে জানে না রাই।

আরও পড়ুন : শেষ হচ্ছে মিলি আর শুরু হচ্ছে অষ্টমী! কনফার্ম নিউজ!

তবে চাকরি পেয়ে গেলে দু-তিন মাসের মধ্যে সমস্তটা শিখে নেমে বলে জানাই সে। নিজেকে প্রমাণ করেও দেখাবে। তবে অনির্বাণের কথায় চাকরিটা পাবে না বলেই মনে করে রাই। তাই ব্যাগ পত্র গুছিয়ে বের হতে গেলে অনির্বাণ পিছু ডাকে। সে জানায় , কোন খবর থাকলে সে নিশ্চয়ই রাইকে জানাবে। তবে রাইয়ের মনের আত্মবিশ্বাস দেখে মুগ্ধ হয় অনির্বাণ।

Related Articles