বৈদেহী মুখার্জির পাশা উল্টে দিলে জগদ্ধাত্রী! ঋষির খুনিকে খুঁজে বের করলো জ্যাস!
ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আর বুদ্ধির জোরে একের পর এক কেস হ্যান্ডেল করছে জগদ্ধাত্রী ওরফে জ্যাস। বহু জটিল রহস্যের সমাধান করতে সিদ্ধ হস্ত সে। সেই কারণেই এখন জি বাংলার সব ধারাবাহিকের মধ্যে একেবারে এক নম্বরে রয়েছে জগদ্ধাত্রী।
বর্তমানে ধারাবাহিকের প্লট বলছে, উৎসবকে বাঁচাতে স্বয়ং বুকে ফাঁসানোর জন্য মোক্ষম চাল চেলেছে বৈদেহী। প্রতিপক্ষকে হারাতে না পেরে সাক্ষীর বয়ান বদল করলো সে। তবে সাময়িকভাবে সফল হলেও জগদ্ধাত্রীদের কাছে হারতে হবে তাকে।
এরপর জগদ্ধাত্রীকে ফোন করে অনিন্দিতা আর অস্মিতা। ঋষি কুমার ঘোষ এর খুনের দিনের সমস্ত ঘটনা জগদ্ধাত্রী পর পর বলতে শুরু করে। সে বলে,”সেদিন অনেকটা মদ খেয়ে নিয়েছিল ঋষি। এরপর অস্মিতাকে একা পেয়ে ঋষি ওকে মলেস্ট করার চেষ্টা করে। অস্মিতা তাড়াতাড়ি নিজের মাকে ফোন করে। অনিন্দিতা পৌঁছানোর আগেই ঋষি আবারও অস্মিতার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে।
আর অস্মিতা তখন ঋষিকে ওই ব্রোঞ্জের মূর্তিটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। অনিন্দিতা তখন অস্মিতাকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছে যায়। এরপর ঋষি কি অবস্থায় আছে সেটা দেখার জন্য অনিন্দিতা আবার ওখানে ফিরে যায়। সে গিয়ে বুঝতে পারে ঋষি মৃত। কি ঠিক বলছি তো? এরপর অনিন্দিতা ঋষিকে নিয়ে তার দায়িত্বে থাকা মর্গে আসে। আর তারপর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। শ্রাদ্ধ করে। তাইতো?”
তখন অনিন্দিতা চিৎকার করে বলে যে সে খুন করেনি। এরপরে অসুস্থ হয়ে পড়ে অস্মিতা। জগদ্ধাত্রী বুঝে উঠতে পারেনা ওই মা মেয়েকে তার বিশ্বাস করা উচিত হবে নাকি না।
তখনই তার মনে পড়ে, একটা ছেলে তাকে ফোন করে কেস থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এরপর নন্দীকে ফোন করে ঋষির সব বন্ধুদের ফোন নাম্বার জোগাড় করতে বলে।
ওদিকে স্বয়ম্ভু উপল মৈত্রের কাছে গিয়ে দেখতে পায় সে সব ভুলে গিয়েছে। স্বয়ম্ভুকেই উৎসব মনে করছেন তিনি। পেছন থেকে সবটাই রেকর্ড করে নেন এক মহিলা। মনে করা হচ্ছে তিনি বৈদেহী মুখার্জি।
পুরো ঘটনা জগদ্ধাত্রীকে জানাই। বৈদেহী মুখার্জির বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এবং উপল মৈত্রের ঘরের সিসিটিভি ক্যামেরা ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার পুরো বিষয়টা বুঝতে পারে সে। তবে এবার জগদ্ধাত্রীর ফাঁদে পড়বে বৈদেহী।