বাংলা সিরিয়াল

সত্যি উদঘাটনের জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করল সৃজন! অয়নের কুকীর্তি ফাঁস করলো পর্ণা!

অতিরিক্ত টাকার লোভে মানুষ একসময় অন্ধ হয়ে যায়। সেটাই যেন বারবার দেখা যাচ্ছে নিম ফুলের মত ধারাবাহিকে অয়নের ক্ষেত্রে। চুরি করা টাকার কারণে এখন ঔদ্ধত্য বৃদ্ধি পেয়েছে অয়নের।

তার সেই ঔদ্ধত্য মাটিতে মিশিয়ে দিল পর্ণা। সৃজন পর্ণাকে ঘরের লক্ষী বলে মনে করে। সেই হলো সৃজনের জীবনে একমাত্র লক্ষী। তাই দুজনে একসাথে গিয়ে লটারি টিকিট কিনে এনেছিল। তাতে ভাগ্য খুলে যায় সৃজনের। লটারি টিকিটের নাম্বার মিলে যেতেই সৃজন জিতে যায় পঞ্চাশ লাখ টাকা।

তবে ৫০ লাখ টাকা ভোগ করা হয়তো হলো না সৃজনের। কারণ তার দাদা অয়ন সৃজনের সঙ্গে নিজের টিকিট পাল্টাপাল্টি করে নিয়েছে টাকার লোভে। কতগুলো টাকা হাতে পেয়ে অনেক জিনিসপত্র কিনে এনেছে অয়ন।

নিজেদের ঘরে রাখার জন্য একটি ফ্রিজ মৌমিতার জন্য বড় টিভি এনেছে সে। সৃজন বুঝতে পারে তার টিকিট চুরি করে আজ এত টাকা পেয়ে অয়ন এসব কিনেছে। কষ্টের রোজগারের টাকা যেহেতু নয় সেজন্য অতটা মাথা ঘামায়নি পর্ণাও।

আরও পড়ুন : বৈদেহী মুখার্জির পাশা উল্টে দিলে জগদ্ধাত্রী! ঋষির খুনিকে খুঁজে বের করলো জ্যাস!

তবে যেহেতু সৃজন লটারি দিতেছে আর সেই টাকা চুরি করেছে অয়ন। তাই পুরো বিষয়টা সামনে আনার জন্য প্রতিজ্ঞা করেছে পর্ণা।

চুরি করা টাকার অহংকারে দম্ভ বেড়ে যায় অয়নের। সে এতটাই নিচে নেমে গিয়েছে যে, কোন কিছু না ভেবে বাবার করা অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মায়ের সামনে বাবার শ্রাদ্ধ করার জন্য পুরোহিত ডেকে গেছে অয়ন। শ্রীকান্ত থেকে সকলেই হতবাক হয়ে যায়। জেঠু এত বড় অপমান সহ্য করতে পারে না কেউ।

ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দর্শকরা দেখতে পাবেন, সবাই যখন পুজো দিতে ব্যস্ত সেই সময় ছদ্মবেশে আসে সৃজন। এদিকে অত টাকা চুরি করে মদ খেয়েছে অয়ন। নেশার ঘোরে সে বলে ফেলে, টিকিট কেটেছিল সৃজন কিন্তু টাকা ভোগ করছে সে। আর একেই বলে কপাল। পুরো দৃশ্যটা ক্যামেরাবন্দি করে পর্ণা আর রুচিরা। এবার অয়নের জারিজুড়ি শেষ করবে পর্ণা।

Related Articles